West Bengal Assembly Election 2021: Mamata Live: কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে বসে খাবার খাচ্ছে
শীতলকুচির এক তৃণমূল নেতার সঙ্গে তাঁর কথোপোকথন ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর এনিয়ে বিজেপিকে নিশানা করলেন তৃণমূল নেত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে চলছে পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ। তার মধ্যেই রাজ্যে মেগা প্রচারে নরেন্দ্র মোদী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শীতলকুচির এক তৃণমূল নেতার সঙ্গে তাঁর কথোপোকথন ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর এনিয়ে বিজেপিকে নিশানা করলেন তৃণমূল নেত্রী। যদিও ওই টেপের সত্যাতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি জি ২৪ ঘণ্টার পক্ষে। আসানসোলের সভা থেকেও ওই টেপ নিয়ে সরব হলেন নরেন্দ্র মোদীও। এখন বর্ধমানের গলসিতে সভা করছেন মমতা।
Latest Updates
দেখবেন কিছু গুন্ডা ওদের সঙ্গে চলে গেছে। কিছু গদ্দার। একহাতে বিজেপি ঝান্ডা আর অন্য হাতে মোটা মোটা ডান্ডা। এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। বাংলায় দাঙ্গা করতে দেব না। বাংলাকে গুজরাট করতে দেব না। বাংলা তৃণমূল কংগ্রেসই থাকবে। বিজেপির মুখ কালো হয়ে যাবে।
বিজেপি বলছে ডবল ইঞ্জিন সরকার হবে। গ্যাসের দাম হাজার টাকা। মোদীর ডবল ইঞ্জিন সরকার...এনপিআর করে দেওয়া, নোটবন্দি করা। এলআইসি করে দেওয়া। বাংলাকে জানতে হবে। বাংলায় কৃষকদের ধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেনে। তোমরা কেন খুবই সামান্য। আমরা কাজ করে বলি।
আমরা ব্লকে ব্লকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল গড়ে দেব। আপনাদের ছেলেমেয়েরা বাংলাও পড়বে, ইংরিজিও পড়বে। বাংলায় পড়েও ভালো রেজাল্ট করা যায়। আমরা সরকার চালাই আমরা তো পাতি বালা মিডিয়ামে পড়েছি। বাংলা মিডিয়ামে পড়লে খারাপ হয় না।
বিজেপি এখন জলের ফোয়ারার মতো টাকা ওড়াচ্ছে। ওই টাকা দিয়ে ১ কোটি তপসিলি মেয়ের বিয়ে হতো। টাকা নিয়ে ভোট দেবেন না।
বাংলা নেবে! দিল্লি চালাতে পারে না, বাংলা চালাবে! কোভিডের টিকা দিতে পারে না। রেশন নেই, শুধু ভাষণ। দেখে দেখে বক্তৃতা দেয়। দিদি চলে যাবে বলছে। দিদি যাবে না, তুমি যাবে।
শীতলকুচির ঘটনায় যে অডিয়ো টেপ কালকে শোনানো হয়েছে। তা প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন। এতে মানুষ বুঝে গিয়েছে উনি তাতে উত্সাহ দিচ্ছেন। তাহলে প্রধামন্ত্রী, আপনি আমার ফোন ইন্টাসেপট করেছেন? আপনার লজ্জা করে না! প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করুন। তার পরে মুখ দেখাবেন।
শীতলকুচির ঘটনায় সিআইডিকে তদন্ত করতে বলেছি। কারা করেছে। অন্যায় তে কিছু বলিনি? কতগুলো বাচ্চাকে মেরে দিয়েছে ২০-২৫ বছরের। আমি বলেছি ডেডবডিগুলে রেখে দাও আমি যাব। ভোটের দিন কি আমি যেতে পারি! তাই পরদিন যাব বলেছিলাম। এটা তো আমি প্রেসকেও বলেছিলাম। পরের দিন যাব। শীতলকুচি যাব বলে ব্যবস্থা করলাম। নির্বাচন কমিশন বলল যাওয়া যাবে না। কি সত্যি কথা নাকি মিথ্যে কথা! মোদীর কাছে জানতে চাই তাকে কী প্রমাণ হল! আপনি জাবাব দিন। আপনি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারকে অপমান করছেন।
মনে রাখবেন কোনও বড় অসুখ ২ বছর থাকে। নরেন্দ্র মোদী বারবার বাংলায় আসছেন। কিন্তু কোভিড টিকা দেওয়ার বেলায় নেই। প্রতিটি ভোটে এসে মিথ্য কথা বলেন। মোদী আজ বলেছেন বাংলার মহিলাদের উপরে খুব অত্যাচার হয়। এখানে কোনও ফাস্টট্র্যাক কোর্ট নেই বিচার করার জন্য। মিথ্যেবাদী একটা! বাংলায় ৮৮টা ফাস্ট ট্রাক কোর্ট আছে। বাংলায় ৪ দিনের মধ্যে রেপ কেসের চার্জশিট করিয়েছিলাম বালুরঘাটে। তুনি জান না মিথ্যেবাদী।
কী মিথ্যেবাদী লোক ভাই! এত মিথ্যে বলে লজ্জা করে না!
উনি নাকি বলেছেন, আমি তপসিলি জাতির জন্য কিছু করিনি। শুনুন আমাদের আরামবাগের প্রার্থী একজন তপসিলি। উনি একজন বিজেপি এমপির স্ত্রী ছিলেন। তার অত্যাচারে তাকে ছেড়ে দিয়েছে। সে তপসিলি নিয়ে একটা কথা বলেছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে আমরা বলেছি, ওরকম কথা তুমি বলতে পার না।
গত ৬ মাস কোনও কোভিড হয়নি। কেন্দ্র যদি ওই সময়ের মধ্যে সবাইকে টিকা দিয়ে দিত তাহলে আর কোভিড হতো না। কাটোয়ার সভা থেকে কেন্দ্রের সমালোচনা মমতার।
গোটা দেশে তোমার সরকার চলছে, কোথাও তো বিনা পয়সায় ট্রেনে চড়াওনি। বরং আমি একটা কার্জ করে দিয়েছিলাম। ১৫ টাকার কার্ড নিয়ে ১০০ কিলোমিটার যাতায়ত করতে পারতেন। ওরা ক্ষমতায় এসে তা তুলে দিয়েছে। গরিব বিরোধী ওরা। শুধু দাঙ্গাবাজি করে। জনবিরোধী কাজ করে।
আপনারা কি ভাবেন শীতলকুচি গুলিচালনা ছেড়ে দেব? কোনও দিন ভোটে এত হিংসা হয়নি। এবার হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা আমরা হাতে এখন নেই। আমি চাই শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোচ হোক। কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে বসে খাবার খাচ্ছে। কাল এক ভিডিয়োতে দেখলাম, রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী সেন্ট্রাল ফোর্সের সঙ্গে বসে খাবার খাচ্ছে। কেন! তোমার বেলা নিয়ম, আর আমার বেলা নিয়ম নয়!
নরেন্দ্র মোদী দেখবেন প্রতি ভোটের দিন আসবে। আর মিথ্যে কথা বলে যাবে। সব ভাঁওতা, সবটা কুত্সা করে যায়। সবচা অপপ্রচার করে যায়। বলে তৃণমূল কংগ্রেস নাকি সব টাকা চুরি করেছে। তাহলে কনাশ্রী লোক পাচ্ছে কী করে, রুপশ্রী পাচ্ছে কি করে! বলে বাংলায় ডবল ইঞ্জিন সরকার করবে। তোমরা নোটবন্দি করে মানুষের সব টাকা চুরি করে নিয়েছ। ২ কোটি লোককে চাকরি দেবে বলেছিলে। ১০ কোটি লোকের চাকরি খেয়ে নিয়েছ। রেলের ৭৫ শতাংশ বিক্রি করছো। এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি করে দিচ্ছ, বিএসএলএল বিক্রি করে দিচ্ছ। আগামী দিন ব্যাঙ্ক থেকে টাকা ফেরত পাবেন কিনা সন্দেহ রয়েছে।
বারবার বলেছি, ভোটটা একদফায় করিয়ে দিন। আমাদের কথা শুনলো না। প্রচারের সময় কমিয়ে দিল। আগের দফাগুলোয় ৮-১০ দিন টাইম দিয়েছো। এবার ৪ দফার প্রচারের সময় কমিয়ে দিয়েছে। অর্থাত্ ৪ দিন প্রচার নষ্ট করে দিল। এত যদি সময় কেটে নাও তাহলে একসঙ্গে ভোট করতে পার না কেন? কমিশন বিজেপির ইচ্ছে মতো চলবে? বড় ঘটনা ঘটলে তোমাদের উপরে দায়িত্ব বর্তাবে। দুজন প্রার্থী আমাদের মারা গিয়েছে। এসব দেখেশুনেও তুমি কমিশন ৩ দফা একদিনে করতে পারলে না? কারণ নরেন্দ্র মোদীর মিটিং ছিল না বলে? কলকাতায় সন্ধের দিকে প্রচার হয়। সেখানেও তুমি টাইম কেটে নিয়েছ। বিজেপি বেলায় যা খুশি তাই করছে, আর আমার বেলায় সময় কেটে নিচ্ছ! একটা সিদ্ধান্তে নেওয়ার ক্ষমতা তোমার নেই! তিনটে ভো একসঙ্গে করা যেত।
বিজেপি লোকের দেখুন, উন্নয়নের কথা বলতে পারছে না। আমি কার সঙ্গে কথা বলছি সেটাকে ট্যাপ করছে। তার মানে কি! আপনাদের সবার ফোন ট্যাপ হচ্ছে। এটা একটা বিরাট স্ক্যাম। এনিয়ে সিআইডি তদন্তের অর্ডার দেব। কে আমরা ফোন ট্যাপ করেছে তা আমি জানতে চাই। আমি ছেড়়ে দেব না। অনেকগুলো এফআইআর হয়েছে। বিজেপি দলবেঁধে এটা পাবলিসিটি করেছে। তার মানে ঠাকুর ঘরে কে? আমিতো কলা খাইনি। তুমি করেছে বিজেপি। তোমার দালাল কাউকে দিয়ে এটা তুমি করেছ। কে কে এই খেলায় রয়েছে তা খুঁজে বের করা হয়ে গিয়েছে।
রোজ দেখছি প্রধানমন্ত্রী ,কলকাতায় আসছেন। কোভিড নিয়ে চিন্তা নেই। কোভিড বাড়িয়ে দিয়েছে। গত ৫ মাস কোভিড ছিল না। তখন যদি ইনঞ্জেকশনটা দিয়ে দিত তাহলে এভাবে কোভিড আসতো না। এক তো তা দেয়নি। যাদের দিয়েছে তাদেরও কোভিড হচ্ছে।
আমি বারবার চিঠি দিয়ে লিখেছি, আপনি ইঞ্জেকশনটা দিন আমি টাকা দিয়ে কিনে নেব। তাও দেয়নি। বড়বড় কথা বলেছে। আর বাইরে থেকে ১০ হাজার লোক নিয়ে এসেছে। বেশিরভাগ লোকের কোভিড রয়েছে। ওরা বাংলায় কোভিড ছড়াচ্ছে। আমি এখানে মিটিং করছি। বাংলার লোক প্যান্ডেল করে দিচ্ছে। নরেন্দ্র মোদী বাইরে থেকে লোক এনে প্যান্ডেল করাচ্ছে। খোঁজ নিন ওদের মধ্যে ১২-১৪ জনের কোভিড হয়ে গিয়েছে। আমরা বলে দিয়েছি, বাইরে থেকে কেউ এলে আরটিপিসিআর টেস্ট করেই তবে ঢুকতে হবে।
লখনউতে পাঁচিল তুলে দিয়েছে যাতে ডেডবডি পোড়ানো দেখতে যেন না পারে। ভর্তি হয়ে গেছে কোভিড। আপনাদের বলবে মাস্কটা পড়ুন। এখনও আমাদের রাজ্যে যতটুকু কোভিড হয়েছে তা বহিরাগতদের জন্য। বারবার বলছি বাহিরাগতরা এসে বসে আছে। ওদের কোভিড আমাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছে।
আমার এই শাড়িটা বর্ধমানের তাঁতিরা তৈরি করে দিয়েছে। আমরা সরকারের সব অর্ডার তাঁতিদের দিই।
এখন চাষিরা পান বছরে ৬,০০০ টাকা। আগামী দিন জিতলে ওই টাকা বাড়িয়ে ১০,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। ভোটে জিতলেই বাড়ির মায়েদের মাসে ৫০০ টাকা হাতখরচ দেব। ছাত্রছাত্রীদের ১০ লাখ টাকার ক্রেডিট কার্ড দেবষ উচ্চশিক্ষায় তা কাজে লাগবে। এর জন্য সরকার গ্যারেন্টার। আমরা চাই তারা পড়াশোনা করে জয় বাংলা স্লোগান দিতে দিতে তাদের পরিবারে ফিরে আসুক।
আমরা ভোট কেন চাই?
গালাগালি, অপপ্রচার করে ভোট হয় না। আমরা করেছি বলে বলছি। কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, কৃষিজমির খাজনা মুকুব হয়েছে? আগামী দিন ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে যাবে। গ্রামের রাস্তাগুলোকে স্টেট ও ন্যাশনাল হাইওয়ের সঙ্গে যোগ করা হবে। গত ১০ বছরে রাজ্যে রাস্তা হয়েছে ৯৪ হাজার কিলোমিটার। এখানে পলিটেকনিক, আইটিআই হয়েছে। এখন চাষীদের ধান কিনে নিই। আমাদের স্লোগান চেক নিন, ধান দিন। এখন রেশনে যে চাল দেওয়া হয় তা কেন্দ্রের চালের মতো ফাটা চাল নয়। কেন্দ্র আমাদের ধান কেনে না। আমরা প্রায় ৪৫ লাখ মেট্রিট টন চাল কিনে নিই।
দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগের জন্য একটি রাস্তা তৈরি হচ্ছে এখান দিয়ে। মেদিনীপুরের মেচেদা থেকে শুরু হয়ে এখান দিয়ে গিয়ে ওটা চলে যাবে উত্তরবঙ্গে। মোট ৩০০০ কোটি টাকার প্রকল্প। ডানকুনি থেকে একটি ফ্রেট করিডোর তৈরি হচ্ছে। এটি গলসির উপর দিয়ে পুরুলিয়ার রঘনাথপুর যাবে। ৭২০০০ কোটি টাকা প্রকল্প। লাখ লাখ ছেলের কাজ হবে। বীরভূমের দেউচা পাঁচামিতে বিশাল কয়লা খনি হচ্ছে। সেখানেও বহু মানুষের কাজ হবে। অন্ডাল এয়ারপোর্ট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হবে।
সকলকে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছে জানাচ্ছি। সবাইকে রমজানের শুভেচ্ছা।
একসময় এখানে বুদবুদে মিটিং করতে এসেছিলাম। এখানে এক পাঁচিল ধরে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। শুনে আসানসোল থেকে ফিরে এসেছিলাম।
এখানে ১৬৫ কোটি টাকা দিয়ে একটি সেতু তৈরি হচ্ছে। এটি হয়ে গেলে জয়দেব কেন্দুলি যাওয়া অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। বর্ধমান, হুলগি, হাওড়ার জন্য ৩০০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হতে নেওয়া হয়েছে। এটি হয়ে গেলে এলাকার বহু জমি চাষের আওতায় আসবে।