Live: অভিষেক একটা চোখে আজও দেখতে পায় না, আমার জন্যে ওকে কথা শুনতে হয়: Mamata
Latest Updates
কেউ কেউ তপসিলি ও সংখ্যালঘুদের নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। সাবধান থাকবেন। বিনা পয়সায় খাদ্য চিকিৎসা দেবে মা-মাটি-মানুষের সরকার। আমি কিন্তু লড়াই করব রাস্তায়। কর্মীরা বুথ আগলাবেন। লড়াই করবেন।
রথযাত্রা ফ্লপ। সভা ফ্লপ। প্রতিদিন কেউ না কেউ হামলা করে, আহারে কত গুরুত্বপূর্ণ লোক! আমরা হামলা করি না। পুরনোরা তো কেউ নেই। এঁচোড়ে পাকা বসে আছে। ওরাই বিজেপিকে খেয়ে নিতে সিদ্ধহস্ত। তোমাদের নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। ২০২১ সালে সব রেকর্ড ভাঙব। বাংলাকে ধমকালে চমকালে বাংলা গর্জায়। আমি মানুষের কাছে মাথানত করি। বিজেপির কাছে মাথানত করার চেষ্টা মৃত্যু শ্রেয়।
কেন্দ্রীয় পুলিস আসলে বাড়ির মেয়েদের বের করে দেবেন। ভয় পাবেন না। একটু মেয়েদের সামনে রাখুন। একটু খুন্তিটা ঠেকিয়ে দেবে। এলাকায় নজর রাখুন। ভেট দেওয়া হচ্ছে। টাকা দেওয়া হচ্ছে। এলাকা দেখে দেখে বাইরের গুন্ডাদের এনে আপনাদের এলাকা দখল করা হচ্ছে। বহিরাগত গুন্ডাদের ঢুকতে দেবেন না। কয়েক হাজার বহিরাগত গুন্ডা নিয়ে আসছে বিজেপি।
অভিষেক আমার কাছে অগ্রাধিকার পায় না। হাজরায় আমাকে মারা হয়েছিল, তখন ও ছোট্ট। ও তখন কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে মিছিল করত। দু'বছর বয়স থেকে এটা করত। দিদিকে মারলে কেন, জবাব দাও, জবাব দাও। আমাদের পরিবারের কাউকে বিদেশ যেতে দিই না। এরা বিদেশে চলে যেতে পারত। ওকে দুর্ঘটনায় মারার চেষ্টা হয়নি! ও একটা চোখে আজও দেখতে পায় না। আমার জন্যে ওকে কথা শুনতে হয়। বাড়ির বউ ও ছোটদের গালগাল দেবে না। আমি ছোটদের খুব ভালবাসি। আমরা বাড়িতে থাকি বলে যন্ত্রণা জানি। অভিষেকের চোখের মণিটাই উপড়ে চলে আসে কতটা কষ্ট হয়! তাঁকে তো ডেপুটি চিফ মিনিস্টার করিনি। আমি তাও বলেছিলাম, মানুষের কাজ কর। লোকসভায় দাঁড়াতে হবে না। ও বলল, না আমি মানুষের দ্বারা নির্বাচিত হব। আমি অমিত শাহকে বলছি, অন্যরা রাস্তায় নেমে কাজ করে, তেমন তোমার ছেলেদের নামাও।
উত্তরপ্রদেশে ৭টি শিশুকন্যার মৃত্যু নিয়ে একবারও বলেছো। দিল্লিতে দাঙ্গায় এত লোক মারা গিয়েছে, একটাও কথা বলেছো। কৃষকদের রাস্তায় পেরেক পুঁতছো। সে নাকি বাংলা দখল করবে? আগে দিল্লি সামলাও। কিষানদের সামলানোর ক্ষমতা নেই, মমতা'দিকে সামলাবে! এই চেহারায় হবে না। ও তো ফোলাফোলা চেহারা। বেশ নাদুসনুদুস, ফানুসফানুস চেহারা। যাও গিয়ে বাড়িতে ঘর পোছো। ডান্ডার সাথে লড়াই করো।
ফাইভস্টার থেকে খাবার আনছে। একটু ছিঁড়ে মুখে দিচ্ছে। ওটা ভাঁওতা। গরিব মানুষকে অপমান করছেন।
এনআরসি, এপিআর, সিএএ কিছু হবে না। দক্ষিণবঙ্গে বলবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের মদত দিচ্ছি। উত্তরবঙ্গে বলবে সিএএ চাই। আগে নিজেদের মা-বাবাদের সার্টিফিকেট দেখাও।
বলছে আমরা জিতব। কী করে জিতবেন? বাংলার ঘরে ঘরে পাঠিয়ে দেব আমাদের স্লোগান দেওয়ার জন্য। মেয়েরা আমার সবথেকে বড় সমর্থক। মা বোনেদের বলব, বাড়ি গিয়ে উল্টোপাল্টা বললে কান মুলে দেবেন। কান মুলে দিলে কেস হবে না। না পারবে কাউকে দেখাতে না পারবে কেস করতে। খালি মিথ্যা কথা। আমি কখনও দেখিনি, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এত মিথ্যা কথা বলে!
রোজ এখানে আসছে বলছে সরস্বতীর পুজো এখানে হয় না। আগে পুজোর মন্ত্র বল। আমরা কান ধরে হিন্দু ধর্ম শিখিয়ে দিতে পারি। বলছে দুর্গাপুজো করতে দেয় না মমতা। এমনি এমনি ক্লাবগুলো ৫০,০০০ টাকা করে পাচ্ছেন। ওদের নেতারা তো দুর্গাকে চেনে না। আমাদের হিন্দু ধর্ম শেখাবেন না?
খালি বুয়া-ভাতিজা করে চলেছে। দিদির সঙ্গে পরে হবে, আগে ভাতিজার সঙ্গে লড়াই করুন। অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ করছি, আগে অভিষেকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হারাও। নিজের ছেলেকে আড়াল করে বাকিদের ভয় দেখাবেন!আপনার ছেলেও তো আমার ভাইপো। সে কী করে ক্রিকেটের মাথায় বসল? কী করে কোটি টাকা করল?
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা নেতৃত্বকে বলব, মনে রাখবেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপরে ওদের খুব লোভ আছে। সুন্দরবনে কুমীর বেরোলে ওদের দেখা পাবেন না। আমফানের ঝড়ে অত লোক মারা যায়, একটা পয়সা দেয় না কেন্দ্রীয় সরকার। বিজেপির এক নেতা গঙ্গাসাগর দেখতে গেছেন। নামেই বন্ধু। তিনি গিয়ে বলেছেন, গঙ্গাসাগর এতটা খারাপ! এই মূর্তিমান কোথায় ছিলে গো? একটা থাকার জায়গা ছিল না। লজ্জা করে না।
পৈলান আমার কাছে লাকি জায়গা। জাকির হোসেন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। ও খুব পপুলার নেতা। জাকিরকে সরিয়ে দেওয়াই লক্ষ্য। সিআইডি, এসটিএফ নিয়ে সিট তৈরি করেছি। কেন স্টেশনে আলো জ্বলছিল না? রেলের সবটা রেল পুলিসের নিয়ন্ত্রণে থাকে। রেল স্টেশনে সব দায়িত্ব রেল পুলিসের হাতে।