West Bengal News LIVE Update: ওঝার হাত থেকে হাসপাতালে, ছাত্রীর নিজের জেদে বাঁচল প্রাণ
LIVE Update: এক মাসে উলুবেড়িয়ায় একাধিক(১৪টি) দোকানে চুরি৷ আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা ৷ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোন সূরাহা হয়নি৷ একটি দুটি না এক মাসে একের পর এক ছোট বড় মিলিয়ে ১৩-১৪ টি দোকানে চুরির ঘটনায় রীতিমতো ঘুম ছুটেছে উলুবেড়িয়ার বাজারপাড়া স্টেশন রোড ও নিমদিঘির ব্যবসায়ীদের
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একনজরে দেখে নিন সব থেকে বড় খবর শুধুমাত্র জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালে। দেখতে থাকুন, LIVE UPDATES
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)
Latest Updates
Malbazar: বাড়িতে ঢুকে ঘরের বেড়া ভেঙ্গে মজুদ ধান সাবার করল হাতি। ঘর থেকে পালিয়ে প্রাণে বাচলেন বাড়ির লোকজন। মালবাজার মহকুমার মেটেলি ব্লকের উত্তর ধুপঝোড়া স্কুল পাড়া এলাকার ঘাটনা। ঘটনায় ওই এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। গভীর রাতে বাড়ির সকলেই গভীর নিদ্রায় মগ্ন। হাতিটি উত্তর ধুপঝোরা স্কুল পাড়ায় এসে পূর্ণিমা রায়ের টিনের ঘরের বাঁশের বেড়া ভেঙ্গে মজুর ধান সাবার করে। শব্দে বাড়ির লোকজন টের পেয়ে ঘর থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচে। হাতিটি প্রায় আধঘন্টা ধরে ঘর থেকে শুর দিয়ে ধানের বস্তা বের করে সাবার করতে থাকে। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের চিৎকারে হাতিটি ফের ওই এলাকা থেকে মূর্তি নদী পেরিয়ে পানঝোড়া জঙ্গলে চলে যায়। এলাকায় হাতির হানা রুখতে রাত্রে বন কর্মীদের টহলদারি সহ এলাকার জনগণকে হাতির হাত থেকে রক্ষার জন্য সার্চলাইট প্রদানের দাবি জানান বাসিন্দারা। ঘটনার পরে ওই এলাকায় হাতির হানার আতঙ্কে তৈরি হয়েছে। বনদপ্তরের তরফে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
Kolkata Metro: বেলগাছিয়া স্টেশনে যান্ত্রিক গোলযোগ। আংশিক বন্ধ হয়ে যায় ডাউন লাইনে মেট্রো পরিষেবা। গিরীশ পার্ক থেকে কবি সুভাষ স্টেশন পর্যন্ত মেট্রো চালানো হয়। জানা যাচ্ছে রেকের মধ্যেই যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। ৮ টা ৪১ থেকে ৯ টা ১৫ পর্যন্ত আংশিক পরিষেবা ব্যহত হয়। ৯ টা ১৭ থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।
Canning: বিষাক্ত সাপের কামড়! জেদ করায় প্রাণে বাঁচল নবম শ্রেণীর ছাত্রীর। ওঝা গুনিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা প্রশাসনকে নিতে হবে জানান চিকিৎসক। জানা গিয়েছে,ক্যানিং থানার অন্তর্গত দিঘীরপাড় পঞ্চায়েতের কালিমন্দির সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা দম্পতি কার্তিক ও উর্মিলা নস্কর। দম্পতির এক মেয়ে ও এক ছেলে।একমাত্র মেয়ে সোনালি নস্কর স্থানীয় উচ্চমাধ্যমিক হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। রাতে তার হাতে একটি বিষধর সাপ কামড় দেয়।পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি সাতমুখী বাজার সংলগ্ন খোলাখালি গ্রামে এক ওঝার কাছে নিয়ে যায়।
কিন্তু সোনালি নিজে থেকে হাসপাতালে যেতে চাইলেও জোর করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ওঝার কাছে।অভিযোগ সেখানে তার ক্ষতস্থান সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্লেড দিয়ে কাটা হয়।চলে ঝাড়ফুঁক। এমনকি তেলপড়া জলপড়া দেওয়া হয়। তেলপড়া দেওয়া হয় মালিশ করা এবং খাওয়ার জন্য।ওঝার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া স্বত্বেও ওই ছাত্রী জেদ করে বসে।চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলতে থাকে একাধিকবার। যদিও পরিবারের লোকজন ও ওঝা সেই কথায় ভ্রূক্ষেপ না করে ঝাঁড়ফুঁক চালিয়ে যায়।দীর্ঘক্ষণ এমন কান্ড চলায় ওই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
পরিস্থিতি বেগতিক,বিপদ আসন্ন বুঝতে পেরে ওই ছাত্রীর জেদ এবং তার কথামতো পরিবারের লোকজন তাকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই ছাত্রী।জেদের জন্য প্রাণে বাঁচলেন স্বীকার করেছেন ছাত্রীর দিদিমা। ওই ছাত্রীর দিদিমা সারথী সরদার জানিয়েছেন, ‘প্রথম দিকে ওর কথা কেউই শোনেনি।একাধিকবার হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলেছিল।তবে শেষপর্যন্ত ওর জেদই ওকে প্রাণে বাঁচিয়েছে।বিগত দিনে আমাকে কালাচ সাপ কামড় দিয়েছিল। হাসপাতালে গিয়ে সুস্থ হই।ওঝা-গুণীনের কাছে গেলে মৃত্যু শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।’
Uluberia: এক মাসে উলুবেড়িয়ায় একাধিক(১৪টি) দোকানে চুরি৷ আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা ৷ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোন সূরাহা হয়নি৷ একটি দুটি না এক মাসে একের পর এক ছোট বড় মিলিয়ে ১৩-১৪ টি দোকানে চুরির ঘটনায় রীতিমতো ঘুম ছুটেছে উলুবেড়িয়ার বাজারপাড়া স্টেশন রোড ও নিমদিঘির ব্যবসায়ীদের৷ এই এলাকায় গতকাল পর্যন্ত দুটি দোকানে চুরি হয় একটি জামা কাপড়ের দোকান ও একটি রকমারি দোকান ৷ কাল পর্যন্ত যদি ধরা হয় তা হলে উলুবেড়িয়ায় এক মাসে ছোট বড় নিয়ে ১৩-১৪ টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে৷ কোথাও দোকানের পিছনের গ্রিল কেটে কোথাও বা দোকানের চাল খুলে চুরি হয়৷ কোথাও বা দোকানে ঝাপ ভেঙে নগদ টাকা মালপত্র নিয়ে চম্পট দেয় এইসব দুষ্কৃতীরা৷ অনেক ব্যবসায়ীর অভিযোগ এই এলাকায় কয়েকটি দোকানে এর আগেও একাধিকবার চুরি হয়েছে পুলিশকে তখন জানানো হলেও তারও কোন কিনারা না হওয়ায় অনেক দোকানদাররা পুলিশকে বর্তমানের চুরির ঘটনায় আর অভিযোগ জানাতে যায় নি৷ ৷উলুবেরিয়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকা হওয়ায় গভীর রাত পর্যন্ত কম-বেশি লোক চলাচল করে ৷ কিন্তু তারপরেও এই ধরনের বারবার চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে উলুবেড়িয়ার এই দুই এলাকার ব্যবসায়ীরা৷ রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি গেলে চিন্তা হয় তাদের দোকান নিয়ে ৷ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ এক মাসে এতগুলো চুরির ঘটনা ঘটলেও তার কোন কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা জানান এইসব দোকানে কমবেশি কয়েক লাক্ষাধিক টাকা-পয়সা ও মালপত্র চুরি হয়েছে৷ তার কোন কিছুরই কিনারা হয়নি এখনো পর্যন্ত৷ এক ব্যবসায়ী জানান তার দোকানের চুরির সিসি টিভির ফুটেজে চোরের ছবি সহ পুলিশকে দেয়া হলেও তারো কোন কিনারা এখনো হয়নি৷ এরপর কিভাবে ব্যবসা করবে তাই নিয়ে এখন চিন্তায় এই এলাকার ব্যবসায়ীরা৷
Durgapur: এবার চোরেদের ক্রেতার ঘরে ঢুকল পুলিস। উদ্ধার হল বহু মোটর সাইকেল আর মোবাইল। গ্রেফতার ১। বিরাট সাফল্য কোকওভেন থানার পুলিসের। ধৃতের নাম উজ্জ্বল প্রামানিক। পশ্চিম বর্ধমান জেলার কোকওভেন থানার ক্ষুদিরাম কলোনির দুর্গামন্দির এলাকার বাসিন্দা উজ্জ্বল পরামানিক। বুধবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের কোকওভেন থানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন থানার ও সি ও এসিপি দুর্গাপুর সুবীর রায়কে সঙ্গে নিয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার ইস্ট অভিষেক গুপ্তা। তিনি বলেন,"কোথাও চুরি হলে আমরা চোরদের পাকড়াও করি। কিন্তু চুরির জিনিস কোথায় বিক্রি হয়েছে সেই জায়গার সন্ধান পেতে পুলিসকে বেগ পেতে হয়। তদন্ত করে সেই ডেরায় ঢুকেছে কোকওভেন থানার পুলিস। উদ্ধার হয়েছে ১৬ টি মোটর সাইকেল আর ৬০টি মোবাইল। গ্রেপ্তার করা হয়েছে চোরেদের কাছ থেকে চুরির জিনিস কিনত সেই রকম এক ব্যক্তিকে। তার নাম উজ্জ্বল পরামানিক। বৃহস্পতিবার আজ ধৃতকে পুলিশি হেফাজত চেয়ে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। ধৃতকে জেরা করে এই চক্রের পিছনে আর কারা কারা জড়িয়ে আছে তাদের সন্ধানেও তল্লাশি চালানো হবে। উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল প্রকৃত মালিকদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। অনেকে নেশা করার জন্য মোবাইল বাইক চুরি করে বিক্রি করত। সেইরকম অনেককে আমরা নেশা মুক্তি কেন্দ্রেও পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। সব দিকেই তৎপর আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট।"
Purulia: চারদিন পার, এখনও অধরা বাঘিনী । বন দফতরের সব চেষ্টা বিফলে। বাঘিনীকে বাগে আনতে হিমসিম খাচ্ছে বন বিভাগ। এখনও অবধি পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড়েই অবস্থান করছে ওই বাঘিনী । জঙ্গল লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় শিকার করে আবার নিজের জায়গায় ফিরছে যমুনা । বাঘিনীর আতঙ্ককে সঙ্গী করেই রাত কাটাচ্ছেন স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দারা। আতঙ্কে মাঠ থেকে পাকা ধান ও সবজি ঘরে তুলতে পারছেন না গ্রামবাসীরা । রাইকা জঙ্গল লাগোয়া রাহামদা জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক ছাগলের দেহ । বন্ধ হয়ে গিয়েছে রুজি রোজগার । বন্ধ স্বাভাবিক জনজীবন । আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে বেরোতে পারছেন না গ্রামবাসীরা । জঙ্গলে যাওয়া একেবারেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে । বাঘিনীকে খাঁচাবন্দি করতে নতুন কৌশল অবলম্বন করতে চলেছে বন বিভাগ। জঙ্গল ঘিরে ফেলা হয়েছে জাল দিয়ে । বাড়ানো হয়েছে বন কর্মীদের টিমের সংখ্যা । ট্রানকুলাইজার টিম ও বাঘ বিশেষজ্ঞদের মোতায়েন করা হয়েছে জঙ্গলে । জঙ্গলের আটটি জায়গায় বসানো হয়েছে ট্র্যাপ ক্যামেরা। শুকর, ছাগল এবং গবাদি পশুর টোপ দিয়ে ফাঁদ পাতা হয়েছে জঙ্গলের চারপাশে। তবে চারদিন পার হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত সেই ফাঁদে পা দেয়নি বাঘিনী । যার ফলে যমুনাকে বাগে আনতে পারেনি বনবিভাগ।