নিজস্ব প্রতিবেদন: তন্ত্রসাধক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন নবদ্বীপের আগমেশ্বরী কালী। এখান পাড়া আগমেশ্বরী নামে পরিচিত। আগমেশ্বরী কালী প্রায় চারশো বছরের প্রাচীন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদেশে যে ব্যাপক দক্ষিণা কালীর পুজো প্রচলন রয়েছে, তার রূপ এবং পুজো পদ্ধতির রূপকার হলেন কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ। তার বৃহৎ তন্ত্রসারেই শ্যামপুজা বা দক্ষিণা কালীর প্রথম লিখিত  পুজো পদ্ধতি পাওয়া যায়। কার্তিকী অমাবস্যায় পুজো হয় কৃষ্ণানন্দ পূজিত কালী মূর্তির।


আরও পড়ুন- কী করে কাটোয়ার মা ক্ষেপি হলেন জানেন?



কৃষ্ণানন্দের পঞ্চদশ উত্তর প্রজন্ম বংশের নিয়ম মেনেই পঞ্চমীতে নিজের হাতে তৈরি করেন পাঁচ পোয়া খড়ের মূর্তি। তারপর পরের একাদশী পর্যন্ত ঐ মূর্তিরই পুজো ও ভোগ হয়। একাদশীতে যখন বড় প্রতিমার খড় বাঁধা হয় তখন ছোট ৫ পোয়ার প্রতিমাকে স্থাপন করা হয় বড় প্রতিমার বুকে। চতুর্দশীতে বসে প্রতিমার মাথা। আর অমাবস্যায় আঁকা হয় দেবীর চোখ।


আরও পড়ুন- কামাখ্যাই কামের মুক্তি, এখানে সতীর যোনিই শক্তির উত্স


আগমেশ্বরী কালীর পুজোর ভোগে দিতে হয় অড়হর ডালের খিচুড়ি, এচোড়, মোচা আর চালতার টক। পরের দিনই ১২টার আগে বেহারাদের কাঁধে চেপে বিসর্জনে যান দেবী।