নিজস্ব প্রতিবেদন: ইসলামপুরে দাঁড়িভিটে নিহত ২ ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করল বাম প্রতিনিধিদল। শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ দাঁড়িভিটে পৌঁছয় বাম প্রতিনিধিদল। নেতৃত্বে ছিলেন সুজন চক্রবর্তী ও অশোক ভট্টাচার্য। বাম প্রতিনিধিদলের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন সদ্য পুত্রহারা ২ মা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার ইসলামপুরের দাঁড়িভিট হাইস্কুলে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভরত ছাত্রদের ওপর পুলিস গুলি চালায় বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। যদিও গুলি চালানোর কথা এখনো স্বীকার করেনি পুলিস। ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। যদিও সরকারের অভিযোগ, গোটা ঘটনায় মদত রয়েছে আরএসএস ও বিজেপির। 


শনিবার ছাত্র ধর্মঘট! ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমা চাইতে হবে’, দাবি এসএফআই-এর


শনিবার সকাল ১০টায় দাড়িভিট পৌঁছন অশোকবাবুরা। নিহত ২ ছাত্রের বাড়িতে যান তাঁরা। এর পর যান দাঁড়িভিট হাইস্কুলে। বাম প্রতিনিধিদলের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতদের পরিজনরা। একই সঙ্গে তদন্তের নামে গোটা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করে সিবিআই তদন্তের দাবি তোলেন তাঁরা। 


নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বিধানসভায় বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'এই কষ্ট চোখে দেখা যায় না। তদন্তের নামে এখানে প্রহসন চলছে। পুলিস কখনো পুলিসের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে পারে না। তাই আমরা বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি। দুই পরিবার সহমতির ভিত্তিতে দেহ দু'টি দাহ না-করে মাটিতে পুঁতে রেখেছে। আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। দোষীদের শাস্তি চাই।'


জ্বলজ্যান্ত ২টো ছেলের খুনের তদন্ত চায় গোটা দাড়িভিট। তাই দেহ গ্রামের পাশে নদীর চরে পুঁতে রাখা হয়েছে। তৃণমূলের লোকজন সেখান থেকে দেহ গায়েব করে দিয়ে পারে এই আশঙ্কায় দফায় দফায় পাহারা দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা। বাম প্রতিনিধিদল এদিন দাঁড়িভিট ছাড়তেই অবরোধ শুরু করেন গ্রামবাসীরা।