নিজস্ব প্রতিবেদন: মঙ্গলবার বিকেলে হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার ঘটনায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব দেখিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার ওই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রাজ্যের অর্থনীতির হাল ফেরাতে সাধারণ মানুষের পরামর্শ নেবে বিজেপি, চালু টোল ফ্রি নম্বর


বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, টিকিয়াপাড়ায় যে ঘটনা ঘটেছিল তা খারাপ হয়েছে। আমি পুলিসকে বলেছি তত্ক্ষণাত্ ব্যবস্থা নিতে। কোনও কাজ সম্প্রদায় হিসেবে আমরা দেখি না। যে-ই অন্যায় করুক তা অন্যায় হিসেবেই দেখা হয়। তার মধ্যে কোনও হিন্দু মুসলমান হয় না। ক্রাইম ইজ ক্রাইম।


প্রসঙ্গত গতকালই রাজ্য পুলিসের পক্ষ থেকে টুইট করা হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওা হবে। কেউ রেহাই পাবে না। অপরাধীদের গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া হবে। পুলিসের সেই টুইট রিটুইট করে তাঁর কড়া মনোভাবের কথা জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।


ঘটনার পর মঙ্গলবারই সরিয়ে দেওয়া হয় পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণাকে। এদিন রাত ১১টা নাগাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নবান্নর তরফে বলা হয়, হাওড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক ধবল জৈন আপাতত পুর কমিশনারের দায়িত্ব সামলাবেন।


আরও পড়ুন-বিদায় না হওয়া পর্যন্ত করোনা নিয়ে রাজনীতি করবো না: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


কী হয়েছিল গতকাল?  মঙ্গলবার বেলিরিয়াস রোডে বিকেল চারটে নাগাদ একটি বাজারে ফল কিনতে অনেক লোকের জমায়েত হয়। রেড জোন হাওড়ার ওই এলাকাতেও সম্পূর্ণ ভাবে লকডাউন চলছে। তার মধ্যে ওই জমায়েত দেখে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় পুলিস। পুলিসের কথা শোনার বদলে উলটে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় জনতা। পুলিসের ওপর হামলা শুরু করে। পুলিসকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। ভাঙচুর করা হয় পুলিসের দুটি গাড়ি।


পরিস্থিতি বেগতিক দেখে, এলাকায় ব়্যাফ নামাতে বাধ্য হয় পুলিস। প্রথমে ব়্যাফকে ঘিরে ধরে জনতা। পরে তাড়াও করে। এই খবর শুনে এর পর হাওড়া থানা ও ব্যাঁটরা থানার বিশাল পুলিস বাহিনী পৌঁছয় সেখানে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে, পুলিসকে মারধরের ঘটনায় সরকার নরম মনোভাব দেখাচ্ছে বলে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে যায়। তার পর আজ এনিয়ে সরকারের অবস্থানের কথা জানালেন মমতা।