নিজস্ব প্রতিবেদন: গ্রামবাসীদের চাপে কবর থেকে এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠালো জামুরিয়া থানার পুলিস। কেন ফের কবর থেকে মৃতদেহকে তোলা হলো? প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর খবর।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বছর আটের ওই শিশুটির বাড়ি আসানসোলের জামুরিয়ার বোরিংডাঙ্গা গ্রামে । বোরিংডাঙা গ্রামে বাড়ি হলেও আশেপাশের গ্রামের মানুষ তাকে ল্যাংচা বলে চিনত। বড় মিশুকে হওয়ায় সবার প্রিয় হয়ে উঠেছিল সে।
জানা যায়, তার বাবা-মা নেই । দাদুর কাছে বড় হয়ে ওঠা । সেই ল্যাংচাকে ঘিরে বুধবার সকালে বোরিংডাঙার পাশের নন্দীগ্রামে প্রতিদিনের চেনা ছবিটি হয়ে ওঠে অচেনা ।


সকালে ওই গ্রামের চাষীরা মাঠে কাজ করতে যাওয়ার সময় দেখতে পান নন্দীগ্রামের শ্মশানে একটি বাচ্চাকে কবর দিচ্ছে কিছু মানুষ। কাছে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান. তাঁদের পরিচিত ল্যাংচার মৃতদেহ কবর দিচ্ছেন তাঁরা। কীভাবে মারা গেল ল্যাংচা? বাড়ির লোকেরা জানায় বাড়ির মধ্যেই খেলতে গিয়ে  ছোট্ট কুয়োতে পড়ে মারা গিয়েছে সে। এই তত্ত্ব বিশ্বাস করেননি নন্দীগ্রামের মানুষ। খবর যায় বোরিংডাঙা গ্রামে। দুই গ্রামের বাসিন্দা দেহ আটকে জামুরিয়া থানায় খবর দেয়। দেহ ময়নাতদন্তের দাবি জানান তাঁরা।  


আরও পড়ুন: করোনা পজিটিভ তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ-র, নিজেই জানালেন ফেসবুকে


পুলিস এসে মৃতদেহ কবর থেকে তুলে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিস প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে নাবালকের  জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে। তাকে খুন করা হয়নি। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিস একটি অস্বাভাবিক মুত্যুর মামলা রুজু করেছে।


এরপরও গ্রামবাসীদের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন. ল্যাংচার বাবা-মা না থাকায় কি খুন হতে হলো। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ছেলেটির দাদু খুব অত্যাচার করত তাকে। সেই কারণে মাঝেমাঝে দাদুর কাছ থেকে পালিয়ে নন্দীগ্রামে তাঁর এক পরিচিতর কাছে গিয়ে থাকত। দাদু আবার  নিয়ে আসত। গ্রামবাসীদের একাংশের অনুমান, ল্যাংচাকে খুন করে লুকিয়ে কবর দেওয়া হচ্ছিল। পুলিসের প্রাথমিক রিপোর্টে কুয়োতে পড়ে ল্য়াংচার জলে ডুবে মৃত্যু বললেও তা বিশ্বাস করছেন না গ্রামের অনেকেই ।