West Bengal 3rd Phase Election 2021 Live: ইট-পাথর ছুড়ে বিক্ষোভ BJP কর্মীদের, আরামবাগে ফের আক্রান্ত সুজাতা
Latest Updates
খানাকুলে তৃণমূল প্রার্থী এবং তার এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বললো জেলা প্রশাসনকে। ফলতার বিজেপি প্রার্থীর গাড়িতে ইট। ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ কমিশনের
সকাল ১১ টা পর্যন্ত ৩৪.৭১% ভোট পড়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগণা ৩২.৩০%। হাওড়া ৩৭.০৪%. হুগলি ৩৭.৩৯%
গোঘাট বিধানসভা কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠল। ঘটনায় সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য,'নির্বাচন কমিশনকে বারবার জানানো সত্ত্বেও তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।' গোঘাটের ৫৯ ও ৬০ নম্বর বুথে মহিলাদের পরিচয়পত্র দেখছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার প্রতিবাদ করেন শেখ আনসার আলি। তাঁর অভিযোগ,'পরিচয়পত্র দেখতে পারে না বাহিনী। সেটাই গিয়ে বলি। আমাকে মারতে মারতে নিয়ে গেল। আধা সামরিক বাহিনীর কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে রক্ষা পেলেন।' ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগও উঠেছে বাহিনীর বিরুদ্ধে।
লকেট চট্টোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ককে মারধরের অভিযোগ। রাস্তা অবরোধ করলেন চুঁচুড়ার বিজেপি প্রার্থী। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিসের সঙ্গে বচসা।
উত্তর উলুবেরিয়া কেন্দ্রের চাঁদরা প্রাথমিক বিদ্যালয় কোন সেন্ট্রাল ফোর্স নেই। কাল রাত থেকে মধ্যপ্রদেশ থেকে কিছু পুলিস এসেছে। তাঁরাই ভোট করাচ্ছে বলে অভিযোগ। ব্যাপক বোমাবাজি এলাকায়। কিছুক্ষণ আগেও বোম, তরোয়াল নিয়ে বুথে হামলার অভিযোগ পুলিসের।
সাতগাছিয়া বিধানসভার অন্তর্গত নোদাখালি থানার আইমারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০৫ বুথে ৫০০-৬০০ ভোটার। মারধর বোমাবাজির অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। আক্রান্ত কয়েকজনকে মুচিশা গ্রামীন হসপিটালে নিয়ে আসা হয়েছে। পাশাপাশি ভোটার দের নিয়ে ভোট দিতে নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
আরামবাগ বিধানসভার শুভয়পুর হরিজন প্রাইমারি বিদ্যালয় তৃণমূলের এজেন্ট দেওয়াকে কেন্দ্র ধুন্ধুমার। বিজেপি সমর্থকরা আছে এবং তৃণমূলের পোলিং এজেন্টের উপরে চড়াও হয়। টেনে হেঁচড়ে নিয়ে মারধর করে তৃণমূলের এজেন্টকে । বিজেপির মহিলা সমর্থকরা সামনে আসে স্কুলের ভিতরে চড়াও হয় কেন্দ্র বাহিনী থাকলেও সেরকম কিছু নিরাপত্তা দিতে পারেনি। দীর্ঘক্ষন চলে এই সমস্যা।পরে তৃণমূলের এজেন্টকে প্রশাসন এই বুথ কেন্দ্র থেকে নিয়ে চলে যায়।
এজেন্ট বসাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা এলাকায়। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে মাথা ফাটল দু-জনের। ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার ৪৭ এবং ৪৮ নম্বর বুথে এজেন্ট বসানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকায় বোমাবাজিও হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় উভয় পক্ষের দু-জনের মাথা ফেটে যায়। তাঁদেরকে উদ্ধার করে নলমুড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা থাকায় ভাঙড় থানার পুলিসের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
বাগনানের পাচামিতে তৃণমূল বুথ প্রেসিডেন্টের বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারা হয়। প্রেসিডেন্টের বাবা যোগীবর বাঘ আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুমন সাঁতরা ও বিশ্বজিৎ সাঁতরা কে গ্রেফতার করা হলো। খবর কমিশন সূত্রে
পাপিয়া অধিকারী ভেখুটাল প্রাইমারী স্কুল বুথে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ করার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে ঘিরে ধরেন এলাকাবাসী। মিথ্যা কথা না বলার অনুরোধ। এজেন্ট বসতে পারেনি। বসার কেউ নেই। তাই বসেনি। লোক নেই। এরপর কোনও রকমে বিষয়টা এড়িয়ে যান পাপিয়া। শুরু হয় বচসা। কে কত ক্লাস করেছেন সেই নিয়ে শুরুহয় তর্ক। এরপর এক রকম জোর করে ভোট কেন্দ্রর সামনে গিয়ে এজেন্টের সঙ্গে কথা বলতে চান। প্রথমে তাতে বাধা দেওয়া হয় তাঁকে। পরে অবশ্য তার এজেন্ট এসে বলেন তিনি আছেন। তারপর বুথ ছেড়ে বেরিয়ে যান পাপিয়া অধিকারী। সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
গোঘাট বিধানসভার খুশিগঞ্জ, ভারতীয় জনতা পার্টি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের ঝামেলা হয়, বাড়িতে ফিরে মারা যান মাধবী আদক। বিজেপির অভিযোগ ওই ঝামেলাতে মাধবীকে আঘাত করা হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয় হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে রিপোর্ট এসেছে। ঘটনায় দু-জনকে আটক করা হয়েছে। যদিও পোস্টমর্টেম রিপোর্টে বলা হয়েছে মৃতের দেহের বাইরে থেকে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই।
তৃতীয় দফা ভোট শুরুর আগেই ক্যানিং-এ উত্তেজনা। বিজেপির ফ্লাগ-ফেস্টুন ছিঁড়ে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নিকারিঘাটা ও দিঘিরপাড় এক নম্বর গ্রামে উত্তেজনা। অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের। পাশাপাশি ভোটের ঠিক কয়েক মিনিট আগে উত্তপ্ত বাসন্তীর জীবনতলা। হেদিয়া গ্রামে গুলি-বোমা। বিজেপি ও আইএসএফ-এর পতাকা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের।
জগত্বল্লভপুরে উত্তেজনা। কেশবপুর মল্লিকপাড়ার একশ একাশি নম্বর বুথে গন্ডগোল। বিজেপি এবং আইএসএফ এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা। প্রতিবাদ করলে মারধর। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের। অন্যদিকে খানাকুলের নবাসন এলাকাতেও বিজেপি এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ।
শ্লীলতাহানির অভিযোগে উত্তপ্ত তারকেশ্বরের রামনগর এলাকা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের বিরুদ্ধে নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। জওয়ানকে জুতোপেটা উত্তেজিত জনতার। জানা গিয়েছে, ১৬৮ নম্বর বুথের রামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আট জন জওয়ানের থাকার ব্যবস্থা করা হয় স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে। অভিযোগ সোমবার রাত আটটা নাগাদ ওই এলাকার এক নাবালিকা তার পাশের বন্ধুর বাড়িতে বই আনতে যায় সেই সময় ফাঁকা রাস্তায় একা পেয়ে মুখ চেপে ধরে স্কুলের পাশে একটি বাগনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এর পরই ওই নাবালিকা চিৎকার শুরু করতেই স্থানীয়রা চলে আসেন। জওয়ানটি ছুটে স্কুল ঘরে ঢুকে যায়। তারপর তাকে বের করে জুতো দিয়ে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে আসে তারাকেশ্বর থানার পুলিস। অভিযুক্তর শাস্তির দাবিতে পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিস।
তৃণমূল নেতার বাড়িতে উদ্ধার একাধিক ইভিএম। ঘটনা ঘিরে উলুবেড়িয়া উত্তরের তুলসিবেড়িয়ায় তুমুল উত্তেজনা। পুলিসের লাঠিচার্জ। প্রতিবাদে পুলিস ও বিডিও-কে ঘিরে বিক্ষোভ। গতরাতে তৃণমূল নেতা গৌতম ঘোষের বাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি ইভিএম মেলে। এরপরই গাতাইত পাড়ার বাড়ি ঘিরে ফেলেন স্থানীয়রা। সেক্টর অফিসার ও বাড়ি মালিককে আটকে রেখে পুলিসে খবর দেওয়া হয়। সেক্টর অফিসারের সাফাই, ভোটের কাজে দেরি হয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায় সেক্টর অফিস। অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্টর অফিসার তাঁকে কোনও আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতে বলেন। ঘটনাচক্রে তৃণমূল নেতা গৌতম ঘোষ তাঁর আত্নীয়। জানানো হয়েছে ওই VVPATগুলি আর ব্যবহৃত হবে না।
আজ ভোটপর্বের তৃতীয় দফা,৩ জেলার ৩১ আসনে ভোট। নজরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৬ আসন। ভোটের লাইনে বাসন্তী, কুলতলি, কুলপি, রায়দিঘি, মন্দিরবাজার, জয়নগর, বারুইপুর পূর্ব, বারুইপুর পশ্চিম, ক্যানিং পশ্চিম, ক্যানিং পূর্ব, মগরাহাট পূর্ব, মগরাহাট পশ্চিম, ডায়মন্ডহারবার, ফলতা, সাতগাছিয়া, বিষ্ণুপুর।
নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবে হাওড়ার ৭ ও হুগলির ৮ কেন্দ্রের ভোটাররাও। ভোট রয়েছে হাওড়ার উলুবেড়িয়া উত্তর, উলুবেড়িয়া দক্ষিণ, শ্যামপুর, বাগনান, আমতা, উদয়নারায়ণপুর, জগত্বল্লভপুরে। হুগলির যে ৮ আসনে ভোট সেগুলি হল, জাঙ্গিপাড়া, হরিপাল, ধনেখালি, তারকেশ্বর, পুরশুড়া, আরামবাগ, গোঘাট, খানাকুল।
২০২৬র বিধানসভা নির্বাচনের হিসেব বলছে, এই কেন্দ্রগুলিতে দাঁত ফোটাতে পারেনি বিরোধীরা। তবে সমীকরণ বদলে যায় ২০১৯এ লোকসভা ভোটের সময়। তৃণমূলের প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে আসে বিজেপির নাম।