বিশ্বজিত্ সিংহ রায়: লকডাউনের সময়ে প্রায় ৪ লাখ টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল। পাওনাদারদের অত্যাচারে কোনও রাস্তাই দেখতে পাচ্ছিলেন না কোচবিহারের যুবক সুদেব সাহা। শেষপর্যন্ত নিজের একটি কিডনি বিক্রি করে দেন। কিন্তু তাতেও পুরো টাকা মেলেনি। সেই টাকা ফিরে পেতে চুঁচুড়া পুলিসের দ্বারস্থ সুদেব। ওই কেনাবেচার ক্ষেত্রে সুদেব একমাত্র চুঁচুড়ার তোলাফটকের বাসিন্দা শেখর দাসকে। তাকে খুঁজতেই এখন পুলিসের সাহায্য চাইছেন সুদেব।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-কোন মারাত্মক অপরাধ করে ফের বিতর্কে জড়ালেন নেইমার? জানতে পড়ুন   


কোচবিহারে বাড়ি হলেও নদিয়ার ফুলিয়ায় তাঁতের কারিগর ছিলেন সুদেব। তাঁর স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে গামছা বুনে সংসার চালাতেন। এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে তাদের ছিল সুখের সংসার। কিন্তু জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে লকডাউনের সময়ে। আয় বন্ধ। প্রচুর দেনা হয়ে যায়। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে কিডনি বিক্রি করতেও রাজি হয়ে যান। সোস্যাল মিডিয়ায় এক মহিলার মাধ্য়মে শেখরের সঙ্গে পরিচয় হয় সুদেবের। সাত টাকায় কিডনি বেচার চুক্তি হয়। কিন্তু সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়ে আর টাকা দেয়নি শেখর।


সুদেব বলেন, লকডাউনের সময়ে অনেক টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতির চাপে পড়ে একটা কিডনি একজনকে বিক্রি করি। সোদপুরে এক মহিলার সহ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল। সে আমাকে শেখর দাসের কাছে পাঠিয়েছিল। শেখর দাস আমাকে জয়পুরে নিয়ে গিয়ে এসব করেছে। বৈশাখ মাসে অপারেশন হয়েছিল। শেখর দাসের পরিচিত এক মহিলাকে আমার কিডনি দেওয়া হয়। তার বাড়ি উত্তরাখণ্ডে। মোট ৭ লাখ টাকা দেওয়ার কথা হয়। পাঁচ হাজার, দশ হাজার করে মোট সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়েছে। আর কোনও টাকা দেয়নি। টাকার জন্য শেষপর্যন্ত চুঁচুড়া থানার দ্বারস্থ হয়েছি। আমি টাকা চাই। এখন এমন পাওনাদারে চাপ যে বাড়িতে যেতে পারছি না।  ওই টাকা পেয়ে ছোটখাটো একটা ব্যবসা করব ভাবছিলাম। এখন সেই পরিকল্পনাও ভেস্তে গেল। এখন আত্মহত্য়া ছাড়া আর কোনও পথ আমার কাছে খোলা নেই।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)