WB Assembly Election 2021: Amit Shah Live: নির্ভয়ে ভোট দিন, দিদির গুন্ডাদের হিম্মত নেই আপনাদের বাধা দেবে
শনিবার রাজ্যে পঞ্চম দফায় ৪৫ আসনে ভোটগ্রহণ। তার আগেই রাজ্যে ষষ্ঠ দফার ভোটের প্রচারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ তাঁর প্রথম সভা নদিয়ার তেহট্টের বেতাইয়ে। এরপর দুপুর একটা নাগাদ সভা রয়েছে কৃষ্ণনগরে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শনিবার রাজ্যে পঞ্চম দফায় ৪৫ আসনে ভোটগ্রহণ। তার আগেই রাজ্যে ষষ্ঠ দফার ভোটের প্রচারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ তাঁর প্রথম সভা নদিয়ার তেহট্টের বেতাইয়ে। এরপর দুপুর একটা নাগাদ সভা রয়েছে কৃষ্ণনগরে।
শীতলকুচির ঘটনা এখনও তাজা। তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও এখন তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় আপত্তিকর বিবৃতি দিয়ে কমিশনের শাস্তির মুখে পড়ছেন দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহার মতো নেতা। আজ শীতলকুচির গুলি চালনার ঘটনা টেনে এনে শাহ কী বলেন সেটাই দেখার।
Latest Updates
বাজনা, জয় শ্রীরাম ধ্বনির মধ্যে কৃষ্ণনগরে মুকুল রায়ের চলছে অমিত শাহর রোড শো। বিপুল মানুষের ভিড়। বিজেপি সমর্থকদের ভিড় এতটাই যে শাহর রোড শো-র গতি মন্থর হয়ে যায়। খোদ অমিত শাহকে মিছিল এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলতে হয়।
মেয়েদের শিক্ষায় কোনও খরচ হবে না। বাসে, ট্রেনে ভাড়া লাগবে না। মোদীজি ৪৫ লাখ মানুষকে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়েছেন। ১০ বছর দিদি কাটমানি ও সিন্ডিকেট করা ছাড়া আর কিছুই করেনি। ঠিক করে নিন সোনার বাংলা চাই নাকি দিদির সিন্ডিকেটের সরকার চাই।
তেহট্ট থেকে দেবগ্রাম পর্যন্ত একটি সেতুর প্রয়োজন। দশ বছরে দিদি তা করিনি। আমাদের প্রার্থীকে জেতান, এখানে পুল তৈরি হবে। তার উপর দিয়ে বাইক যাবে। তেহট্টকে মিউনিশিপ্যালিটি হিসেবে তৈরি করা হবে। এখানে ৩টি কেল্ট স্টোরেজ তৈরি করা হবে।
এখানে জগধাত্রী পুজোর সময়ে পুলিস গুলি চালিয়েছিল। এখানে দুর্গাপুজোর জন্য পুলিসের অনুমতি চাইতে হয়। এবার আর তা হবে না। কাউকে কোর্টে যেতে হবে না। সরস্বতী পুজো দিদির গুন্ডারা রুখে দেয়। বিজেপি সরকার তৈরি করে দিন, কারও ক্ষমতা নেই সরস্বতী পুজো রুখে দেবে।
কেন্দ্র গোটা দেশের কৃষকদের ৬০০০ টাকা দেয়। আপনারা পান? দিদি বলেন, ওই টাকার দরকার নেই। বলুন তো ওই টাকার প্রয়োজন আছে কি নেই! আমি বলে যাচ্ছি ক্ষমতায় এলে আপনাদের ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্টে ১৮,০০০ টাকা জমা করে দেব। মোদীজি কিষাণ সম্মান নিধি দিতে চান। আরা দাতিজা সম্মান করতে চান। আয়ুষ্মান ভারত যোজনা এনেছিলেন মোদী সরকার। ওই টাকা আপনারা পান না। কারণ দিদি তা রুখে দিয়েছে। দিদিকে সরিয়ে দিন। ২মে থেকে ৫ লাখ টাকার চিকিত্সা যোজনা সবার জন্য করে দেবেন। মোদীজি আর্থিক উন্নতি চান। আর দিদি চান দুর্নীতির বাড়বাড়ন্ত।
বলুন তো আপনারা শান্তপূর্ণ নিবার্বাচ চান কি না চান? এই দিদি কি বলেন জানেন? উনি বলেন কেন্দ্রী বাহিনীকে ঘেরাও করো। আপনাদের বলছি ২২ তারিখ নির্ভয়ে ভোট দিতে যান। দিদির কোনও গুন্ডার ক্ষমতা নেই আপনাদের বাধা দেয়। মানুষ জাগলে গুন্ডা পালায়। এখন বাংলার মানুষ জেগেছে। দিদির এক নেতা বলেন, আগের দফাগুলোতে যা হবার সেটাই হবে। দিন বদলেছে। আর তা হবে না।
দেশে এক পর্যটক নেতা রয়েছে। রাহুলবাবা। উনি সম্প্রতি একটি সভা করে গিয়েছেন। উনি বলছেন, বিজেপির ডিএনএ কেমন। রাহুলবাবা আমাদের ডিএনএ-র মানে আনাকে বুঝিয়ে দিচ্ছি। ডি ফর ডেভলপমেন্ট, এন ফর ন্যাশনালিজম ও এ ফর আত্মনির্ভর ভারত।
যেসব শরনার্থী নাগরিকত্ব পাবেন তাদের জন্য ১০০ কোটির একটি তহবিল তৈরি হবে। মতুয়া ও নমঃশুদ্রদের জন্য ওই টাকা খরচ করা হবে। মতুয়া ''দলপতি'-দের মাসিক ৩০০০ টাকা পেনশন দেওয়া হবে। মতুয়া-নমঃশুদ্র বিকাশ বোর্ড গঠন করা হবে। সরকার গঠন হওয়ার পরই ঠাকুরনগর স্টেশনের নাশ শ্রীধাম ঠাকুরনগর করা হবে। ঠাকুরনগরকে তীর্থক্ষেত্রে হিসেবে গড়ে তোলা হবে। শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের ধামকে পর্যটনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
তৃণমূল কংগ্রেস কি এই অনুপ্রবেশকারীদের রুখতে পারবে? সিপিএম, কংগ্রেসও পারবে না। কারণ ওদের ভোটব্যাঙ্ক হল এই অনুপ্রবেশকারীরা। এ ই কাজ একমাত্র বিজেপিই পারে। রাজ্যে বিজেপির সরকার গড়ে দিন, সীমান্ত পেরিয়ে মানুষ তো দূরের কথা, পাখিও ঢুকতে পারবে না। এই দিদি বলেন যতক্ষণ আমি আছি ততক্ষণ মতুয়া ও নমশুদ্ররা নাগরিকত্ব পাবে না। আরে দিদি! কতদিন আছেন আপনি? ২ মে আপনার বিদায় নিশ্চিত। তারপর মতুয়া ও নমশুদ্ররা নাগরিকত্ব পাবে। দিদি, যারা এতদিন এখানে বসবাস করছে তারা নাগরিকত্ব পাবে না? কারণ আপনার ভোটব্যাঙ্কের মানুষদের তাতে আপত্তি আছে বলে? আমরা ভোট ব্য়াঙ্কের রাজনীতি করি না।
বারামুলার জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ে শহিদ হয়েছিলেন এখানকার সন্তান সুবোধ কুমার ঘোষ। তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধা রইল। এই মাটিকে বারবার প্রণাম করি।
বলুন, এই বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকানো উচিত কি উচিত নয়? এই অনুপ্রবেশকারীরা বাংলার যুবকদের রোজগার ছিনিয়ে নেয়। গরিববের খাবার ছিনিয়ে নেয়। এই অনুপ্রবেশকারীরা শুধু বাংলার নয় গোটা দেশের নিরাপত্তার জন্য বিপদের
তেহট্টের মানুষকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।
তৃণমূল সরকারের বিদায়ের জন্য যাঁরা আজ এসেছেন তাঁদের বলব, আগামী বছরে আপনাদের জন্য শুভ হোক। ২ মে পর এখানে কাটমানি নেওয়ার কেউ থাকবে না। বাংলার জনাদেশ আসার পর সিন্ডিকেট চালানোর কেউ থাকবে না।