নিজস্ব প্রতিবেদন: NRC-কে সামনে রেখে ফের ময়দানে নামছে বাম ও কংগ্রেস। একসঙ্গে। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে মহাজাতি সদন থেকে প্রতিবাদী পদযাত্রা। পা মেলাবেন সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, সোমেন মিত্র, প্রদীপ ভট্টাচার্য। আগামী নির্বাচনে বাংলায় যে বাম-কংগ্রেস জোট হতে চলেছে তা প্রায় নিশ্চিত। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দুই তরফেই নেতারা চান, যৌথ প্রতিবাদ কর্মসূচি করে তৃণমূল স্তরের কর্মীদের বার্তা দিতে। যাতে এখন থেকেই মতের আদানপ্রদান হয়। ভোটের প্রচারে পরস্পরকে সাহায্য করতে এই যোগাযোগই কাজে লাগবে। অতীতে একাধিকবার বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে বিভিন্ন নামে সমঝোতা হয়েছে। 


দুহাজার ষোলোর নির্বাচনে জোট করেই লড়েছিল দুপক্ষ। কিন্তু, তৃণমূলকে টলানো যায়নি।দুশোর বেশি আসনে জিতে ক্ষমতায় ফেরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও কঠিন। লোকসভা ভোটে ফলাফলে দেখা গেছে তলানিতে এসে পৌছেছে কংগ্রেস ও বামদলগুলির সমর্থন। কংগ্রেস তবু দুটি আসনে দিতেছে। বামেরা একটিও পায়নি। 


দুই পক্ষেই ভোট প্রাপ্তির হারে দুই অঙ্কে পৌছতে পারেনি। তৃণমূলের চ্যালেঞ্জার হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। তাই বেঁচে থাকার তাগিদেই দুপক্ষের হাতধরা। তা শুরু হচ্ছে এখন থেকেই। NRC-কে সামনে রেখে। উদ্দেশ্য দুটি। এক রাজ্যে আগ্রাসী বিজেপির গতিরোধ করতে জনমত গড়ে তোলা। দুই, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মমতা যাতে একা বাজি মেরে যেতে না পারেন, সেজন্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা। 


তারপরেও, কাজটা যে সহজ হবে না তা বলাই বাহুল্য। কারণ বাম সমর্থকদের সঙ্গে কংগ্রেস ভক্তদের সংস্কৃতি মেলা খুবই কঠিন। তাছাড়া অতীতে বহু বাম আন্দোলন জনমানসে সাড়া ফেললেও ভোটের বাক্সে সুফল মেলেনি।