নিজস্ব প্রতিবেদন: ডুয়ার্সে ফের চিতাবাঘের আতঙ্ক। ছাগলের লোভে গৃস্থের শোয়ার ঘরে ঢুকে পড়ল চিতাবাঘ। কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচলেন মা ও মেয়ে। শনিবার রাত ১০টা তুমুল আতঙ্ক সৃষ্টি হয় মালবাজার মহকুমার ক্রান্তি ব্লকের খালপাড়ের অমল রায় নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার অমল রায়ের স্ত্রী সুনীতি রায় ও তার মেয়ে রান্না সেরে শোয়ার ঘরের খাটের উপরে বসেছিলেন। খাটের নীচে ছিল একটি ছাগল। হঠাত্ বেড়া ভেঙে একটি চিতাবাঘ ঢুকে পড়ে খাটের নীচে থাকা ছাগলটিকে পাকড়াও করে। ওই দৃশ্য দেখে চিত্কার শুরু করে সুনীতি ও তাঁর মেয়ে। আসপাশের লোকজন ছুটে এসে কোনওক্রমে মা ও মেয়েকে ঘরে থেকে বের করে দরজা বন্ধ করে দেয়। সেইসময় চিতাবাঘটি ছাগলের গলা কামড়ে ধরেছিল। তাই অন্য কারও উপরে হামলা করেনি।


ওই ঘটনার পরই ক্রান্তি ফাঁড়ি ও কাঠামবাড়ি আপালচাঁদ বনদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং কাঠামবাড়ি আপালচাঁদ রেঞ্জের বনদপ্তরের কর্মী ও মালবাজার ওয়ার্ল্ড লাইভ কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। সেই সময় একদিকে বৃষ্টি এবং চারদিকে মানুষজনের ভিড় থাকায় খুব সাবধানে চিতাবাঘটিকে ট্র‍্যাঙ্কুলাইস করেন বন কর্মীরা। 


সুনীতি রায় বলেন, শোবার ঘরে ছাগল ছিল। ঘরের ফাঁকা দিয়ে বাঘ ঢুকে ছাগলটিকে ধরে। আমরা চিৎকার ছেঁচামেচি করলে পাশের বাড়ির লোক এসে আমাদের বের করে। বনদপ্তর আধিকারিকরা সে বাঘটিকে পাকড়াও করে। আমাদের কোনো ক্ষতি না হলেও ছাগলটি মারা গিয়েছে। 


মালবাজার ওয়াইল্ড লাইফের রেঞ্জার দীপেন সুব্বা জানিয়েছেন, খুব সাবধানে চিতাবাঘটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি করে কাবু করা হয়। রাতেই  লাটাগুড়ির এন আই সি তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।  দুইদিন অবজার্বে রাখার পরে বাঘটি ছাড়া হবে।


এব্যাপারে এলাকার পরিবেশ প্রেমী নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার সোসাইটির সম্পাদক বিশ্বজিৎ নন্দী বলেন, কপাল ভালো চিতাবাঘটি ছাগলকেই আক্রমণ করেছিল। ছাগল না থাকালে বা পালিয়ে গেলে, মা ও মেয়ের ওপর আক্রমণ করতে পারতো। এব্যাপারে বন দপ্তরকে আরো বেশি সতর্ক হতে হবে। এলাকায় টহলদারি বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে আমরা সহযোগিতা করব।  


আরও পড়ুন-আলিয়ার ভিসিকে গালাগালি-প্রাণনাশের হুমকি, গ্রেফতার ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)