Deucha Pachami: `শিল্প হোক, তবে আলোচনা করে`, মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পর স্থানীয়দের মত
সরকারি খাস জমি ও ফাঁকা জমিতে প্রকল্প করার দাবি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সিঙ্গুরের মতো জমি অধিগ্রহণ নয়, বরং সকলের আস্থার অর্জন করেই শিল্প স্থাপনের বার্তা দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। রাজ্য সরকার যখন ত্রাণ ও পুর্নবাসনের জন্য প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় বাসিন্দাদের এই প্যাকেজের বিষয়ে বোঝানোর কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, সরকারি খাস জমি কিংবা ফাঁকা জমিতে প্রকল্প হোক। তবে তা যেন আলোচনার মাধ্যমেই হয়।
দেশের অন্য়তম বড় কোল ব্লক। বীরভূমের মহম্মদ বাজারের দেউচা পাঁচামিতে মাটির নিচে বিপুল পরিমাণ কয়লা হদিশ মিলেছে। স্রেফ জেলা কিংবা রাজ্য নয়, সেখানকার কয়লা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে। প্রকল্প রূপায়িত হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হবে এক লক্ষেরও বেশি মানুষের। এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এখানে সিঙ্গুরের মতো জেদাজেদি হবে না। সকলের আস্থা অর্জন করেই শিল্প স্থাপনের কাজ হবে। রাজ্য সরকার পুনর্বাসনের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তারপর কারও কোনও বক্তব্য থাকলে তা শোনা হবে। কোনও ইগোর ব্যাপার নেই। প্রকল্প রূপায়িত হলে বিদ্যুতের দাম কমে যাবে। রাজ্যের মানুষের সুবিধা হবে'। জমিদাতাদের জন্য ইতিমধ্যেই ১০ হাজার কোটি টাকার ত্রাণ এবং পুনর্বাসন প্যাকেজও তৈরি করে ফেলেছে সরকার।
আরও পড়ুন: Sputnik V: টিকার ট্রায়ালে অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকরাই পাননি সার্টিফিকেট, মামলা হাইকোর্টে
তাহলে? সরকারি প্যাকেজের বিনিময়েও কিন্তু দেউচা পাচামিতে কয়লা প্রকল্পে জন্য জমি দিতে নারাজ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের সাফ কথা, 'আমি কোনওভাবেই গ্রাম ছাড়তে রাজি নই। প্রকল্প করতে হলে, সরকারি খাস জমি ও ফাঁকা জমিতে করা হোক'। সঙ্গে দাবি, 'মুখ্যমন্ত্রী যেমন ঘোষণা করেছেন, সেইমতো সরকারি কাগজপত্র প্রকাশ করা হোক, জেলা প্রশাসক আলোচনা বসুক। তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে'। বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় জানিয়েছেন, আমরা আগেও স্থানীয় বাসিন্দাদেপ সঙ্গে কথা বলেছি। প্রাথমিকভাবে ভেস্ট ল্যান্ড বা খাস জমিতেই কাজ শুরু হবে। আমরা সবার সঙ্গেই কথা বলব। রাজ্য সরকার যেমন নির্দেশ দেবে, তেমনভাবেই কাজ হবে'।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)