নিজস্ব প্রতিবেদন: অসুস্থ বাবা, পরিবারের পাশে দাঁড়াতে তাই উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেই কেরলে পাড়ি দিয়েছিলেন নদিয়ার নাকাশিপাড়ার দিলবর। কেরলের ভয়াল বন্যায় মৃত্যু হল তাঁর। রবিবার বাড়িতে পৌঁছয় সেই খবর। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্যের মৃত্যুতে দিশেহারা পরিজনরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চলতি বছরই উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন দিলবর। অসুস্থতার জন্য বাবা কর্মক্ষমতা হারানোয় পরিবারের ভার এসে পড়ে ১৯ বছরের দিলবরের ওপরে। এপ্রিলে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ নিয়ে রাজ্য ছাড়েন। কোঝিকোড়ে ঠিকাদারের অধীনে কাজে যোগ দেন তিনি। সব ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি কেরলে বন্যার খবর দেখে দুশ্চিন্তা বাড়ে পরিবারের। যদিও গত বুধবার ফোনে নিরাপদেই আছে বলে জানায় দিলবর। সেই শেষ কথা। 


বাড়ি বসেই অনলাইনে ত্রাণ পাঠান কেরলের বন্যাদুর্গতদের কাছে, দেখে নিন কীভাবে


রবিবার কেরল থেকে নাকাশিপাড়ার চৌমুহা গ্রামে পৌঁছয় দিলবরের মৃত্যুসংবাদ। ফোনে তাঁর বন্ধুরা জানান, বন্যায় আটকে পড়েছিলেন দিলবর। ঠিকমতো খাবার পাননি। দুর্বল হয়ে পড়েন, পরে জ্বর হয়। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরিজনদের অভিযোগ, বন্যার মধ্যেই কাজে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। এখন দেহ বাড়িতে পৌঁছনোর অপেক্ষায় পরিজনরা।