নিজস্ব প্রতিবেদন : নতুন বছর উদযাপন করতে সদলবলে ঘুরতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফেরার সময় অভিজ্ঞতা হল ভয়াবহ। আনন্দের তাল কাটল নতুন বছরের প্রথম দিনেই। দ্রুত গতিতে ধেয়ে আসা গাড়ির ধাক্কায় জখম দুটি চিতাবাঘ। একইসঙ্গে গাড়ি উল্টে গুরুতর জখম হয়েছেন ৫ জন যাত্রীও। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বানারহাট এলআরপি মোড়-এর কাছে ৩১সি জাতীয় সড়কের উপর। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় জখম ৫ যাত্রীই কোচবিহারের বাসিন্দা। নতুন বছর উপলক্ষে ডুয়ার্সের ঝালং সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে গিয়েছিলেন তাঁরা। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ফাঁকা জাতীয় সড়ক ধরে গাড়ি নিয়ে দ্রুত গতিতে ফিরছিলেন। সেইসময়ই বানারহাট এলাকা পার হওয়ার সময় হঠাত্ই রাস্তায় উঠে আসে দুটি চিতাবাঘ। দ্রুত গতিতে থাকা গাড়িটি ধাক্কা মারে চিতাবাঘ দুটিকে। ধাক্কা মারার পর রাস্তার উপরই প্রায় ৫০ মিটার ছেঁচড়ে যায় গাড়িটি। তারপরই সেটি উল্টে যায়। 


দুর্ঘটনার জেরে গাড়ির ৫ জন যাত্রীই গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে একটি চিতাবাঘ গুরুতর জখম হয়ে রাস্তার ধারে ছিটকে পড়ে। তার নড়াচড়ার ক্ষমতা ছিল না। অন্য চিতাবাঘটির আঘাত তুলনামূলক কম লেগেছিল। সেটি রাস্তার ধারে ঝোপে আশ্রয় নেয়। দুর্ঘটনার খবর পেতেই রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বানারহাট থানার পুলিসকর্মী এবং বন্যপ্রাণ শাখার বিন্নাগুড়ি রেঞ্জের কর্মীরা। চলে আসেন ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরীও। 


প্রায় রাতভর চেষ্টার পর ভোরের দিকে ঘুমপাড়ানি গুলি করে গুরুতর জখম চিতাবাঘটিকে জাল দিয়ে বন্দি করা হয়। তারপর সেটিকে উদ্ধার করা হয়। তবে ঝোপে আশ্রয় নেওয়া চিতাবাঘটিকে সকাল হওয়ার পরেও উদ্ধার করতে পারেননি বনকর্মীরা। আজ সকাল থেকেই ওই চিতাবাঘটির খোঁজে পটকা ফাটিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন বনকর্মীরা। তবে এখনও খোঁজ মেলেনি সেটির। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।


আরও পড়ুন, কনভয় ভেঙে 'ঢুকল' গাড়ি, বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা বাবুলের