প্রদ্যুৎ দাস: এবার পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের ময়লা আবর্জনা, মাটি বিক্রি করে দেওয়ার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি। পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ময়লা আবর্জনা, বালি মাটি না ফেলে বেআইনিভাবে এই ময়লা আবর্জনা, বালি মাটি বাইরে বিক্রি করা করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুরসভার বোর্ড  লাগানো একাধিক ট্রাক্টর ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ময়লা না ফেলে সেই ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে জলপাইগুড়ি নেতাজিপাড়া পরেশ মিত্র কলোনীর করলা সেতু সংলগ্ন এলাকায়। তাও আবার বেআইনি ভাবে। অভিযোগ নদী ভরাট করে চলছে বাড়ি নির্মাণের কাজ। বিভিন্ন প্লাস্টিক, ময়লা আবর্জনা, বালি মাটি দিয়ে নদী সংলগ্ন এলাকা ভরাট করার কারণে এই নদী দূষন হচ্ছে বলে অভিযোগ। সাংবাদিক দেখে বেশ কয়েকটি ময়লা বোঝাই  ট্রাক্টর পালিয়ে যায়। খবর পাওয়া মাত্রই কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন পুরসভার চেয়ারপারসন পাপিয়া পাল।


আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: বুথ স্তর পর্যন্ত মজবুত করতে হবে সংগঠন! নবজোয়ার যাত্রায় অভিষেকের লক্ষ্যে জঙ্গলমহল


করলা নদীর ধারে বেআইনিভাবে চলছে নদীর পার ভরাট। সেচ দপ্তরের জমিতে বেআইনি ভাবে কিভাবে ভরাট করে বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। এই জায়গায় বাড়ি বা দোকান বানানোর জন্য বিএলআরও দফতর কিভাবে পারমিশন দেয় সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে?


আদৌ এই জমির বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা সেবিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছ বলেই করলা নদী দূষণ হচ্ছে বলে অভিযোগ সমাজ ও নদী বাঁচাও কমিটির আহবায়ক সঞ্জীব চ্যাটার্জী সহ বিজেপির জেলা সম্পাদক শ্যামপ্রসাদের।


আরও পড়ুন: Egra Blast: ওড়িশা থেকে ক্রেতা এসেছিল, বাজি টেস্ট করতে গিয়েই ঘটে গেল ভয়ংকর ঘটনা


তবে যেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছিল সেই জমির মালিকের দাবি তিনি জমি কিনে নিয়েছেন এবং বৈধ কাগজ রয়েছে। এখন দেখার জমির কাগজ বৈধ কিনা?


তবে এক ট্রাক্টর চালক জানালেন, সুপারভাইজার এর কথামতো তারা৷ পুরসভার ডাম্পিং রাউন্ড বালাপাড়া এলাকায় ময়লা আবর্জনা না ফেলে এখানে ফেলছেন সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এক ট্রাক্টার চালক জানান, ‘এ বিষয়ে তার  বিস্তারিত জানা নেই। সুপারভাইজারের কথা মতই তারা এই বেআইনি কাজে যুক্ত’।


যদিও এই বিষয়ে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে সেচ দফতরের আধিকারিক জানান, ‘জমি বৈধ না অবৈধ তা বিএলআরও দফতর ভাল বলতে পারবে। তাও সেচ দফতরের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখা হবে। তবে বিএলআরও দফতর তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি এই বিষয়ে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)