নিজস্ব প্রতিবেদন: বন দফতর আশ্বাস দিয়েছিল চিতাবাঘ নেই। কিন্তু মন মানতে চায়নি গ্রামবাসীদের। কারণ আশেপাশের তার পায়ের ছাপ স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলেন তাঁরা। সন্দেহ দূর করতে নিজেরাই ঝোপের মধ্যে উঁকি দিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন গ্রামের ২ যুবক। আর তাতেই ঘটল বিপত্তি। আশঙ্কা সত্যি করেই ঝোপের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা চিতাবাঘটি লাফিয়ে পড়ল এক্কেবারে ঘাড়ের ওপরে। তারপরের দৃশ্য রীতিমতো চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা পুলিসের গাড়ির, উত্তপ্ত জলপাইগুড়ির রাজবাড়ি পাড়া এলাকা
বাঘে-মানুষের লড়াই... 
হাড় হিম দৃশ্যের সাক্ষী থাকল জলপাইগুড়ির হলদিবাড়ির পারমেখলিগঞ্জ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই এলাকায় চিতাবাঘের উপদ্রুব বেড়েছে। মাঝেমধ্যেই গ্রামে ঢুকে পড়ছে একটি চিতাবাঘ। সোমবারই বাঁশ কাটতে গিয়ে চিতাবাঘের হানায় গুরুতর জখম হন এক যুবক। সেসময়ে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি সামলে নেন গ্রামবাসীরাই। লাঠিসোটা নিয়ে চিতাবাঘটিকে তাড়িয়েদেন। 
কিন্তু তারপরই খবর দেন বন দফতরে। চিতাবাঘটিকে যাতে তার নিজের আস্তানায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়, তার আবেদন জানান গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার সকালে গ্রামে যান বনকর্মীরা। তাঁরা গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালান। কিন্তু চিতাবাঘের খোঁজ পাননি তাঁরা। তাতেই বনকর্মীরা ধরে নেন, চিতাবাঘটি জঙ্গলে ফিরে গিয়েছে। কিন্তু বনকর্মীদের দাবি মানতে নারাজ গ্রামবাসীরা। 


আরও পড়ুন: পারিবারিক অশান্তির জেরে শাশুড়িকে খুন পুত্রবধূর
নিজেরাই ফের ঝোপগুলি খুঁজতে থাকেন। সেই দলে ছিলেন অতুল রায় ও লাল্টু রায় নামে বছর ২৭-এর দুই যুবকও। ঝোপের মধ্যে মুখ বাড়িয়ে খুঁজতে গিয়েই আচমকাই বেরিয়ে পড়ে চিতাবাঘটি। অতুল ও লাল্টুর গায়ে লাফিয়ে পড়ে সে। হাতে থাকা লাঠি এলোপাথাড়ি চালাতে থাকেন দুই যুবক। তাতেই ফের ঝোপের মধ্যে ঢুকে পড়ে চিতাবাঘটি। 
চিতাবাঘের থাবার গুরুতর আহত হয়েছেন অতুল ও লাল্টু। তাঁদের হলদিবাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ তল্লাশির পর ঘুমপাড়ানি ওষুধ দিয়ে চিতাবাঘটিকে কাবু করেন বনকর্মীরা। গ্রামে থেকে তাকে নিয়ে যাওয়ার সময়ে ফের লাঠি নিয়ে চিতাবাঘটিকে মারেন গ্রামবাসীরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে চিতাবাঘটিকে সেখান থেকে নিয়ে যান বনকর্মীরা।