Dakshin Dinajpur: ছাত্রীকে শাসনের `অপরাধ`, টান মেরে শিক্ষিকার শাড়ি খুলল দুষ্কৃতীরা, চাঞ্চল্য!
Dakshin Dinajpur: ঘটনাস্থলে যান জয়েন্ট বিডিও এবং স্কুল পরিদর্শক। স্কুল শিক্ষকদের ব্লক প্রশাসনের তরফে নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় ক্ষোভ ফেটে পড়েন প্রাক্তনীরা। তাঁরা স্কুলে পৌঁছতেই প্রধান শিক্ষক স্কুল থেকে পালিয়ে যান। ঘটনায় রীতিমতো নিন্দার ঝড় সবমহলে।
শ্রীকান্ত ঠাকুর: ছাত্রীকে শাসন করেছিলেন। এটাই নাকি অপরাধ! সেজন্য শিক্ষিকার শাড়ি খুলে নিল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের ত্রিমোহিনী প্রতাপচন্দ্র উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। এই ঘটনায় প্রাক্তনীরা স্কুলে বিক্ষোভ দেখায়। ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ঘটনার নিন্দায় সরব সবমহল।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে এক ছাত্রীকে শাসনের অভিযোগ তুলে, ত্রিমোহিনী প্রতাপ চন্দ্র উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় একদল দুষ্কৃতী। অভিযোগ, তখনই তারা শিক্ষকদের কমন রুমে ঢুকে পড়ে। এরপর এক শিক্ষিকার শাড়ি টেনে খুলে দেয়। শারীরিক হেনস্তার পাশাপাশি তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও করে। ঘটনার খবর পেয়ে, তাড়াতাড়ি ওই স্কুলে ছুটে যায় বিশাল পুলিস বাহিনী। এরপর পুলিস বিক্ষোভকারীদের ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেয়।
এরপর ঘটনাস্থলে যান জয়েন্ট বিডিও এবং স্কুল পরিদর্শক। স্কুল শিক্ষকদের ব্লক প্রশাসনের তরফে নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় ক্ষোভ ফেটে পড়েন প্রাক্তনীরা। তাঁরা স্কুলে পৌঁছতেই প্রধান শিক্ষক স্কুল থেকে পালিয়ে যান। ঘটনায় রীতিমতো নিন্দার ঝড় সবমহলে।
ওই স্কুলের প্রাক্তনী দীপঙ্কর ঘোষ বলেন, "এই অনভিপ্রেত ঘটনায় আমরা মর্মাহত। আমাদের স্কুলে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। আমরা ঘটনার নিন্দা করছি। দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমরা এর প্রতিবাদ করছি।"
এই প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক কমলকুমার জৈন বলেন, "আলোচনা চলছিল। তখনই জনতা উত্তেজিত হয়ে যায়। শিক্ষিকার সঙ্গে যা করা হয়েছে, তা কাম্য ছিল না। প্রশাসনের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মিটমাট হয়ে গিয়েছে।"