ওয়েব ডেস্ক: নিরাপত্তায় ঢিলেমিতেই গোল্ড লোনের দোকানে ডাকাতি। খড়দহের ঘটনায় এমনই অভিযোগ করছে পুলিস। একটি রিপোর্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ডানলপ, সোনারপুরের পর খড়দহ। ফের একবার টার্গেট মফস্বল। ফের একবার টার্গেট সোনা। কেন? পুলিস বলছে, এমনটাই স্বাভাবিক। কারণ, ছোট শহরের সোনার দোকানে নিরাপত্তা ঢিলে থাকে। পুলিস ফোর্স বা CCTV নজরদারি ছোট শহরে কম। ছোট শহরে ডাকাতি করে অনায়াসে পালানো যায়। সোনা লুঠ করারও নির্দিষ্ট কিছু সুবিধা রয়েছে। সেগুলি হল, সোনা মূল্যবান ধাতু, ছোট ব্যাগেই কোটি টাকার সোনা ধরে। সোনায় দাগ, নম্বর ইত্যাদি চিহ্ন সাধারণত থাকে না। সোনার বৈধ বিস্কুটে প্রমাণ চিহ্ন থাকলেও তা মুছে ফেলা যায়। সোনা গলিয়ে অনায়াসে চোর বাজারে বিক্রি করা যায়। বিশ্বের যে কোনও বাজারে সোনা বিক্রি করা যায় অনায়াসে। খড়দহের সোনার দোকান ও ঋণসংস্থাগুলি যে টার্গেট হতে পারে তা আগেই অনুমান করেছিল পুলিস।


১ মাস আগেই খড়দহের সব গোল্ড ফিনান্স সংস্থাকে বৈঠকে ডাকে পুলিস। সেই বৈঠকে IIFL গোল্ড লোন সংস্থার কোনও প্রতিনিধি হাজির হননি। ওই বৈঠকেই সোনার দোকানগুলির জন্য কিছু গাইডলাইন বেঁধে দেয় পুলিস। অফিস খোলার সময় একজন কর্মী ভিতরে ঢুকবেন । ওই কর্মী ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে বাইরে থেকে গেট বন্ধ হবে । অফিস রেডি হয়ে গেলে বাকি কর্মীরা ভিতরে ঢুকবেন। সকালে ভিতরে একসঙ্গে ২ জনের বেশি গ্রাহক থাকবেন না। গ্রাহককে ভিতরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে গেট লক করতে হবে। গ্রাহকের ভিড় বাড়লে তবেই গেট খোলা যেতে পারে। ভিড় না থাকলে গেট লক করেই অফিস করতে হবে।


অফিস খোলার আগে থেকে বন্দুক নিয়ে তৈরি থাকবেন গার্ড। স্বাভাবিকভাবেই এই গাইডলাইন মানেনি IIFL। শুধু তাই নয়, পুলিস সূত্রে খবর, তাদের নিরাপত্তা ছিল রীতিমতো ঢিলেঢালা। IIFL-এর নিরাপত্তারক্ষী বন্দুক খুলে ব্যাগে ভরে ডিউটিতে আসেন । অফিসে এসে পোশাক বদলে বন্দুক রেডি করে ডিউটি শুরু করেন । ডাকাতদের কাছে গার্ডের ঢিলেমির তথ্য ছিল, তারা সুযোগ নিয়েছে।


প্রশ্ন উঠছে, গার্ড যখন তৈরি নয়, তখন সদর দরজা কেন বন্ধ করা ছিল না?


নিরাপত্তা যখন ঢিলেঢালা, তখন ভল্টে কেন এত সোনা রাখা ছিল?


২ কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীকে অনুসরণ করে IIFL-এ পৌছয় ৩ ডাকাত


২ কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষী কিছু সন্দেহ করলেন না কেন?


ডানলপের গোল্ড ফিনান্স সংস্থায় ডাকাতির সঙ্গে হুববু মিল রয়েছে খড়দহের ঘটনা। ডাকাতির কায়দাও একই। একই গ্যাং দুটি কাণ্ড ঘটিয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।