জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দিনকয়েক আগেই খড়্গপুর আইআইটি-তে উদ্ধার হয় এক ছাত্রের পচাগলা দেহ। খুনের মামলা দায়ের করেছে পরিবার। উঠেছে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ। ব়্যাগিং নিয়ে হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখেও পড়ে আইআইটি কর্তৃপক্ষ। এবার রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে 'অ্যান্টি ব়্যাগিং স্কোয়াড' গঠন করল খড়গপুর আইআইটি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আইআইটি চত্বরে যে কোনও ধরনের ব়্যাগিং সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলেই জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়। কোনও ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ এলেই পুরো অভিযোগ খতিয়ে দেখবে এই স্কোয়াড। আইআইটি কর্তৃপক্ষের দাবি, ২০০৭ সাল থেকেই খড়্গপুর আইআইটি-তে গঠন করা হয়েছে অ্যান্টি ব়্যাগিং ইউনিট। তবে করোনাকালের জন্য ২ বছর ধরে কার্যত অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে এই ইউনিটটি। আর সেই কারণেই নতুন করে অ্যান্টি ব়্যাগিং স্কোয়াড গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


প্রসঙ্গত, গত ১৪ অক্টোবর খড়গপুর আইআইটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফাইজান আহমেদের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয় তার হস্টেলের ঘর থেকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস মনে করেছিল আত্মঘাতী হয়েছে ফাইজান। কিন্তু, ফাইজানের পরিবার দাবি করে যে, তাকে খুন করা হয়েছে। হাইকোর্টে ফাইজানের পরিবারের আবেদন করে যে, ওই ঘটনার তদন্ত করুক সিআইডি বা বিশেষ তদন্তকারী দল। অসমের তিনসুকিয়ার বাসিন্দা ছিল ফাইজান। মেধাবী ফাইজান উচ্চশিক্ষার জন্য খড়গপুর আইআইটিতে ভর্তি হয়েছিল।


আরও পড়ুন, Purulia Accident: পুরুলিয়ায় ক্লাস চলাকালীন ভেঙে পড়ল স্কুলের ছাদ! অল্পের জন্য রক্ষা পড়ুয়াদের


আদালতে ফাইজানের বাবা সেলিম আহমেদ ও মা রেহানা আহমেদ তাঁদের করা আবেদনে দাবি করেন যে, পুলিস তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিল ফাইজান মানসিক অসুস্থ ছিল। তার আত্মঘাতী হওয়ার পেছনে রয়েছে তার মানসিক অসুস্থতা। পুলিস আরও জানিয়েছে ফাইজান অ্যাসিমিলেশন প্রোগ্রামে যেতে চায়নি। প্রসঙ্গত, এটাই হল খড়গপুর আইআইটির ব়্যাগিংয়ের পোশাকি নাম। অথচ ফাইজানের কোনও সমস্যা ছিল না। আদালতও সন্তানহারা বাবা-মায়ের আর্তিতে সাড়া দিয়ে স্পষ্ট জানিয়েছে, ব়্য়াগিং একটা রোগ। প্রমাণ হলে কড়া শাস্তির সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। পূর্ব মেদিনীপুরের এসপির রিপোর্টও তলব করে হাইকোর্ট। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)