নিজস্ব প্রতিবেদন : ডিএ মামলায় ফের বড় জয় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। ডিএ মামলায় হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের দাখিল করা রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ। এরফলে ডিএ মামলায় স্যাটের রায়দানে আর কোনও বাধা রইল না। আগামী ১৩ মার্চ ডিএ মামলায় রায়দান করবে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল। এরাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা কত হারে ডিএ পাবেন, তার ফয়সলা করবে স্যাট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বকেয়া ডিএ নিয়ে ২০১৬-র ২১ নভেম্বর স্যাটে মামলা করেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। ২০১৭-র ফেব্রুয়ারিতে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল রায় দেয় যে মহার্ঘ ভাতা দয়ার দান। ডিএ দেওয়া বা না দেওয়া, তার সম্পূর্ণটাই নির্ভর করে সরকারের উপর। স্যাটের সেই রায় ঘিরে বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়। স্যাটের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭-র মার্চে হাইকোর্টে মামলা করে একাধিক রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠন। দেড় বছর শুনানির শেষে ২০১৮-র ১ সেপ্টেম্বর  হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেয় ডিএ কোনও দয়ার দান নয়। মহার্ঘভাতার অধিকার আইনি অধিকার। রোপা আইন অনুযায়ী একজন রাজ্য সরকারি কর্মচারী ডিএ পেয়ে থাকেন।


আরও পড়ুন, চিনা প্রযুক্তিতে তৈরি ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নয়া রেকের ফার্স্টলুক  


উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের তুলনায় এরাজ্যের সরকারি কর্মীরা এখন ৪৭ শতাংশ কম ডিএ পেয়ে থাকেন। অন্য রাজ্যের রাজ্য সরকারি কর্মীরা যখন কেন্দ্রীয় হারেই ডিএ পান, তখন এরাজ্যের ক্ষেত্রে ডিএ বৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে সরকারি কর্মীদের সংগঠন। প্রশ্ন ওঠে, এরাজ্যের সরকারি কর্মীরা কেন কেন্দ্রের সমহারে ডিএ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন? রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা কত হারে ডিএ পাবেন? কেন্দ্রের হারেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা দেওয়া হবে কি না? সেই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য স্যাটকে নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।


আরও পড়ুন, খুব শিগগির-ই বাজারে আসছে ২০ টাকার কয়েন


হাইকোর্টের নির্দেশের পর মামলা ফেরে স্টেট অ্যাডিমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে। কিন্তু স্যাটে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ-র হার নির্ধারণের বিষয়ে ফয়সলা হওয়ার আগেই সরকার ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। ডিএ মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশকে পর্যালোচনা করে দেখার জন্য রিভিউ পিটিশন দাখিল করে রাজ্য সরকার। যার ফলে স্যাটে মামলাটির শুনানি স্থগিত হয়ে যায়। আজ হাইকোর্ট রিভিউ পিটিশনটি খারিজ করে দেওয়ায়, ডিএ মামলায় রায়দানের ক্ষেত্রে স্যাটের আর কোনও বাধা রইল না।