নিজস্ব প্রতিবেদন: হাওড়াকে অতিস্পর্শকাতর এলাকা বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরও হাওড়ার পরিস্থিতি বদলাতে দেখা যায়নি। রেড জোন হাওড়ায় করোনা সংক্রমণ রুখতে এবার তত্পর পুলিস।
জেলায় বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান, যা এখনও খোলা ছিল, তা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে জরুরি পরিষেবার ভিত্তিতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। মূলত হাওড়ার বাজার এলাকাগুলিতে জমায়েত চিত্র বারবার ধরা পড়ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরও হাওড়ার বাজারগুলিতে কোনওরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছিল না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূরস্ত, মুখে মাস্কও পরছেন না অনেকে।


এলাকা পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের কাজে 'বাধা', এবার রাজ্যকে কড়া চিঠি কেন্দ্রের
তবে সোমবার সকালের চিত্রটা ছিল অন্যরকম। বাজারগুলিতে জমায়েত আটকাতে তত্পর পুলিস। এলাকায় কড়া নজরদারি। স্পর্শকাতর এলাকাগুলির বেশিরভাগ রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জিটিরোড শিবপুর কাজীপাড়া থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের করোনা সংক্রমিত এলাকাগুলিকে মোট ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলি হল হটস্পট, ক্লাস্টার জোন এবং কনটেইনমেন্ট এরিয়া। যেসব এলাকা থেকে করোনা ছড়াচ্ছে এবং অনেক রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে সেগুলি হল হটস্পট। যেসব জায়গায় ৫-৬ জন রোগী রোগী পাওয়া গিয়েছে সেগুলি হল ক্লাস্টার জোন। এবং যেসব জায়গায় ১-২ জন রোগী পাওয়া গিয়েছে সেগুলিকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে মনে করা হচ্ছে। এইসব এলাকায় এখন থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করতে চাইছে রাজ্য সরকার। কলকাতার বাইরে কেন্দ্রের তালিকায় রয়েছে হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়ি। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযাগ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।