ওয়েব ডেস্ক: রামনবমীর পর এবার হনুমান জয়ন্তী। ফের রাস্তায় গেরুয়া বাহিনীর দাপট। আর এই দাপট ঘিরেই অশান্তি সিউড়িতে। অনুমতি ছাড়া মিছিল করায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মিছিলে  লাঠিচার্জ করল পুলিস। গেরুয়া মিছিলে পুলিসের লাঠি। ধস্তাধস্তি। সিউড়িতে ধুন্ধুমার। রামনবমীর রেশ কাটেনি এখনও। এবার পালা হনুমান জয়ন্তীর। মঙ্গলবার গেরুয়া মিছিলকে ঘিরে অশান্তি  সিউড়িতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হনুমান জয়ন্তীকে সামনে রেখে সিউড়ি শহরে  মিছিলের ডাক দেয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। থাকার কথা ছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। কিন্তু, পুলিস অনুমতি দেয়নি। যাননি দিলীপবাবুও।  তাতে কি?  কর্মীদের উত্সাহে ভাটা পড়েনি। বেলা একটু বাড়তেই একের পল্লি এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন  সমর্থকরা। শুরু হয় মিছিল। সিউড়ি শহর ঘুরে মিছিল মাদ্রাসা রোডে ঢোকার চেষ্টা করতেই আটকায় পুলিস। শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। মিছিল থেকে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা হতেই লাঠিচার্জ করে পুলিস। মুহুর্তে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বাসস্ট্যান্ড চত্বর। (হাওড়ায় হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রায় সামিল লক্ষ্মীরতন শুক্লা ও বৈশালী ডালমিয়া)


একদিকে যখন এমন ধুন্ধুমার। তখনই  RT রোড বিজেপি কার্যালয়ের সামনে ছবি তুলছিলেন কয়েকজন সিভিক ভলেন্টিয়ার।  জোর করে তাদের ঢুকিয়ে নেওয়া হয় অফিসের ভিতর। ক্যামেরা ছিনিয়ে শুরু হয় বেধড়ক মার। মিছিল ঘিরে চড়তে শুরু করে রাজনীতির পারদ। তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছে পুলিস। তোপ বিজেপির। "তালিবানি শাসন চলছে' মন্তব্য দীলিপ ঘোষের। বিজেপি ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছে। পাল্টা তোপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। রামনবমী থেকে নতুন খাতে বইতে শুরু করেছে রাজ্যের রাজনীতি। এবার হনুমান জয়ন্তী। আগামী দিনে কোনদিকে বাঁকবে রাজনীতির পথ? আগ্রহের সঙ্গে নজর রাখছে রাজনৈতিক মহল।