সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: কানে রক্ত ঝড়া বন্ধ করতে এমসিল আঠা দিয়ে কান সিল করে দিল হাতুড়ে। আর এই এমসিল কাণ্ডে মহাসঙ্কটে পড়লেন শ্যামল প্রামাণিক নামে এক যুবক। কাটোয়া থানার কোয়ারা গ্রামের বাড়ি যুবককে গভীর সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক যুবকের অবস্থা দেখেই অস্ত্রোপচার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রায় একঘন্টার অস্ত্রোপচারের পর হাসপাতালের চিকিৎসকরা যুবকের কানের ছিদ্র থেকে এমসিল আঠা বের করলেও তার কানের পর্দা নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে জানান। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Dharmatala School: অনুপস্থিত ৫ রাঁধুনি, মিড ডে মিল রান্না করলেন শিক্ষিকারাই


যদিও অস্ত্রোপচারের পর যুবক বিপদমুক্ত। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ইএনটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ভাস্করজ্যোতি বর্মন বলেন, 'এরকম রোগী কোনওদিন পাইনি। কানেও যে এমসিল ব্যবহার করা যায় সেটা প্রথম দেখলাম।' যুবকের আত্মীয়রা ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত হাতুড়ের খোঁজ শুরু করেছে। পেশায় গাড়ি চালক শ্যামল প্রামাণিক বুধবার দুপুরে স্থানীয় সিঙ্গি মোড় বাসস্ট্যাণ্ডের এক হাতুড়ের কাছে কান পরিষ্কার করিয়েছিলেন। অত্যাধিক খোঁচাখুঁচি করায় শ্যামলের কান থেকে রক্ত বের হতে থাকে।


 শ্যামলের কানের রক্ত বন্ধ করতে হাতুড়ে 'এমসিল' আঠা কানের ছিদ্রে লাগিয়ে দিয়েছে বলে শ্যামল বাবুর স্ত্রী সঞ্চিতা প্রামাণিক দাবি করেন। সঞ্চিতা দেবী আরও বলেন,  শ্যামল বাবুকে হাতুড়ে বলেছিল এই ওষুধে কান থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হবে এবং কিছুক্ষণ পর এটা নিজে থেকে খুলে যাবে। কিন্তু সিঙ্গি মোড় থেকে গাড়ি নিয়ে কয়েক কিমি দূরে নিজের বাড়ি কোয়ারা গ্রামে ফিরে শ্যামল বাবু  অসুস্থ হয়ে পড়েন। কানের অসহ্য যন্ত্রণা  মাথায় ছড়িয়ে পড়ে জ্ঞান হারানোর মত অবস্থা হয়।


বৃহস্পতিবার সকালে শ্যামল প্রামাণিককে তার আত্মীয়রা গ্রাম থেকে এনে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করে। শ্যামল বাবুকে দেখেই চিকিৎসকদের সন্দেহ হয় যে কিছু একটা শক্ত পদার্থ কানে ঢুকে আছে। অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন এটা 'এমসিল' জাতীয় শক্তিশালী আঠা। সাধারণত কলের পাইপের ছিদ্র বন্ধ করতে এই আঠা  ব্যবহার করা হয়।


চিকিৎসক ভাস্করজ্যোতি বর্মন বলেন, 'শ্যামলবাবু প্রচুর ক্ষতি হতে পারত। সময়ে নিয়ে এসেছে তাই বেঁচে গেলেন। তবে কানের পর্দা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কয়েকমাস পর কানের পর্দা করা হবে।' তবে সেই হাতুড়ের পরিচয় জানতে পারা যায়নি বলে পরিবারের লোকরা জানায়। শ্যামলবাবু সুস্থ হলে হাতুড়ের পরিচয় জানা যাবে। শ্যামল বাবুর স্ত্রী হাসপাতালে দাঁড়িয়ে বলেন, সেই হাতুড়ে খুঁজে বের করে তার ব্যবস্থা করব। 



আরও পড়ুন, Ghatal Master Plan: মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ফের ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)