নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচনের আগে তিন কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। ভোট শেষ হতেই সেই রাস্তা নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ নিম্নমানের মালমশলা দিয়ে কাজ হচ্ছে। মালবাজার মহকুমার গজলডোবায় এনিয়ে এলাকায় তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অপসারিত হতেই দিনহাটায় ফাটল বাজি, উল্লাসে মাতলেন তৃণমূল সমর্থরা


ভোটের আগে গজলডোবা ১০ নম্বর এলাকায় পূর্ত সড়কের ধারে ৩ কিলোমিটার লম্বা এবং ৩ মিটার চওড়া এক গ্রামীন সড়কের কাজের শুভ সূচনা করেছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্ম্যাধ্যক্ষ নুরজাহান বেগম। বেশ কিছুদিন ধরে কাজ চলার পর শুক্রবার রাস্তায় পিচের কাজ শুরু হতেই নিম্ন মানের কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।


এলাকার বাসিন্দা শুভরঞ্জন বিশ্বাস, উমেশ সরকার প্রমুখ বলেন," ইতিমধ্যে প্রায় ৭০০ মিটার পিচের কাজ হয়ে গিয়েছে। এদিন সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি রোলার চালানোর পরও খুব সহজেই পিচের চাদর উঠে যেতে শুরু করেছে। অভিযোগ যে, পিচ ঢালার আগে পাথর বিছানোর কাজ ঠিকমতো হয় নি। ঝাড়ু দিয়ে রাস্তার ধূলো পরিস্কার করা হয় নি। এমনকি পিচ ঢালার আগে রাস্তার ওপর ক্যাটোনিক নামে যে কেমিক্যাল ঢালতে হয় তাতেও খরচ বাচানোর জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কয়েকগুন বেশি জল ঢেলে ব্যবহার করতে শুরু করার ফলে পিচ সহজেই উঠে আসছে।’



এছাড়াও ব্যবহৃত পিচের গুনগত মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তাদের বক্তব্য, শিডিউল অনুযায়ী হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালের পিচ ব্যবহার করার কথা বলা হলেও এক্ষেত্রে ঠিকাদারি সংস্থা জলপাইগুড়ির রানিনগরের পিচ ব্যবহার করছেন। যার ফলে গুনগত একটা ফারাক থেকেই যাচ্ছে।


আরও পড়ুন-গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত চোপরা, এসআইকে গুলি, মাথায় ধারাল অস্ত্রের কোপ সাব ইনস্পেক্টরকে


বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রিয়ভূষণ দে বলেন, এদিন সকালে স্থানীয় লোকজন রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসেছি।এলাকার বাসিন্দাদের দাবি মেনে  প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ ফোনে বলেন, ৩৭ লক্ষ টাকা খরচ করে রাস্তাটি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে,গুনগত মান নিয়ে কোনও সমঝোতা করা হবে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন দুলাল বাবু।