নিজস্ব প্রতিবেদন : লোকালয়ে ফের চিতাবাঘের হানা। এই ঘটনায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। উল্লেখ্য, গত একমাস ধরে চিতাবাঘের আতঙ্কে কাঁপছে মাদারিহাট ব্লকের গ‍্যারগান্ডা, তুলসিপাড়া, ধুমচিপাড়া।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ মাদারিহাটের বাসিন্দা মানিক দাসের গোয়াল ঘরে হানা দেয় চিতাবাঘটি। গোয়ালঘর থেকে একটি বাছুরকে টেনে নিয়ে যায়  চিতাবাঘটি। বাছুরের চিত্কার শুনেই বাইরে বেরিয়ে আসেন মানিক দাসের পরিবারের লোকেরা। তখনই তাঁরা  লক্ষ‍্য করেন একটি চিতাবাঘ তাঁদের গোয়ালঘর থেকে একটি বাছুরকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।


আরও পড়ুন, মোবাইলে ছবি তুলতে গিয়ে, হাতির হানায় মৃত্যু বাংলাদেশের জাতীয় দলের প্রচার সচিবের


সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। খবর পেয়েই ঘটনাস্তলে আসেন বনদফতরের কর্মীরা। কিন্তু বনদফতরের কর্মীরা আসার আগেই চম্পট দেয় চিতাবাঘটি। প্রসঙ্গত, দিন বারো আগেই এই মাদারিহাটেই ৩ বছরের  এক শিশুকন্যাকে ঘর থেকে টেনে নিয়ে যায় চিতাবাঘ। রাতভর তল্লাশির পর পরদিন সকালে চা বাগান থেকে উদ্ধার হয় শিশুর খণ্ডবিখণ্ড দেহ। দেখা যায়, চিতাবাঘটি শিশুটিকে খুবলে খুবলে খেয়েছে।


মাদারিহাটের গ্যারগান্ডা চা বাগানের ফ্যাক্টরি লাইনে থাকত ৩ বছরের ছোট্ট প্রমিতা ওঁরাও। সেদিন সন্ধ্যাতেও অন্যদিনের মতো ঘরে খেলছিল সে। এমনসময়ই অতর্কিতে চিতাবাঘের আক্রমণ। ঘর থেকে ছোট্ট প্রমিতাকে তুলে নিয়ে যায় চিতাবাঘ। সঙ্গে সঙ্গেই গোটা এলাকায় খবর হয়ে যায়।


আরও পড়ুন, বিরিয়ানির দাম না মেটানোয় খদ্দেরের জামা-প্যান্ট খুলে নিল দোকানদার!


 হুলুস্থুল পড়ে যায় এলাকায়। শিশুর খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। আতঙ্কে প্রমাদ গুনতে থাকেন স্থানীয়রা। কিন্তু বহু তল্লাশির পরেও সারা সন্ধ্যা, রাত নিখোঁজ শিশুকন্যার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। সারা রাত তল্লাশির পর পরদিন সকালে গ্যারগান্ডা চা বাগানেই নিখোঁজ শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার হয়।