দেবজ্যোতি কাহালি: কোচবিহার জেলার রসিকবিল প্রকৃতি পর্যটনকেন্দ্র জুড়ে এখন খুশির আমেজ। গত ২ এপ্রিল পর্যটনকেন্দ্রে চিতাবাঘের এনক্লোজারে গরিমা মাদাম চিতা জন্ম দিয়েছিল ৩ সন্তানের।  এরপর ১৪ এপ্রিল রিমঝিম আরও ৪টি সন্তানের জন্ম দেয়। কোচবিহার বন বিভাগের এডিএফও বিজনকুমার নাথ জানিয়েছেন, রসিকবিল প্রকৃতি পর্যটনকেন্দ্রে এক লাফে চিতাবাঘের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২টি। আপাতত দুটি নাইট শেল্টারে মা ও তাদের সন্তানদের আলাদাভাবে রাখা হয়েছে৷ এনক্লোজারের বাকি তিন চিতাবাঘ যাতে কোনওভাবেই তাদের এসময় বিরক্ত না করে সেদিকে খেয়াল রাখছেন বনকর্মীরা৷


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ব্যারাকপুরের 'বিজয় সংকল্প সভা' থেকে বাংলাকে ৫ গ্যারান্টি দিলেন মোদী! কী সেই প্রতিশ্রুতি?


এদিকে এনক্লোজারে যে নাইট শেল্টারে সদ্যোজাতরা সহ রিমঝিম ও গরিমা রয়েছে সেদিকে যাতে পর্যটকরা যাতায়াত না করেন সেজন্য এনক্লোজারের দিকটা উঁচু করে ঢেকে রাখা হয়েছে। শাবকদের কাছে কাউকে ঘেঁষতে দিচ্ছে না মা গরিমা, রিমঝিম। সেই কারণে এখনও তাদের লিঙ্গ নির্ধারণ সম্ভব হয়নি। মা ও সন্তানরা সকলেই সুস্থ রয়েছে। চিকিৎসকরা সবসময় তাদের নজরে রাখছেন।


বিজন কুমার নাথ বলেন, রসিকবিলে ২টি লোপার্ড ছিল, গরিমা ও রিমঝিম। গরিমা প্রথম ৩টে শাবকের জন্ম দিয়েছে। পরে রিমঝিম আরও ৪ শাবকের জন্ম দিয়েছে। পর্যটকদের কথা ভেবে আমরা খুব খুশি। আশকরিছি সামনে শীতের মরসুমে ওইসব চিতাবাঘের পর্যটকদের সামনে হাজির করা হবে। এপ্রিলে শাবকগুলি জন্ম নেওয়ার পর থেকেই ওদের উপরে লক্ষ্য রাখা শুরু হয়ে যায়। খাবার চার্টও তৈরি করা হয়। এখনওপর্যন্ত ওই ৭ শবক সুস্থ রয়েছে। আমাদের এখানে ২টে মহিলা চিতা ছিল। ঝড়াগ্রামে থেকে দুটো পুরুষ চিন আনা হয়। তার পরেই এই সাফল্য। এদের উপরে নজর রাখার জন্য ওআরএস থেকে, ওষুধ সবকিছু এদের দেওয়া হয়। এখন আপাতত তো ৫টি বড় চিতা রয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগ হল এই ৭ শাবক।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)