Ketugram: কেতুগ্রামে নার্সের হাত কাটার ঘটনায় স্বামী-সহ ৪ অভিযুক্তের ১৪ দিনের জেল হেফাজত
গত ৪ জুন গভীর রাতে স্ত্রী রেণু খাতুনকে শিক্ষা দিতে স্বামী শের মহম্মদ তার কব্জি কেটে দিয়েছিল
সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: কেতুগ্রামে স্ত্রীর কব্জি কাটার ঘটনায় ধৃত ৪ অভিযুক্ত শের মহম্মদ ওরফে সরিফুল, চাঁদ মহম্মদ, আসরাফ আলি সেখ ও হাবিব সেখের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক।
সোমবার দুপুরে ওই ৪ অভিযুক্তকে কাটোয়া মহকুমার অতিরিক্ত বিচার বিভাগীয় আদালতে পেশ করে কেতুগ্রাম থানার পুলিস। মামলার তদন্তকারী অফিসার অভিযুক্তদের ফিঙ্গার প্রিন্ট পরীক্ষার জন্য আদালতে আবেদন জানালে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে খবর, স্ত্রী রেণু খাতুনের কব্জি কাটার ঘটনায় এক গাড়ির চালক ও এক গ্রামবাসীর আদালতে গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। ঘটনায় ভাড়া করা দুষ্কৃতী আসরফ আলি সেখ ও হাবিব সেখ এবং প্রধান অভিযুক্তের মাসতুতো ভাই চাঁদ মহম্মদ তিনজনেই ঘটনার পর রাতেই একটি ভাড়া করা চার চাকার গাড়ি করে কেতুগ্রামের কোজলসা থেকে মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার তালগ্রাম ফিরে গিয়েছিল। পুলিস গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করে চালককে আটক করেছিল। এদিকে, কব্জি কাটার ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র 'দা'-সহ অভিযুক্তের রক্তমাখা পোশাক ও চাদর উদ্ধার করে পুলিস।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুন গভীর রাতে স্ত্রী রেণু খাতুনকে শিক্ষা দিতে স্বামী শের মহম্মদ পরিকল্পনা করে ভাড়া করা দুষ্কৃতীদের সাহায্যে তার কব্জি কেটে দিয়েছিল। উদ্দ্শ্য়ে স্ত্রী রেণু যাতে সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে না পারে। এমটাই অভিযোগ রেণু খাতুনের পরিবারের। যদিও শের মহম্মদ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তার দাবি আরও মারাত্মক। শনি বার অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনার পুননির্মাণ করে পুলিসে। সেখানেই পুলিসকে সরিফুল জানায়, শুধুমাত্র চাকরি পাওয়ার জন্য সে স্ত্রীর হাত কেটে নেয়নি। রেণু বহুদিন থেকেই একটি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিল। বারংবার বলার পরও কোনও ফল হয়নি। তাই তাকে শিক্ষা দিতেই তার হাতের কব্জি কেটে নিয়েছে।
আরও পড়ুন-Ketugram: নার্সের চাকরির জন্য 'নিরাপত্তাহীনতা' নয়, রেণুর হাত কাটার চাঞ্চল্যকর কারণ জানাল স্বামী