নিজস্ব প্রতিবেদন : শনিবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাম্মানিক ডিলিট প্রদান করবে কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। সেখাকার সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। সেই অনুষ্ঠানকে ঘিরেই এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলামের জন্মস্থান চুরুলিয়ায়। কবির ১১৯তম জন্মজয়ন্তীতে এখন মেতে রয়েছেন চুরুলিয়ার মানুষ। এরই মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাজিরা তাঁদের কাছে যেন বড় উপহার হয়ে দেখা দিয়েছে। চুরুলিয়াবাসী চান হাসিনা বিদ্রোহী কবির জন্মভিটেয় আসুন একবার। প্রোটোকলের বিধিনিষেধে হাসিনার পক্ষে চুরুলিয়ায় কবির জন্মভিটেয় যাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে আসনসোলে কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পর এই প্রথম কোনও বাংলাদেশের  প্রধানমন্ত্রী আসছেন সেখানে। স্বাভাবিকভাবেই সাজ সাজ রব বিশ্ববিদ্যালয়ে।


আরও পড়ুন- কৌশলে এড়ালেন তিস্তা-প্রসঙ্গ, ভারতের প্রতি কেবলই কৃতজ্ঞতার সুর হাসিনার গলায়


১১ই জৈষ্ঠ্য, ইংরাজির ২৬মে কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্মজয়ন্তী। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানও রয়েছে। সেখানেই বিশ্ববিদ্যালয় সাম্মানিক ডিলিট প্রদান করবে শেখ হাসিনাকে। বিশ্ববিদ্যালয় ডিলিট দিচ্ছে অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরকেও। ডিএসসি দেওয়া হবে ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানী এসএম ইউসুফকে।


এদিকে, ভাগাড়কাণ্ডের ছায়া এবার আসানসোলের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানেও। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ পড়েছে মাংস। মাংস নিয়ে তৈরি হওয়া অবিশ্বাসের কারণেই এই সিদ্ধান্ত। দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।


আরও পড়ুন- এল সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত, বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠান মঞ্চে মোদী-হাসিনা-মমতা


বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, শেখ হাসিনা পৌছনোর পরেই তাঁকে ডাবের জল ও রোস্টেড ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে স্বাগত জানান হবে। এরপর মধ্যাহ্ন ভোজে থাকবে ভাত, ডাল, আলুভাজা, চিংড়ির কাটলেট, ডাব চিংড়ি, ভেটকি পাতুরি, বড়ি দিয়ে পাবদা মাছের ঝোল। সেই সঙ্গে বর্ধমানের মাখা সন্দেশ, সীতাভোগ, মিহিদানা, রাবড়ি, জিলপি উপহার দেওয়া হবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে।


তবে রমজান মাস চলছে। সেকথা খেয়াল রেখেই খাদ্য তালিকায় ফল, পানীয় এবং ড্রাই ফ্রুটসও থাকছে।