ঘুমপাড়ানি গুলি নাকি গ্রামবাসীদের বেধড়ক মার? চিতাবাঘের মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা
শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় রাইচেঙ্গা হাইস্কুলের পাশে আলু খেতের মধ্যে একটি পূর্ণ বয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘকে দেখতে পান গ্রামবাসীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বনকর্মীরা যখন ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে চিতাবাঘটিকে কাবু করার চেষ্টা করছিলেন, তখনই লাঠি হাতে প্রস্তুত ছিলেন গ্রামবাসীরাও। শরীরে ঘুম পাড়ানি গুলি লাগার পর কিছুটা নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল চিতাবাঘটি। তারপরই তার ওপর শুরু হয় লাঠি নিয়ে বেপরোয়া হামলা। লাঠির আঘাতেই প্রায় সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে আলিপুরদুয়ারের রাইচেঙ্গা গ্রামে ধরা পড়া চিতাবাঘটি। জি ২৪ ঘণ্টার হাতে এসেছে চিতাবাঘের ওপর গ্রামবাসীদের হামলার সেই ভিডিও ফুটেজ। তবে কি গ্রামবাসীদের মারেই মৃত্যু হয়েছে চিতাবাঘটির? নাকি বেশিমাত্রায় ঘুমপাড়ানি গুলির ফলে মৃত্যু? আলিপুরদুয়ারের খয়রাবাড়ি রেসকিউ সেন্টারে একটি পূর্ণ বয়স্ত স্ত্রী চিতাবাঘের মৃত্যুর ঘটনায় বাড়ছে রহস্য।
শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় রাইচেঙ্গা হাইস্কুলের পাশে আলু খেতের মধ্যে একটি পূর্ণ বয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘকে দেখতে পান গ্রামবাসীরা। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে। খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। বনকর্মীরা গিয়ে ঘুম পাড়ানি গুলি ছুড়ে চিতাবাঘটিকে খাঁচাবন্দি করেন। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় খয়েরবাড়ি রেসকিউ সেন্টারে। সেখানে তার চিকিত্সা শুরু হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যু হয় চিতাবাঘটির।
কিন্তু ইতিমধ্যেই জি ২৪ ঘণ্টার হাতে এসেছে একটি ভিডিও ফুটেজ। তাতে দেখা যাচ্ছে, বনকর্মীরা ঘুম পাড়ানি গুলি ছুড়লে, তা চিতাবাঘের শরীরে লাগে। তারপর আচ্ছন্ন হয়ে যায় চিতাবাঘটি। তাকে উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা লাঠি নিয়ে এলোপাথাড়িভাবে মারা হয়। এরপর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে চিতাবাঘটি।
আর এখানেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বনকর্মীদের ছোড়া ঘুমপাড়ানি ওষুধ নাকি গ্রামবাসীদের মার, কীভাবে চিতাবাঘটির মৃত্যু হল, তা তদন্ত করছেন বন দফতরের আধিকারিকরা। অন্যদিকে, চিতাবাঘের ভয়ে আতঙ্ক ছড়াল আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটের হান্টাপাড়া চা বাগানের ফ্যাক্টরি লাইনে। সেখানেও পরে একটি পূর্ণ বয়স্ক চিতাবাঘ দেখতে পাওয়া যায়। পরে বনদফতরের পাতা খাঁচায় ধরা পড়ে সে।