Jhargram Laxmi Puja: পুজোয় বসে একটাই জিলিপির দোকান; চাহিদাও আকাশছোঁয়া, ১০৭ বছর ধরে চলছে এই পরম্পরা

এবার ১০৭ বছরের পার করল এই লক্ষী পুজো। এবার যিনি দোকানের অনুমতি পেয়েছেন সেই রাইস মণ্ডল জানালেন, এবার এক লক্ষ একাশি হাজার টাকা দিয়ে তিনি এই দোকানের অনুমতি পেয়েছেন
সৌরভ চৌধুরী: পুজোয় গোটা গ্রামে একটাই জিলিপির দোকান। একটানা কারিগররা জিলিপি বানিয়ে চলেছেন। তাও দিয়ে কুলিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। প্রতি বছর দেখা মেলে এই দৃশ্যের। গোটা ঝাড়গ্রামের নজরে থাকে হাড়দা গ্রামের এই লক্ষ্ণী পুজোর উপরে। গত ১০৭ বছর ধরে চলে আসছে এই পরম্পরা। প্রতি বছর এই গ্রামে ধুমধাম করে লক্ষী পুজো হয়। কারণ দুর্গাপুজোর থেকে লক্ষ্মীপুজোতেই এখানে ধুমধাম বেশি। পুজোর বিশেষ আকর্ষণ এই জিলিপির দোকান। পুজোর আগে দোকানের নিলাম হয়। সর্ব্বোচ্চ দাম যিনি দেন তিনিই অনুমতি পান দোকান করার। লক্ষী পুজো থেকে শুরু করে ভাইফোঁটা পর্যন্ত এই জিলিপির দোকান থাকে। এই সময় দ্বিতীয় কোনও দোকানে জিলিপি তৈরী হবে না। অদ্ভুত বিষয় এই পুজোর সময়ের জিলিপির স্বাদ অন্য সময় বলে মনে করেন এলাকার মানুষজন। অন্যসময় জিলিপির সেই স্বাদ হয় না।
আরও পড়ুন-টেট পাস মানেই চাকরি নয়, প্রাইমারিতে নিয়োগ নিয়ে বড় ঘোষণা পর্ষদ সভাপতির
এবার ১০৭ বছরের পার করল এই লক্ষী পুজো। এবার যিনি দোকানের অনুমতি পেয়েছেন সেই রাইস মণ্ডল জানালেন, এবার এক লক্ষ একাশি হাজার টাকা দিয়ে তিনি এই দোকানের অনুমতি পেয়েছেন। রোজ প্রায় দু কুইন্টাল জিলিপি বিক্রি হয়। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ মায়ের দর্শন করে জিলিপি কিনে ঘরে ফেরেন। পুজো কমিটির সেক্রেটারি গ্রামের এই পরম্পরার কথা জানালেন। পুজোকে ঘিরে আরও একাধিক অনুষ্ঠান হয় গ্রামে। কিন্তু বিশেষ আকর্ষণ এই জিলিপি।
দোকানের মালিক রাইস মণ্ডল বলেন, লক্ষ্মী পুজো থেকে ভাইফোঁটা পর্যন্ত দোকান চলে। মানুষের এর প্রতি বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। জিলিপির চাহিদাও প্রচুর। অনেক দূর দূর থেকে মানুষ আসেন এই জিলিপি কেনার জন্য। পুজোয় দোকান করার জন্য নিলাম ডাক হয়। যে কেউ দোকান কেনার জন্য ডাক দিতে পারে। যিনি সবচেয়ে বেশি টাকা দেবেন তিনিই দোকান পাবেন। এবার আমি পেয়েছি। এক লক্ষ একাশি হাজার টাকা দিয়ে দোকান নিয়েছি। পুজোর সময় এই জিলিপির স্বাদ একটু অন্যরকম হয়। পরে যেই দোকান করুক না কেন সেই স্বাদ আর পাওয়া যায় না। গতকাল প্রচুর চাহিদা ছিল। সবাইকে জিলিপি দিতে পারিনি। তাই আজ কারিগরের সংখ্যা আরও বাড়িয়েছি। সবে মিলিয়ে দুশো কুইন্টাল জিলিপি বিক্রি হয়।
পুজো কমিটির সম্পাদক সমীরণ সাহা বলেন, একশো সাত বছর ধরে এই পুজো চলছে। এখানে বিশেষ আকর্ষণ জিলিপি, আতসবাজি ও বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গত দুবছর পুজো হলেও অন্যান্য অনুষ্ঠান করতে পারিনি। এবার তাই পুজোয় প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছে।