West Bengal Panchayat Election 2023 Results Live Updates: বোমাবাজিতে তুলকালাম ভাঙড়ের গণনাকেন্দ্র, গুলিবিদ্ধ অতিরিক্ত পুলিস সুপার
West Bengal Panchayat Election 2023 Results Live Updates: নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে থাকবেন একজন করে অবজারভার। প্রতিটি জেলায় একজন করে বিশেষ অবজারভার নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে থাকবে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়। এর দায়িত্বে থাকবে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সঙ্গে থাকবে প্রয়োজন মতো রাজ্য পুলিসের সশস্ত্র বাহিনী। থাকছে সিসিটিভির নজরদারি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সোমবার রাজ্যের কয়েকশো বুথে পুননির্বাচন শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকেই শুরু হয়ে যাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগণনা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে চলবে গণনা। জেলায় জেলায় এই নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। গণনাকেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ভোট গণনার সময় ব্যালট পেপারের সত্যতা যাচাইয়ের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। ত্রিস্তরীয় নির্বাচন ও ব্যালটে ভোট গ্রহণ হওয়ায় ইভিএম-এর থেকে দেরিতে ভোট গণনা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে থাকবেন একজন করে অবজারভার। প্রতিটি জেলায় একজন করে বিশেষ অবজারভার নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে থাকবে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়। এর দায়িত্বে থাকবে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সঙ্গে থাকবে প্রয়োজন মতো রাজ্য পুলিসের সশস্ত্র বাহিনী। থাকছে সিসিটিভির নজরদারি।
গণনা বিতর্কমুক্ত করতে নিয়ম করা হয়েছে, ব্যালট পেপারের সামনে ও পেছনে প্রিসাইডিং অফিসারের সাক্ষর না থাকলে সেই ব্যালট পেপার গ্রাহ্য় হবে না। সেই নির্দেশ জেলায় জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত দিয়ে গণনা শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের ব্যালটের গণনা হবে। প্রথম গণনার ফল জানানো হবে কাউন্টিং টেবিল থেকেই। পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের গণনার ফল ঘোষণা করবেন বিডিও নিজে।
Latest Updates
ভাঙড়ে গণনাকেন্দ্রের বাইরে পুলিস-আইএসএফ সমর্থকদের সংঘর্ষে তুলকালাম। গুলিবিদ্ধ অতিরিক্ত পুলিস সুপার ও তাঁর দেহরক্ষী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাইরে থেকে বাহিনী আনা হচ্ছে। কিন্তু কাঁঠালিয়ার গণনাকেন্দ্রগামী অধিকাংশ রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গাছের গুঁড়ি ফেলে।
তুমুল বোমবাজিতে ঘুম ছুটল ভাঙড়ের, গণনাকেন্দ্র আটকে আরাবুল-হাকিমুল
জেলা পরিষদ
-----
তৃণমূল
জয়ী ৮৮
এগিয়ে ১২১বিজেপি
জয়ী 0
এগিয়ে ১৪সিপিআই
জয়ী 00
এগিয়ে 00সিপিএম
জয়ী 0
এগিয়ে ৫কংগ্রেস
জয়ী 0
এগিয়ে ১এনসিপি
জয়ী 0
এগিয়ে ০ফঃবঃ
জয়ী 0
এগিয়ে 0আরএসপি
জয়ী - 00
এগিয়ে - 00গ্রাম পঞ্চায়েত
-----
তৃণমূল
জয়ী ৩০,৩৯১
এগিয়ে ১,৭৬৭বিজেপি
জয়ী ৮,২৩৯
এগিয়ে ৪৪৭সিপিআই
জয়ী ২২
এগিয়ে ০৩সিপিএম
জয়ী ২,৫৩৪
এগিয়ে ২৩৭কংগ্রেস
জয়ী ২,১৫৮
এগিয়ে ১৫১এনসিপি
জয়ী ০১
এগিয়ে ০০ফঃবঃ
জয়ী ৪০
এগিয়ে ০৭আরএসপি
জয়ী - ৬১
এগিয়ে - ১৩অন্যান্য
জয়ী ৭৮৪
এগিয়ে ২৩নির্দল
জয়ী ১,৭৯০
এগিয়ে ৮৬টাই
৬২০পঞ্চায়েত সমিতি
---------
তৃণমূল
জয়ী ৩,৫২৩
এগিয়ে ৪২৫বিজেপি
জয়ী ৪৩৬
এগিয়ে ৯২সিপিআই
জয়ী ০০
এগিয়ে ০০সিপিএম
জয়ী ৯৬
এগিয়ে ২৮কংগ্রেস
জয়ী ৯০
এগিয়ে ১৫এনসিপি
জয়ী ০০
এগিয়ে ০০ফঃবঃ
জয়ী ০০
এগিয়ে ০২আরএসপি
জয়ী - ০২
এগিয়ে - ০০জেলা পরিষদে ৭৭ আসনে জয়ী তৃণমূল। ৯২ টিতে এগিয়ে। ১০ আসনে বিজেপি, ৫ আসনে সিপিএম আর ১ টিতে এগিয়ে কংংগ্রেস।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই যে ফলাফল সামনে উঠে আসছে তাতে দেখা যাচ্ছে সবুজই থাকতে চলেছে গ্রাম বাংলার রঙ। কার্যত তৃণমূল সুনামি রাজ্যের ২০টি জেলাতেই। গ্রাম পঞ্চায়েতের স্তরে বেশ কিছু আসন পেয়েছে বিরোধীরাও। এদিন পঞ্চায়েতের জয়ের সূত্র ধরেই রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি বিরোধীদের অপপ্রচার, কুৎসা, মিথ্যাচারিতাকে তীব্র কটাক্ষ হেনেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গলায় নানান সময়ে শোনা যায়, ‘নো ভোট টু মমতা’। এদিন অভিষেক সাফ জানিয়েছেন বিরোধীদের এই শ্লোগানকে মানুষ পুরো উল্টে দিয়েছে। সেই শ্লোগান এখন হয়ে গিয়েছে ‘নাো ভোট ফর মমতা’। পাশাপাশি এই রায়ের জন্য অভিষেক জনগনকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, ধন্যবাদ জানিয়েছেন। অভিষেক এটাও জানিয়েছেন, তৃণমূলের নবজোয়ার গ্রাম বাংলাকে ভাসিয়ে মানুষের রায়ে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের ইঙ্গিত দিয়ে দিল।
খাদিকুলের বিস্ফোরণ কান্ডের ভানু বাগের পঞ্চায়েত দখল করল বিজেপি। জয়ী বিজেপি প্রার্থী পুষ্প লতা সাউ।
হেরে যাচ্ছে দেখে গণনা কেন্দ্র থেকে দু'বাণ্ডিল ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে পালাতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে ধরা পড়ল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। তার নাম রূপসোনা মল্লিক। তিনি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের পাঁচরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। তল্লাশিতে তার কাছ থেকে দু'বাণ্ডিল ব্যালট পেপার মেলে। এরপরেই তাকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওই তৃণমূল প্রার্থীকে আটক করে জামালপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ভাঙরে গণনা কেন্দ্রের আশেপাশে একের পর এক বোমা পড়ছে। ভাঙর ২-এর পঞ্চায়েতগুলো ধীরে ধীরে আইএসএফের দখলে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময় বোমা পড়ছে এলাকার আশেপাশে। আইএসএফ নেতা-কর্মীদেরকে শান্ত হওয়ার কথা বলছে এবং এলাকায় জমায়েত করার নিষেধ করছে তারা। পাশাপাশি পুলিসও জমায়েতকারীদের হটাতে এলাকায় লাঠি উচিয়ে ছুটছে। কিন্তু এখনও চলছে এলাকায় বোমাবাজি।
বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, 'সিপিএম ৬-৮ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃনমুল কংগ্রেসকে জিতিয়ে দিচ্ছে'। ঝটিকা সফরে ইটাহারে এসে বিজেপির রাজ্য সভাপতির চাঞ্চল্যকর দাবী। ভোট গননার সময় নিজের সাংসদ এলাকা উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে এসে কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করে গেলেন সুকান্ত মজুমদার। সেখানে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের ভোট গননার শেষ অবধি থাকার পরামর্শ দিলেন তিনি। পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন যেমনটা আমরা বলেছিলাম সিপিএম-কে ভোট দিলে তৃণমুলের সুবিধা হবে, তেমনটাই ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে।
নন্দীগ্রাম ২ পঞ্চায়েত সমিতি এলাকার মধ্যে
বয়াল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৩ সেখানে
বিজেপি- ৮
তৃনমুল -৫বয়াল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৬ সেখানে
বিজেপি -৯
তৃনমুল-৭দক্ষিন চব্বিশ পরগনা পঞ্চায়েত নির্বাচন – ২০২৩
মোট জেলা পরিষদের আসন – ৮৫টি ৷
TMC - ৮টি। (বীনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী – ৮টি)
BJP -
CP(I)M -
CONG -
ISF -
IND -পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন – ৯২৬টি
TMC - ২৩৩টি। (বীনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী – ২৩৩টি)
BJP -
CP(I)M -
CONG -
ISF -
IND -মোট পঞ্চায়েত সীট – ৬৩৮৩টি ৷
TMC - ২৭৮৪টি। (বীনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী – ১৭৬৭টি)
BJP - ১৫২টি।
LEFT - ৬৬টি।
CONG - ১৮টি।
IND - ১০০টি।সিপিএমের জয়ী প্রার্থীর রেজাল্ট কেড়ে নিয়ে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। মেমারির ১ নম্বর ব্লকের দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮০ নম্বর বুথে সিপিএমের প্রার্থী সনকা ক্ষেত্রপালের দাবী, তিনি গণনায় ৫৩ ভোটে জয়ী হন। পরাজিত হয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। জেতার পর তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন মহিলা ও পুরুষ তার হাত থেকে রেজাল্ট কেড়ে নেয়। তাকে ঘাড় থাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। বাঁধা দিলে বলা হয় ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হবে। পুলিস থাকলেও সাহায্য করেনি বলে সনকা ক্ষেত্রপালের অভিযোগ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বালি নিশ্চিন্দায় জাতীয় সড়ক অবরোধ বামকর্মী সমর্থকদের। বালি নিশ্চিন্দা ব্লকে পল্লীমঙ্গল বিদ্যামন্দির গণনা কেন্দ্রে গণনার নামে প্রহসনের অভিযোগ। এমনটাই অভিযোগ সিপিআইএমের। বালির ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক দীর্ঘক্ষণ অবরোধ করে অভিনব কায়দায় বিক্ষোভ। তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা সবুজ আবির মেখে সেখান থেকে গেলেই তাদেরকে চোর চোর বলে শ্লোগান।
ভাঙ্গরে গণনা কেন্দ্রের আশেপাশে একের পর এক পড়ছে বোমা। ভাঙ্গুর ২ এর পঞ্চায়েত গুলো ধীরে ধীরে আইএসএফের দখলে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময় বোমা পড়ছে এলাকার আশেপাশে আইএসএফ নেতা-কর্মীদেরকে শান্ত হওয়ার কথা বলছে এলাকা জমায়েত করার নিষেধ করছে। পাশাপাশি পুলিস ও এলাকায় লাঠি উচিয়ে ছুটছে। জমায়েতকারীদের হটাতে। কিন্তু এখনো চলছে এলাকায় বোমাবাজি।
আজ চলছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা। ময়নাগুড়ি বিধানসভার ভোট গণনা কেন্দ্র করা হয়েছে ময়নাগুড়ি হাই স্কুলের ময়দানে। প্রথম রাউন্ড শেষ হতে না হতেই জয়ের উল্লাস দেখা গেল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয় ময়নাগুড়িতে। সেখানে প্রথম ধাপে ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের গণনা শুরু হয়। সেখানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই জয়ের উল্লাস দেখা গেল ময়নাগুড়িতে। ময়নাগুড়ি ফুটবল মাঠে কর্মী সমর্থকরা গণনার আগেই সবুজ আবির খেলায় মেতেছেন। যদিও অফিসিয়ালি কোনও ঘোষণা এখনও পর্যন্ত করা হয়নি বলে জানা গেছে।
আলিপুরদুয়ারে হার বিজেপি জেলা সভাপতির।
তৃনমূল এজেন্টরা কালো ব্যাচ পরে গণনা কেন্দ্রে। বিজেপি-র অভিযোগ তাদের চেনার জন্য এই উদ্যোগ। করিমপুরে গণনা কেন্দ্রে তৃণমূলের এজেন্টদের বুকে কালো ব্যাচ। তাদের দাবি ভোটে বাংলায় তাদের দলের ১২ জন খুন হয়েছে। তাই কালো ব্যাজ পরে গণনা কেন্দ্রে এসেছেন তাঁরা। বিজেপি নেতা অর্জুন বিশ্বাস অভিযোগ করেছেন করিমপুর ওয়ান ব্লকে বিডিও সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের একটা বোঝাপড়া হয়েছে এবং গণনা কেন্দ্রে যাতে তৃণমূলের নেতাদের সবাই চিনতে পারে সেই জন্য কালো ব্যাজ পড়ে একটা অভিনয় করছে। যে যেসব তৃণমূল কর্মী মারা গেছে তাদের জন্য শোক পালন করা হচ্ছে কিন্তু ঘটনাটা উল্টো। গণনা কেন্দ্রে অফিসাররা এবং বিডিও তৃণমূল কর্মীদের যাতে চিনতে পারে সেজন্যেই এই অভিনব কায়দা গ্রহণ করা হয়েছে,এমনই জানালেন।
শেখ সুফিয়ানের দুই কন্যা শাবানা এবং সালমা জয়ী।
পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে তৃণমূল-সিপিএম সংঘাত ঘিরে তীব্র উত্তেজনা। এরপর পুলিসের অনুরোধে সিপিএমের নেতারা তাদের ক্যাম্প কৃষ্ণবাজারের দিকে সরিয়ে নেন। তা সত্বেও দ্বিতীয় রাউন্ডের গণনায় আসা কর্মীদের হয়রাণি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। সিপিএম নেতা অভিজিৎ কোঙার জানান; তারা প্রয়োজনে প্রতিরোধ করবেন। ঝান্ডার সঙ্গে ডান্ডাও থাকবে। লোকসংখ্যায় তৃণমূল পেরে উঠবে না। তাই প্রশাসনকে কাজে লাগিয়েছে। তার আরও অভিযোগ; প্রশাসনের এই দাবি অন্যায়। তাও তারা মেনে নিয়েছেন।
পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দুর ঘরে লাউদা গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে।
বাসন্তিতে গননা কেন্দ্রে ২০০ মিটারের বাইরে বিজেপি বিজয় মিছিল করলেও জমায়েত থাকার কারণে পুলিস ব্যাপক লাঠিচার্জ করে ।
পঞ্চায়েত ভোটে মা মাটি মানুষের জয়, দল থেকে বহিষ্কার হয়ে গেলেও দলের পাশে পার্থ। একদিকে পঞ্চায়েত ভোটের গণনা অপরদিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেল হেফাজত শেষে আদালতে পেশ। পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ মোট সাতজনকে আলিপুর স্পেশাল সিবিআই আদালতে পেশ করা হলো আজ। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পঞ্চায়েত ভোটের ফল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'মা মাটি মানুষের জয় হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে'।
গণনা কেন্দ্রে এসে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে গেলেন রানাঘাট লোকসভার সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তাকে তড়িঘড়ি তার নিরাপত্তা রক্ষীরা ফুলিয়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলেন।
ভোট গণনা কেন্দ্রের স্টংরুমের সামনে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়ার বালিকা বিদ্যালয়ের ভোট গণনা কেন্দ্রে। সকাল থেকেই গোটা ভোট গণনা কেন্দ্র মুড়ে রাখা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দিয়ে। কিন্তু যখনই ভোট গণনা শুরু হয় ভোট গণনা কেন্দ্রে পৌঁছায় পুলিসের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এরপর প্রত্যেকটি স্টংরুমের সামনে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে দেওয়ার টাল বাহানার পর স্ট্রং রুমের সামনে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরে যেতে বাধ্য হয়। তখনই উত্তেজনা সৃষ্টি হয় গোটা গণনা কেন্দ্রে। এরপর বিজেপির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করতে শুরু করে। এছাড়াও বেশ কয়েকজন বিজেপির এজেন্ট কেন্দ্রীয় বাহিনীর পা চেপে ধরে, চলে না যাওয়ার জন্য। তবে তৃণমূলের বহিরাগতরা ভোট গণনা কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে রীতিমতো উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে।
রানাঘাটের সাংসদ বিজেপির জগন্নাথ সরকারের অভিযোগ, স্ট্রং রুমের সামনে থেকে রানাঘাট পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার রূপান্তর সেনগুপ্ত এবং রানাঘাট মহকুমা পুলিস আধিকারিক প্রবীর মন্ডলের নেতৃত্বে স্ট্রং রুমের সামনে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সরিয়ে একটি ঘরে তাদের রেখে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তারপরই তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা ভোট গণনা কেন্দ্রের ভেতরে তাণ্ডব শুরু করে দেয়। এরফলে ভোট গণনা বন্ধ হয়ে যায়। চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
ভোট গণনা কেন্দ্রের বাইরে পুলিস আধিকারিকদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এখনও পর্যন্ত গণনা প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। ভোট গণনা কেন্দ্রের কর্মীরাও রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন। অধিকাংশ ভোট গণনা কর্মী ভোট গণনা কেন্দ্র ছেড়ে বেরিয়ে চলে আসেন নিরাপত্তাহীনতার কারণে।অনুব্রত মন্ডলের গড় বীরভূম জেলায় দুটি পঞ্চায়েত দখল করল বাম কংগ্রেস জোট। জানা গিয়েছে বীরভূমের নলহাটির বারা -১ ও বারা - ২ পঞ্চায়েত দখল করল জোট। বীরভূমে কার্যত শূন্য হয়ে যাওয়া বাম কংগ্রেস জোটের দুটি পঞ্চায়েত দখলকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
তৃণমূল এবং পুলিসের আক্রমণের অভিযোগ। আক্রান্ত এবং গুরুতর জখম বিজেপির সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
মালদা জেলা স্কুলে উত্তেজনা। ব্যালট ছিনিয়ে নেবার অভিযোগ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ সিপিএম-এর
তৃণমূল কংগ্রেসের জয়লাভ করতেই নানুরের কর্মীদের মধ্যে আবির খেলায় মেতে উঠলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা।
বিধায়ক তাপস সাহাকে ধাক্কা এবং মারধরের অভিযোগ কেন্দ্র বাহিনীর বিরুদ্ধে। ভোট কেন্দ্র থেকে বেশ কিছুটা দূরে তৃণমূলের শিবির। অভিযোগ সেখানে গিয়েই বিধায়ক সহ বেশ কিছু তৃণমূল কর্মীকে লাঠি দিয়ে মারে কেন্দ্রীয় বাহিনী ।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার বারাবনি ব্লকের আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও সালানপুর ব্লকের ১১ টি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেস দখল করল।
পুরুলিয়ার মোট ১৭০ টি গ্রাম পঞ্চায়েত, মোট আসন সংখ্যা - ২৪৭৬
তৃণমূল - ৩২৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে জয়ী
বিজেপি - ১০২ টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে জয়ী
কংগ্রেস - ১৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে জয়ী
সিপিআইএম - ৩৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে জয়ী
ফরোয়ার্ড ব্লক - ৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে জয়ী
অন্যান্য - ২৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে জয়ীঅনুব্রতর অনুপস্থিতি ফ্যাক্টর? ৮৯৩ টি আসনে এর আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছিল তৃণমূল যদিও বিরোধীরা অভিযোগ করেছিল অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। আর যারা দিতে পেরেছিল তাদেরকেও জোর করে তোলানো হয়েছিল মনোনয়ন। এমনকি পঞ্চায়েত নির্বাচনেও জেলার প্রায় ১৪ টি আসনে পুনর্নির্বাচন হয়েছে। যদিও বিজেপি বলেছিল ৩৪টি আসনে পুনর্নির্বাচন করাতে হবে। কিন্তু ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন দেখা যাচ্ছে তৃণমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে যে সংখ্যক আসনে এগিয়ে তার ৮০% আসনে কিন্তু এগিয়ে বিরোধীরাও। সকাল ১১.৫৮ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে যেখানে তৃণমূল ৩৬ আসনে এগিয়ে বিজেপি এবং জোট প্রার্থীরা ৩০টি আসনে এগিয়ে। আর এরপরেই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তারা বলছে মনোনয়ন জমা দিতে না দেওয়া, মনোনয়ন তোলানো , ভোট হিংসা, ছাপ্পা ভোট করেও ৮০ শতাংশ আসনে কিন্তু জয়লাভ করছে বিরোধীরা। আর ভোট যদি হতে দিত তাহলে গোটা রাজ্যেরই ৯০% আসন হাতছাড়া হত তৃণমূলের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামার বাড়ি কুসুম্বা এলাকাতেই জয় পেল বিজেপি। জানা গিয়েছে কুসুম্বা গ্রামের ৩টি আসনের মধ্যে দুটি আসনে জয়লাভ করেছে বিজেপি। ১ টিতে জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
কাঁকসার গণনা কেন্দ্রের সামনে সিপিআইএম এর এজেন্টদের তারা করে শাসকদলের কর্মীরা বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিস বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেয়। কাঁকসার BDO অফিস সংলগ্ন একটি বেসরকারি কলেজের মঙ্গলবার সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে গণনা শুরু হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় উত্তেজনা। মঙ্গলবার কাঁকসার গণনা কেন্দ্রের সামনে সিপিআইএম-এর এজেন্টদের তারা করে শাসকদলের কর্মীরা বলে অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালে ঘটনাস্থলে কাঁকসা থানার পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা পরিস্থিতির সামাল দেয়।
গতকাল NIA এর হাতে গ্রেফতার হবার পর আজ ভোটে জয়ী হলো মনোজ ঘোষ।৩০৯ ভোটে জয়ী হলেন এনআইএর হাতে গ্রেফতার হওয়া বীরভূমের নলহাটির বানিওর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মনোজ ঘোষ। অবৈধ বিষ্ফোরক মজুত করে রাখার অভিযোগে গতকাল তাকে গ্রেফতার করে এনআইএ। আজ তার জয়ের খবর পেতেই এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যে উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে। উল্লেখ্য, এই মনোজ ঘোষ এর বাড়ি ও অফিসে হানা দিয়ে প্রচুর বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিল NIA।
বালি জগাছা ব্লকে গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা বিজেপি এজেন্টদের।পুতুল গায়েন নামে বিজেপি এজেন্টকে সালোয়ার ছিঁড়ে দেবার অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে। এক কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। পুলিসের মদতে টিএমসি এই ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ।
গণনাকেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে ব্যালট পেপার ছিঁড়ে কালি ঢেলে দিল এক তৃণমূল প্রার্থী। ৪/ ৪১ নম্বর বুথের গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃনমুল প্রার্থী রিংকু রায় রাজভর। গণনা শুরু হওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যে ওই ঘটনা ঘটে। মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ হাইস্কুলের ৪ নম্বর গণনা রুমে এই ঘটনা ঘটে। পুলিস সেই প্রার্থীকে গ্রেফতার করেছে।
ট্যুইট করলেন শুভেন্দু অধিকারী
ট্যুইট করলেন কুণাল ঘোষ।
মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে যেখানে নির্দল প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল সেই কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী অরিজিৎ দাস জয়ী । তার প্রাপ্ত ভোট ৩২৬। বিজেপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ১৩৯। তৃণমূল প্রার্থী কেশব বেরার প্রাপ্ত ভোট ১১৪ এবং সিপিএম প্রার্থী প্রাপ্ত ভোট ৫৬। নির্দল প্রার্থী অরিজিৎ দাস মোট ১৮৭ ভোটে জয়ী।
ডায়মন্ড হারবার ফকিরচাঁদ কলেজের গণনা কেন্দ্রে বেশ কিছুটা দূরে বোমাবাজি গন্ডগোলের জেরে ১৭৭ নম্বর জাতীয় সড়ক রাস্তা অবরোধ করে সিপিআইএম-কংগ্রেস-আইএসএফ। এই ঘটনায় পাঁচজনকে এরেস্ট করে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিস
ভাঙ্গর ২-এ কাঠালিয়া গণনা কেন্দ্র সামনে দিয়ে সোজা রাজ্যপালের কনভয় আসে বিজয়গঞ্জ বাজারের মাঠে। যে মাঠে নমিনেশনের দিন অগ্নিগর্ভ হয়েছিল। যেখানে একাধিক গাড়ি পোড়ানো হয়েছিল সেই মাঠে কিছুক্ষণ তিনি থাকেন। তারপর স্থানীয় দুই ব্যক্তির সঙ্গে রাজ্যপাল কথা বলেন। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন যে এখানে যে গাড়িগুলো ছিল সে গাড়ি গুলি পুলিস নিয়ে গেছে। তারা জানান নিয়ে গেছে। পাশাপাশি রাজ্যপাল বলেন এখানে পরিস্থিতি এখন কেমন? ওই দুই ব্যক্তি জানান পরিস্থিতি ঠিকঠাক আছে। এরপরে তাদের সঙ্গে হ্যান্ডসেক করে হাত নাড়িয়ে তারপরে রাজ্যপাল ওই মাঠ থেকে যান। এখন বাসন্তীতে যাবেন বলে জানা যাচ্ছে।
জলপাইগুড়ি পলিটেকনিক কলেজের গনণা কেন্দ্রের ভেতরে তৃণমূল নেতার প্রবেশ। চলছে গ্রাম পঞ্চায়েতের কাউন্টিং। বিরোধীদল বিজেপি এবং সিপিএমের অভিযোগ জেলা পরিষদের ইলেকশন এজেন্ট তৃণমূল নেতা কাউন্টিং সেন্টারের ভিতরে। পুলিস এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে বিক্ষোভ। যদিও তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বাঁকুড়া জেলা পরিষদের জয়পুর ৪২, ৪৩ ও ৪৪ নং আসনে তিন তৃণমূল প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন পোস্টাল ব্যালটে।
আমতা ২ এর গননা কেন্দ্র জয়পু্র পঞ্চানন রায় কলেজে সিপিআইএম এজেন্টদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ। প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে আমতা ঝিখিরা রাস্তা অবরোধ করা হয়।
ব্যারাকপুর ওয়ান ভোট গণনা শুরু হতেই মামুদপুর পঞ্চায়েতের আট নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী বরুণ সরদার গণনা কেন্দ্রের ভেতরেই যারা ভোট গুনতে এসছে এবং তৃণমূলের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তাঁর দাবি এই গণনা কেন্দ্র থেকে তার ভোট লুট হয়েছে। পুলিস তাকে বার করতে গেলে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। পরে পুলিস তাকে বের করে নিয়ে যায়।
জাতীয় সড়কে আটকে পড়ে দিলীপ ঘোষের গাড়ি। বিজেপি সমর্থকরা দিলীপ ঘোষকে ঘিরে অভিযোগ এবং পরিস্থিতি জানান।
ডায়মন্ড হারবারে গন্ডগোলের জেরে সিপিএম-এর প্রতিকুর রহমান, সমর নাইয়া সহ পাঁচজনকে আটক করেছে ডায়মন্ডহারবার থানার পুলিস
'দলের মধ্যে এখনো কিছু বেনোজল রয়েছে। সেই বেনোজল নেতৃত্বে রয়েছে কর্মীদের মধ্যে রয়েছে। তাদেরকে ভোটের পরে তাড়াতে হবে। আমি দলকে সব জানিয়েছি', বললেন শেখ সুফিয়ান। নন্দীগ্রামের পঞ্চায়েত নির্বাচনে গত কয়েকদিন ধরে যে নামটা নিয়ে বারে বারে নানান প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। সুফিয়ান তৃণমূলে আছেন নাকি তিনি বিরোধী দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এই জল্পনা বারে বারে সামনে এসেছে। সুফিয়ান এবার জেলা পরিষদের টিকিট পাননি। টিকিট পেয়েছেন তার দুই মেয়ে এবং এক জামাই। গণনার দিন সকালে নিজের বাড়িতে নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে সুফিয়ান বক্তব্য, 'ক্যাণ্ডিডেট নই হ্যাংলার মতন কেন যাব'। পাশাপাশি তার আরও দাবি যে তাকে টিকিট দেওয়া হয়নি নিশ্চয়ই, তিনি আশা করছেন যে দল তাকে অন্য কোনও ক্ষেত্রে ভালো দায়িত্ব দেবে। নতুন পুরনোর মেলবন্ধনে কাজ করলে পার্লামেন্টে দল ভালো ফল করবে আসা সুফিয়ানের
ভোট গণনার আগে তৃণমূল প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ হরিহরপাড়ায়। ভোট গণনার দিনেও উত্তপ্ত হরিহরপাড়া। গণনাকেন্দ্রে আসার পথে তৃণমূল মহিলা প্রার্থী ও তার স্বামীকে রাস্তায় আটকে মারধর, গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল সিপিআইএম-এর বিরুদ্ধে। অভিযোগ রুকুনপুর হাই স্কুল মোড় সংলগ্ন এলাকায় হরিহরপাড়ার গোবিন্দপুরের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী মামনি বিবি ও তার স্বামী মহিবুল মন্ডলকে মারধর করা হয়। অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিআইএম।
ট্যুইট করলেন কুণাল ঘোষ।
বর্ধমান ১ ব্লকের বিদ্যাসাগর উচ্চ বিদ্যালয়ের গণনা কেন্দ্রে সিপিএম, বিজেপি প্রার্থী এবং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযুক্ত তৃণমূল। পুলিস সাহায্য করেছে না বলে দাবি বিরোধীদের। গণনা কেন্দ্রের ভিতর পরিচয়পত্র ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন বিরোধীরা। হেনস্থার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক বিজেপির এজেন্ট। তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অসুস্থ ব্যক্তির নাম উজ্জ্বল ঘোষ। তিনি বাঘাড় ১ পঞ্চায়েতের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। বিজেপির ৩১ নম্বর মন্ডল সভাপতি রাজকুমার সাউ বলেন, ওনাকে গণনা কেন্দ্রের ভিতর থেকে বারবার বের করে দেওয়া হয়। চরম হেনস্তা করা হয়। তার জেরেই তিনি অসুস্থ হয়ে যান। ঘটনার পর বিডিও নিজের গাড়িতে করে তাকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
রাজ্যপাল ভাঙড় ২ কাঠালিয়া হাই স্কুলে আসেন। ওনার গাড়ি যখন ধীরে ধীরে কাঁঠালিয়া স্কুলের দিকে আসছিল, সেই সময় সাংবাদিকরা সবাই ছবি তুলছিলেন। এরপর রাজ্যপালের গাড়ির বাইরে এক দেহরক্ষী কটূক্তি করেন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে। তখনই সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ করে। এরপর একটা অশান্তির পরিবশ তৈরি হয়। রাজ্যপাল তখন গাড়ির মধ্যেই ছিলেন। এরপর দেহরক্ষী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সরি বলেন। তখনই পরিস্থিতি ঠিকঠাক হয়। কিন্তু কাঠালিয়া স্কুলের সামনে থেকে রাজ্যপালের কনভয় ঘুরে যায়। তিনি এই মুহূর্তে ভাঙ্গড় ছেড়ে বাসন্তীর দিকে রওনা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
ভোট গণনার আগে জাঙ্গীপাড়ায় সকাল থেকেই উত্তেজনা। ডি এন হাই স্কুলের গণনা কেন্দ্র থেকে সিপিএম এবং আই এস এফের কাউন্টিং এজেন্টদের মেরে বের করে দেওয়ার অভিযোগ। গাড়ি ভাঙচুর। ফুরফুরা পঞ্চায়েতর প্রাক্তন প্রধান এবার জেলা পরিষদের প্রার্থী সামিম আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। আক্রান্তরা স্থানীয় সিপিএম অফিসে যায়। জাঙ্গীপারা হাসপাতালে যায়। কয়েকজন আহত হয়েছে ঘটনায়। পুলিসের বিরুদ্ধেও অভিযোগ লাঠি মারার। অভিযোগ অস্বীকার পুলিস ও তৃনমূলের।
কাটোয়া এক নম্বর ব্লকের কাউন্টিং সেন্টারে সিপিএম ও বিজেপির এজেন্টদের ঢুকতে বাধা। সিপিএম-এর কর্মী সমর্থকদের মারধর একজন সিপিএম সমর্থক ও গাড়ির চালক শ্রীখন্ড হাসপাতালে ভর্তি। সিপিএম-এর অভিযোগ তারা যখন কাউন্টিং সেন্টারে যাচ্ছিল সেই সময় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাদের গাড়ি থামিয়ে তাদের মারধর করে, গাড়ি ও ভাঙচুর করে। অন্যদিকে দেখা যায় বিজেপির এজেন্ট ও কর্মীরা তারাও কাউনটিং সেন্টারে ঢুকতে না পেরে বাড়ির পথের রওনা দিয়েছে। তাদের অভিযোগ তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা মেরে তাদের তাড়িয়ে দিয়েছে। কাটোয়া বিআইটি কলেজে এক নম্বর ব্লকের গণনা কেন্দ্র।
গণনা নির্দিষ্ট সময়ের পর এক ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কোনও গণনা কেন্দ্রেই ব্যালট বক্স গণনা শুরু হয়নি
বালি দুর্গাপুর পল্লীমঙ্গল বিদ্যামন্দিরে ভোট গণনা শুরু হবার আগেই রাস্তায় শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে বচসা। ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিস এবং র্যাফ পরিস্থিতি সামাল দেয়। বিজেপির অভিযোগ এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়
তৃণমূল তাদের নেতা কর্মীদের বার্তা দিয়েছে যে, 'এজেন্টরা ত্রিস্তরের গণনার শেষ পর্যন্ত থাকুন। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দেখাবেন না। এলাকার কর্মীরা গণনাকেন্দ্রে নজর রাখুন। নিয়মমাফিক দূরত্বে জমায়েত রাখুন'।
ভোট গণনা শুরু হতেই, গণনা কেন্দ্রের সামনে ডিজে বক্স বাজিয়ে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের উল্লাস, নাচ। এই ছবি দেখা গেল নানুরের হাইস্কুলের সামনে।
বোদাই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪৯ নম্বর বুথের সিপিএম প্রার্থী বিশ্বজিৎ সামন্তকে কাউন্টিং সেন্টারের সামনে থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেছে সিপিআইএম।
ভোট গণনার শুরুতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল ডায়মন্ড হারবার ফকির চাঁদ কলেজ। বিরোধীদের কাউন্টিং হলে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, ফকিরচাঁদ কলেজ কাউনটিং সেন্টারে ঢোকার মুখে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বাহিনীরা ঘিরে রেখেছে, বোমাবাজি করছে এবং তাদেরকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিসে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে পথ অবরোধে বিরোধীরা। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে নেতৃত্ব।
নানুর সিপিআইএম এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে গণনার জন্য মামির ব্লকের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল সমর্থকরা। তখন সিপিআইএম-এর নেতৃত্বদের তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা রাস্তা আটকে তাদেরকে যেতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। েরপর সিপিআইএম-এর কর্মীরা এসে কির্ণাহার বাসস্ট্যান্ডে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে।
প্রথমে পঞ্চায়েত সদস্যদের গণনা করা শুরু হবে আটটা থেকে। ভাঙ্গড় কাঠালিয়া হাই স্কুলে গণনা কেন্দ্র সামনে বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। রাজ্য পুলিস, কেন্দ্র বাহিনী ও ভিন্ন রাজ্যের পুলিসও আছে। ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। চলছে এলাকায় নাকা চেকিং। তৃণমূলের জেলা পরিষদের প্রার্থী হাকিমুল ইসলাম জানান ভাঙ্গরের দশটা পঞ্চায়েত তাদের দখলে থাকবে। বিরোধীদের কোনও চান্সই হবে না।
মালদা জেলার ১৫টি ব্লকের গণনা কেন্দ্র করা হয়েছেl জেলার ১৪৬ টা গ্রাম পঞ্চায়েত ,৪৩ টা জেলা পরিষদ আসন ও ১৫ টি পঞ্চায়েত সমিতির ভাগ্য নির্ধারণ হবে আজ l সকাল থেকেই প্রতিটা ভোট গণনা কেন্দ্রে কড়া কেন্দ্রীয় বাহিনী পাহারা।। সকাল থেকে প্রার্থীরা হাজির হয়েছেন গণনা কেন্দ্রে l সকাল আটটা থেকে গণনা শুরু হবে।
সকাল ৭.২০ মিনিটেই ডায়মন্ডহারবার কলেজ নিয়ে অভিযোগ জানালেন শমীক লাহিড়ী।
বাগনান থানা ঘেরাও করল বাম, কংগ্রেস, আইএসএফ। তাদের দাবি কোনো বিরোধী এজেন্টরা ঢুকতে পারছেনা। পাশাপাশি এজেন্টদের মারধরের অভিযোগও করা হয়েছে।
ছাতা মাথায় বহু মানুষের ভিড় জলপাইগুড়ি পলিটেকনিক কলেজ কাউন্টিং সেন্টার গেটের বাইরে।
ভোট গণনার দিন সকাল থেকে বৃষ্টি জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়ি পলিটেকনিক কলেজের সদর ব্লকের কাউন্টিং সেন্টার। আর এই কলেজের মধ্যেই রয়েছে স্ট্রংরুম। ছাতা মাথায় বহু মানুষ গেটের বাইরে লাইনে। কাউন্টিং সেন্টারে প্রবেশের জন্য ভোর থেকে দীর্ঘ লাইন।কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিস রয়েছে কাউন্টিং সেন্টার চত্বরে। তবে ছাতা মাথায় বহু মানুষের ভিড় জলপাইগুড়ি পলিটেকনিক কলেজ কাউন্টিং সেন্টার গেটের বাইরে।
শান্তিপুর বিধানসভার ফুলিয়া বালিকা বিদ্যালয় আজ গণনা। দশটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১৮ টি গ্রাম সভায় এবং ২৯ টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং তিনটি জেলা পরিষদের গণনা হবে। ইতি মধ্যেই প্রার্থী এবং এজেন্ট লাইন দিয়ে ঢুকতে শুরু করে দিয়েছন। কড়া নিরাপত্তায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুরে ফেলা হয়েছে গণনা কেন্দ্র।
গণনার সকালেই লম্বা লাইন গননা কেন্দ্রের সামনে। কাউন্টিং এজেন্টরা ঢুকতে শুরু করেছেন। বিজেপির অভিযোগ কাউন্টিং হলে পঞ্চায়েত গণনার সময় প্রার্থী ও এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হবে কিন্তু পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ গণনার সময় এজেন্ট ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন। আর এটা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এতদিন গণনার সময় এজেন্ট ও তার প্রার্থী দুজনেই উপস্থিত থাকতে পারতেন। কিন্তু নতুন এই নিয়মে শুধুমাত্র প্রার্থী থাকবেন। এতে সমস্যা হতে পারে বলে মত প্রকাশ করছে বিরোধীরা। বালুরঘাট সহ জেলার আটটি গণনা কেন্দ্রে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের ভোট গণনা শুরু হবে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই কুশমন্ডি, হরিরামপুর, বংশীহারী, গঙ্গারামপুর, তপন, কুমারগঞ্জ, বালুরঘাট ও হিলিতে গণনা কেন্দ্র করা হয়েছে। বালুরঘাট গণনা কেন্দ্রের গেটে রয়েছে রাজ্য পুলিস সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখা যায়নি। অবশ্য ভিতরে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে।
গণনা কেন্দ্রের বাইরে আঁটসাঁট নিরাপত্তা। নিরাপত্তা গণনা কেন্দ্রের ভিতরেও। মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে রাজ্য পুলিস। পোলবা দাদপুর ব্লকের বারোটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোট গণনা হবে ইয়াসিন মন্ডল স্কুলে। বিডিও, সরকারি আধিকারিকদের উপস্থিতিতে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সামনে স্ট্রং রূম খোলা হয়। ভোট গণনা হবে যে হলগুলিতে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন কর্মীরা। প্রস্তুতি সম্পন্ন। প্রথমে গণনা হবে গ্রাম সভার। তারপর ব্যালট বক্স খোলা হবে। হুগলি জেলার ১৮টি ব্লকে আঠরেটি গণনা কেন্দ্র ভোট গণনা হবে।
গণনার আগেই গভীর রাতে ভাঙড় দু'নম্বর থেকে উদ্ধার তাজা বোমা। ঘটনাটি ভাঙড় দু'নম্বর ব্লকের টোনা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ওই এলাকার একটি ইট ভাটার বাথরুমের টালির চালের উপর পড়ে ছিল প্রায় ১১টি বোমা। এই ঘটনায় রাতে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কাশিপুর থানার পুলিস। পাশাপাশি তৃণমূল ও জমি জীবিকা রক্ষা কমিটি একে অপরের বিরুদ্ধে এই বোম রাখাকে কেন্দ্র করে দোষারোপ করে।
ভাঙ্গর ব্রিজে চলছে নাকা চেকিং। সমস্ত গাড়ির যেমন চেকিং চলছে, পাশাপাশি সরকারি অফিসারদের গাড়িও চেক করা হচ্ছে।