Cyclone Yaas Live Updates: মধ্যরাত্রি নাগাদ ঝাড়খণ্ডের দিকে ঘুরে যাবে Yaas
কলকাতায় ঘণ্টায় ৬৫ থেকে ৭৫ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হওয়া। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৮৫ কিলোমিটার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী ইতিমধ্যে প্রবল থেকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ইয়াস। ওড়িশার চাঁদবালি থেকে ধামড়ার মধ্যে কোথাও আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। ফলে ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গে উপকূল এলাকায় জারি হয়েছে রেড এলার্ট। ল্যান্ডফলের সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১৬৫-১৫৫ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার। এই ঝড়ের ফলে কলকাতায় ঘণ্টায় ৬৫ থেকে ৭৫ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হওয়া। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৮৫ কিলোমিটার।
Latest Updates
ধীরে ধীরে দুর্বল হচ্ছে ইয়াস। ক্রমশ এটি সরে যাচ্ছে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার দিকে। ঝড়ের গতি কমে হবে ১০০-১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। এরপর মধ্যরাত্রি নাগাদ ইয়াস ঘুরে যাবে ঝাড়খণ্ডের দিকে। ফলে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ঝাড়খণ্ড সরকার। পূর্ব ও পশ্চিম সিংভূম থেকে মানুষজনকে সরাতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার।
এই দুর্যোগ কেন্দ্র-রাজ্য মিলে কাজ করেছি। এটা রাজ্যেরই কাজ। আমাদের সমস্যা একটাই। সেটি হল ভরা কোটাল।
বিদ্যুত্ দফতর ভালো কাজ করেছে। পুলিস, সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও খুবই ভালো কাজ করেছে।
এরপর আমাদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ করতে হবে। এর জন্য মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়ে দিচ্ছি। সব ক্ষতির হিসেব পেতে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে। কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলে যেতে চাই। কাল যেতে পারব না। বৃষ্টি হতে পারে। চেষ্টা করব পরশু দিন যাওয়ার। পরশু পূর্ব মেদিনীপুর যাব। আফটার এফেক্টটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
আমার বাড়ির বিদ্যুত্ও অফ করে রেখেছি। ভরা কোটালে গঙ্গায় প্রবল জোয়ার আসে। বলা হচ্ছে এবার জল এতটাই বাড়তে পারে যে তা আমাদের বিপদের কারণ হতে পারে।
সেচ দফতরকে আমাদের বাঁধগুলির উপরে নজর রাখতে হবে। সেচ দফতরকে ভালোভাবে কাজ করতে হবে।
প্রতিবছর যদি একটা করে আমপান হয় তাহলে সমাধান বের করতে হবে। সুন্দরবনের নদীবাঁধ এলাকায় ম্যানগ্রোভ লাগাতে হবে।
আমাদের স্বরাষ্ট্র সচিব জানিয়েছেন কাল পর্যন্ত জোয়ার থাকবে। তাই যে জল ঢুকেছে তার উপরে যদি জল বাড়ে তাহলে বিপদ। ভয়ের কোনও কারণ নেই। কিন্তু যারা নদী, সমুদ্রের পাশে থাকেন তারা একটু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিলে ভালো হয়। কলকাতার আসেপাশে যেসব এলাকা দুপরে প্লাবিত হয়েছে সেইসব জায়গার জন্য পুলিস কমিশনরকে বলব সব থানাকে সতর্ক করতে। কারণ আটটার পরে যে জোয়ার আসছে তার জন্য সতর্ক থাকতে হবে। এলাকায় মাইক দিয়ে প্রচার করার জন্য বলছি। চেতলার ওদিকে বস্তি রয়েছে। ওখানে যদি জল বাড়ে তাহলে ক্ষতির ব্যাপারটা খেয়াল রাখতে হবে। যেসব এলাকায় জোয়ারের জল ঢুকতে পারে সেইসব এলাকায় জোয়ারের সময় বিদ্যুত্ বন্ধ রাখতে হবে যাতে কেউ তড়িতাহত হয়ে মারা না যান।
কলকাতার বেশকিছু এলাকাও গঙ্গার জলে প্লাবিত হয়েছে।
বেশি ক্ষতি হয়েছে, কৃষিজ সম্পত্তি। অধিকাংশ জায়গায়চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকে গিয়েছে। মাছচাষ, ফুলচাষ, পশুপালনেরও খুবই ক্ষতি হয়েছে। ফিল্ড সার্ভে করার পর বাস্তব চিত্রটা দিতে পারব।
ক্ষতি হয়েছে সন্দেশখালি ১, ২ ব্লক, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, হাড়োয়া, নামখান, পাথরপ্রতিমা, কুলপি, ফ্রেজারগঞ্জ, বাসন্তী, ক্যানিং-১ ও ২ ব্লক, বজবজ, দিঘা, শঙ্করপর, তাজপুর, রামনগর-১ ও ২ ব্লক, কাঁথি ১ ও ২ ব্লক, নন্দীগ্রাম ১ ও ২, সুতাহাটা, মহিষাদল, দেশপ্রাণ, কোলাঘাট, শ্যামপুর ১ ও ২, শাঁকরাইল ছাড়াও অন্যান্য জেলায়।
কলকাতার বেশকিছু এলাকাও গঙ্গার জলে প্লাবিত হয়েছে।
প্রায় ১ কোটি মানুষ এই দুর্যোগে এফেক্টেড হয়েছেন। ৩ লাখ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ। পরে ফিল্ড সার্ভে করা হবে। বাঁধ ভেঙে গিয়েছে ১২৪টি।
এখনও পর্য়ন্ত ১০ লাখ ত্রিপল, পোশাক, চাল।
দুর্ভাগ্যবশত ১ জন মারা গিয়েছেন। সেটাও দুর্ঘটনা।
কালকেও যে বান আসবে তাতে ৫ জলস্তর ৫ ফুট উঁচু হবে। সবাইকে বলব সাবধানে থাকুন। ত্রাণ শিবিরে যারা রয়েছেন তাঁরা এখুনি বাড়ি ফেরার চেষ্টা করবেন না। একটা দিন একটু কষ্ট করুন।
উদ্ধারকার্যের জন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার এখনও পর্যন্ত ১৫ লাখ ৪ হাজার ৫০৬ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে পেরেছি।রাজ্য সরকারের টিমকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সাধারণ মানুষও খুবই সহযোগিতা করেছেন।
এত ক্ষতি হয়েছে ভরা কোটালের জন্য। বহু বাঁধ ভেঙেছে, অনেক এলাকা জলে ঢুবে গিয়েছে। সম্ভবত রাত ৮টা ৪৫ পর্যন্ত হাইটাইডের সম্ভাবনা রয়েছে। তার পর থেকে লো টাইড হবে।
রাজ্যের নিচু এলাকার প্রচুর ক্ষতি হেয়েছে। মেদিনীপুরে ৭০ কিলোমিটার নদী বাঁধের ক্ষতি হয়েছে।
নাবান্নে বললেন মমতা।দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ১৫টি জায়গায় জল ঢুকেছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ৫১টি বাঁধ ভেঙেছে।
দিঘা, তাজপুর, শঙ্করপুরে বেশ ক্ষতি হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত ২০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের ৩.৮ লাখ লোককে সরানো হয়েছে। রাজ্যে মোট সাড়ে ১১ লাখ মানুষকে সরানো হয়েছে।
কলকাতায় টর্নেডোর আশঙ্কা! ইয়াস আছড়ে পড়তেই শহরে বইতে শুরু করে দমকা হাওয়া। শহরবাসীকে বাইরে না বেরোনোর অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রীর। বেলা ১২ টার মধ্যে শহরের একাধিক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে টর্নেডোর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বর্তমানে ল্যান্ডের মধ্যে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়। যার ভিতরের দিকে রয়েছে উষ্ণবায়ু, বাইরের দিকে রয়েছে শীতল বায়ু। ঘূর্ণিঝড়ের শীতল শক্তিশালী বায়ু অ্যান্টিক্লক ওয়াইজ ঘুরে কলকাতার দিকে আসছে। এদিকে কলকাতার আকাশ শান্ত হয়ে রয়েছে। শহরে আবদ্ধ অবস্থা করে রেখেছে মেঘ। কিন্তু নিচে শহরের মধ্যে হাওয়া দ্রুত গতিতে বইছে। তাই স্থানীয় তাপমাত্রা তারতম্য ঘটতে পারে। যার ফলে উপরে ও নিচে বায়ু চলাচলা করা শুরু করবে। যার সংঘর্ষে এয়ার পকেট তৈরি হতে পারে।
ভরাকোটালের কারণে আজ সর্বোচ্চ জায়গায় পৌঁছবে জলের স্তর। যার ফলে ১১.৩৭ থেকে ১২ টার মধ্যে কলকাতা, হাওড়া ও হগলির একাধিক জায়গায় টর্নেডোর আশঙ্কা থাকছে। এর ক্ষমতা কতটা হতে পারে, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। এলাকা ভিত্তিক ক্ষমতার তারতম্য ঘটবে টর্নেডোর। উল্লেখ্য, ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের কবলের বাইরে কলকাতা। তবে পরিস্থিতি যা রয়েছে, তাতে ১২০ থেকে ৩০ কিমি বেগে টর্নেডো তৈরি হতে পারে।
বালাসোর দক্ষিণে ল্যান্ডফল হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভরাকোটালের কারণে যে জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে দিঘা, মন্দারমণি, চাঁদিপুর, জুনপুট, বাঁকিপুট সহ সংলগ্ন উপকূলবর্তী এলাকায় তা গত ৫০ বছরেও দেখা যায়নি বলে জানা যাচ্ছে।
গাছ ভেঙে পড়ল পুলিশ কিয়স্কের উপর. ঘটনাস্থলে ডিএমজি গ্রুপের কর্মীরা
জল ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত সম্পূর্ণ একাধিক এলাকা। ভরাকোটালের কারণে সমুদ্রের জল ঢুকে গিয়েছে। অনেক বাঁধ, গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কন্ট্রোল রুম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমেই খোঁজ নেন সকলের। তারপর তিনি জানান, ল্যান্ডফল শুরু হয়ে গিয়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বাংলার। ৩ ঘণ্টায় তান্ডব চালাবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস।
শুরু হল ল্যান্ডফল, ঝড়ের তাণ্ডবে বেসামাল দিঘা, ধামড়ার মধ্যবর্তী অঞ্চল।
বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে বিকেল ৪ পর্যন্ত কলকাতা পৌরসভা এলাকায় সমস্ত লকগেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার।
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় Yaas, ল্যাণ্ডফলের পর গতিবেগ ১৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে।
কুলতলিতে ফুঁসছে নদী। বাড়ছে হাওয়ার গতিবেগ ও জলের স্তর।
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় Yaas, ল্যাণ্ডফলের পর গতিবেগ ১৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে।
প্রস্তুত সেনা। গতকাল রাতভোর ছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। জেলায় জেলায় বইছে প্রবল হাওয়া। ১১ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সমুদ্রের জল উত্তাল দিঘায়, ল্যান্ডফল হওয়ার পরই গতিবেগ আরও বাড়বে বলে জানা যাচ্ছে। চলছে ভরা কোটাল। যার প্রভাবে প্রবল জলচ্ছাস সেখানে।
দিঘা থেকে এখন ১০০ কিলোমিটার দূরে ইয়াস।
ঘূর্ণাবর্তের গতি ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৪০ কিমি। ধামড়া থেকে ৭০ কিমি দূরে। দিঘা থেকে ১২০ কিমি দূরে রয়েছে ইয়াস। প্রায় ১২ কিমি গতিবেগ নিয়ে এগিয়ে আসছে।