নিজস্ব প্রতিবেদন : একদিকে উত্তরে বরফ, অন্যদিকে ঠান্ডায় জবুথবু দক্ষিণ। দাপুটে শীতের কামড়ে ঠরঠরিয়ে কাঁপছে রাজ্যবাসী। বর্ষবরণের আগেই কলকাতায় পারদ নামল ১০ ডিগ্রিতে। হাড়হিম করা ঠান্ডা জাঁকিয়ে বসল মহানগরীতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলকাতায় শীতের লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ। একলাফে পারদ নেমে গিয়েছে ১১ ডিগ্রির নীচে। আজ কলকাতা ও পাশ্ববর্তী এলাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে যা ৩ ডিগ্রি কম। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, আরও কমবে তাপমাত্রা।


উত্তরে হিমাঙ্কের নীচে কার্শিয়াংয়ের তাপমাত্রা। রিশপ, দার্জিলিং, ঘুমে গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে তুষারপাত। সাদা চাদরে ঢেকেছে লাভাও। রাস্তা, গাছপালা ঢেকে আছে বরফের সাদা চাদরে। একদিকে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা, সঙ্গে বরফ, আহ্লাদে আটখানা পর্যটকদের দল। বরফে ঢাকা সাদা কাঞ্চনজঙ্ঘার পাশাপাশি এবার উপরি পাওনা তুষারপাত। এদিকে পাহাড়ে তুষারপাতের জেরে সমতলেও হুড়মুড়িয়ে নামছে পারদ। শিলিগুড়ি সহ সংলগ্ন এলাকায়  টানা নিম্নমুখী পারদ।


পাহাড়ে বরফের জেরে কাঁপছে উত্তরবঙ্গ। সঙ্গে রয়েছে ছিঁটেফোঁটা বৃষ্টিও।  দুয়ের কামড়ে কনকনে ঠান্ডা মালুম হচ্ছে মালবাজারে। ভোরে কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় গোটা এলাকায়। বেলা বাড়তে কিছুটা পরিষ্কার হয়। দৃশ্যমানতা কম থাকায় শুনশান  রাস্তাঘাট। ধীরগতিতে চলছে  ট্রেনও। জমাট ঠান্ডা পড়েছে মালদাতেও। দশের ঘরে পারদ। উত্তুরে হাওয়ায় কনকনে শীত। কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ। বেলা গড়াতেই আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করতেই ঠান্ডার কামড় টের পাচ্ছে জেলাবাসী।   


কোচবিহার সদরে কুয়াশার দাপট তেমন না হলেও, জেলার অন্যত্র  কুয়াশার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে সকাল থেকেই। তুফানগঞ্জে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক কার্যত কুয়াশায় ঢাকা। কুয়াশার কারণে দৃশ্যমান্যতা খুব কম। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। রাস্তার ধারে অনেকেই দেখা যায় আগুন জ্বালিয়ে শীতের আমেজ উপভোগ করছেন।


ছবিতে দেখুন, সাত বছর পর তুষারপাত রিশপে, উল্লসিত পর্যটক দল


বাঁকুড়ায় আজ আটের কোটায় নেমেছে পারদ। শীতপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে। জেলা জুড়ে ঠান্ডার কামড় মালুম হচ্ছে। শীতের কামড় বর্ধমানেও। জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস।  ফলে জমাটি ঠান্ডায় হাড়হিম হয়ে গিয়েছে বাসিন্দাদের। কনকনে ঠান্ডা পড়েছে দুর্গাপুরেও। শীতের সঙ্গেই রয়েছে কুয়াশার দাপট। ফলে দৃশ্যমানতা তলানিতে নেমে গিয়েছে। রাস্তায় গাড়ি ঘোড়া নেই বললেই চলে। শুনশান রাস্তাঘাট।


শীতের মরশুমে ঠান্ডায় জবুথবু আসানসোল শিল্পাঞ্চল। চলছে শৈত্যপ্রবাহ । শুনশান গোটা এলাকা।  কাজে যাওয়ার জন্য বেরোলেও লোকসংখ্যা হাতেগোনা। বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বেলে এই ঠান্ডা থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন শিল্পাঞ্চলের সাধারণ মানুষ । আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


শীতের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে পুরুলিয়াতেও । আজ পারদ নেমেছে ৭ ডিগ্রিতে। জমাট শীতে দাঁতে দাঁত কপাটি লেগে গিয়েছে জেলাবাসীর। জাঁকিয়ে বসা শীতে কাবু ঝাড়গ্রামও। ক্রমশ নামছে পারদ। আজ জেলার সর্নিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে রক্ষা একটাই, নেই কনকনে হাওয়া । শেষ দশ বছরে এরকম শীত কবে পড়েছে, মনে করতে পারছেন না জেলাবাসী।