নিজস্ব প্রতিবেদন: সানাইয়ের সুর, আলোর রোশনাই, আত্মীয় স্বজনের কোলাহলে আনন্দে মুখরিত চারিদিক, মেয়ে সেজে উঠেছে লাল বেনারসি, মালা চন্দনে। বিয়ের আয়োজন সম্পূর্ণ। এমন সময় হঠাৎই হাজির হলো প্রশাসনের লোকজন, চাইল্ড লাইন,পুলিশ। ঘটলো সমস্ত আনন্দের ছন্দপতন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে বিয়ের তোড়জোড়, প্রশাসনের তৎপরতায় বন্ধ হল বাল্যবিবাহ


ঘটনা কাটোয়ার পানুহাট আদর্শ পল্লীতে। পূর্বস্থলির বাঁকি গ্রামের এক কৃষক পরিবার তাদের ১৬ বছর বয়সী মেয়ের বিয়ের ঠিক করেছিলেন কাটোয়ার আদর্শপল্লীতে। পাত্র পেশায় ফল বিক্রেতা, কাটোয়া বাসস্ট্যান্ডে তার ফলের দোকান। মেয়ে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী । আর ২৫ দিন পর মেয়ের পরীক্ষা। বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে প্রশাসনের সমস্ত প্রচার, সমস্ত প্রচেষ্টাকে অগ্রাহ্য করে ১৬ বছর বয়সী এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মেয়ের বিবাহ স্থির করেন বাঁকি গ্রামের বাসিন্দা মোহন সাঁতরা। প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে নিজের নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেওয়ার উদ্দেশে নিজে না এসে মেয়ে ও মেয়ের মা-কে পাঠিয়ে দেন পাত্রের বাড়ি কাটোয়ার আদর্শ পল্লীতে।


আরও পড়ুন- পথ ভোলা কিশোর উদ্ধার, সন্তানকে মায়ের কোলে ফেরাল পুলিস


ঘটনা জানতে পেরে এক সমাজ সচেতন নাগরিক বাল্যবিবাহটি বন্ধ করার জন্য ফোন করেন চাইল্ড লাইনের টোল ফ্রি নম্বরে। চাইল্ড লাইন থেকে খবর পেয়ে চাইল্ড লাইন প্রতিনিধি সহ প্রশাসনিক কর্তারা পৌঁছান বিবাহের আসরে। আঠারো বছর বয়স হওয়ার পর  বিবাহ দিলে কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী থেকে কী উপকার পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর পর অবশেষে বিবাহটি বন্ধ করতে সক্ষম হন প্রশাসনিক কর্তারা।