`কম চাল-ডাল-আলু দিচ্ছে`, কারচুপির অভিযোগে বিক্ষোভে উত্তাল বাঁকুড়ার ICDS কেন্দ্র
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী উপভোক্তাদের প্রত্যেককে ২ কিলো করে চাল, ২ কিলো করে আলু ও ৩০০ গ্রাম করে মুসুর ডাল দেওয়ার কথা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : কম চাল দেওয়া হচ্ছে। প্রাপ্যের তুলনায় কম চাল, ডাল ও আলু দেওয়া হচ্ছে শিশু ও প্রসূতিদের। এই অভিযোগে এদিন উত্তাল হয়ে উঠল বাঁকুড়ার একটি আইসিডিএস কেন্দ্র। সোমবার সকালে আশ্রম পাড়া এলাকার ওই আইসিডিএস কেন্দ্রে এদিন বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ।
করোনা মোকাবিলায় ৩ মে পর্যন্ত জারি লকডাউন। সরকারি নির্দেশে এই সময় এখন আইসিডিএস কেন্দ্রগুলিতে রান্না করা খাবার দেওয়ার বদলে নথিভুক্ত শিশু ও প্রসূতিদের নির্দিষ্ট পরিমাণ চাল, আলু ও ডাল দেওয়ার কথা। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী উপভোক্তাদের প্রত্যেককে ২ কিলো করে চাল, ২ কিলো করে আলু ও ৩০০ গ্রাম করে মুসুর ডাল দেওয়ার কথা। সেইমতো আজ সকালে থেকে বাঁকুড়া শহরের আশ্রমপাড়া আইসিডিএস কেন্দ্রে নথিভুক্ত ১২০ জন শিশু ও প্রসূতিকে চাল, ডাল ও আলু দেওয়ার কাজ শুরু করেন ওই কেন্দ্রের কর্মীরা।
অভিযোগ, বেশ কয়েকজন উপভোক্তাকে চাল, ডাল ও আলু দেওয়ার পরই তাঁদের নজরে আসে কারচুপি। প্রাপ্য সামগ্রীর পরিমাণে ওই আইসিডিএস কেন্দ্রের কর্মীরা কারচুপি করছেন বলে অভিযোগে সরব হয় তাঁরা। এরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ। আইসিডিএস কেন্দ্রের কর্মীদের ঘেরাও করে চলে বিক্ষোভ। যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন আইসিডিএস কর্মীরা।
অন্যদিকে জেলাশাসক অরুণ প্রসাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, "বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" পরে জেলাশাসক জানান, অভিযুক্ত ICDS কর্মীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই কাজের জন্য তাঁকে শো-কজ করা হয়েছে। একইসঙ্গে যে সকল উপভোক্তাকে তিনি কম পরিমাণে দিয়েছিলেন, বাকি খাদ্যসামগ্রী অবিলম্বে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। তিনি সেই নির্দেশ পালন করেছেন। এখন পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে।
আরও পড়ুন, রেশনে কম চাল, ব্যাপক দুর্নীতি, সবংয়ে সমবায় সমিতির লাইসেন্স বাতিল করল খাদ্য দফতর