নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতা হাইকোর্টের এজলাসে বসে পঞ্চায়েত ভোটে 'অশান্তির' ছবি দেখল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এ দিন রাজ্যজুড়ে অশান্তি এবং মৃত্যুর খবর আদালতে জানান বার কাউন্সিলের এক সদস্য। এরপরই মোবাইল ফোনে লাইভ টিভিতে রাজ্যের পরিস্থিতি দেখেন বিচারপতিরা। বার কাউন্সিলের ওই সদস্য ৬ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়ে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অভিযোগ জানান বিচারপতিদের কাছে। এমনকী স্বরাষ্ট্র সচিব ও কমিশনকে তলবের আর্জিও জানান তিনি। আদালত সূত্রে খবর, এরপরই বিচারপতিরা জানিয়েছেন, তাঁরা এখনই তলব করতে চান না। কিন্তু, কেউ যদি এ সংক্রান্ত মামলা রুজু করতে চায়, তাতে আদালতের আপত্তি নেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রায় প্রথম থেকেই দীর্ঘ আইনি জটে জড়িয়েছে। শুধুমাত্র কলকাতা হাইকোর্টই নয়, মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। যে বিষয়গুলিকে সামনে রেখে কমিশনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু হয়েছিল, তারমধ্যে অন্যতম আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। ভোটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা যাবে কি না, মূলত এই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে বারবার। তবে কমিশন আদালতকে জানায় যে, রাজ্যের দেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট। এরপর এই বিষয়ে রায় দিতে গিয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, কমিশন মনে করলে যে কোনও দিনই ভোট করতে পারে। কিন্তু, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি আদালত আরও বলে, ভোটে প্রাণহানি হলে যে সব আধিকারিকরা আদালতকে নিরাপত্তার বিষয়ে বারবার আশ্বস্ত করেছেন তাঁদের বেতন থেকে ওই ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে হবে। যদি বেতন থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সঙ্গতি তাঁদের না থাকে, সেক্ষেত্রে অবসরকালীন তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা মেটাতে হবে। আরও পড়ুন- বুথের মধ্যে বিজেপি এজেন্টকে চড় মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথের


এমতাবস্থায়, এদিন আদালতের এমন মন্তব্য নিঃসন্দেহে তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।