নিজস্ব প্রতিবেদন: পোলাবায় পুলকার দুর্ঘটনায় জখম শিশুদের দেখতে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে গেলেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পরে সাংবাদিকদের বিজেপি সাংসদ অভিযোগ করেন, ওই হাসপাতালটি সুপারস্পেশালিটি বলে দাবি করছে রাজ্য সরকার। অথচ গুরুতর জখম দুই শিশুকে পাঠানো হয়েছে কলকাতায়। তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে হাসপাতালে উন্নতিতে আর্থিক সাহায্যের কথা বলা হলেও কর্ণপাত করেনি কর্তৃপক্ষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার সকালে পোলবার কামদেবপুরে ১৫ জন পড়ুয়াসহ নয়ানজুলিতে পড়ে পুলকার। শ্রীরামপুরের দিক থেকে চুঁচুড়া  খাদিনামোড়ের একটি  ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে যাওয়ার পথে ঘটে দুর্ঘটনা। শ্রীরামপুর, শেওড়াফুলি, বৈদ্যবাটি থেকে চুঁচুড়ার ওই পুলকারে স্কুলে আসে ১৫ জন ছাত্র।  চালকের দাবি, একটি আইল্যান্ডের সামনে লরি হঠাত ইউটার্ন করায় পিছনে ধাক্কা লাগে। পাশের নয়ানজুলিতে উল্টে যায় গাড়িটি। গুরুতর আহত দুই ছাত্রকে গ্রিন করিডর করে আনা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। আটান্ন কিলোমিটার রাস্তা বাহান্ন মিনিটে নিয়ে আসা হয়। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ৭সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আহতদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন শিশুদের দেখতে যান সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ''দুধের শিশু। বাসের মধ্যে খালে ডুবে গিয়েছিল। তিন জনের অবস্থা খুব খারাপ।  এক জন শিশুর বুকে পাঁক ঢুকে গিয়েছে। শুনেছি পুলকারের লাইসেন্স নেই। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে যাচ্ছে, সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।''


এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারকেও নিশানা করে লকেট বলেন,''চূঁচূড়া হাসপাতাল সুপারস্পেশালিটি বলে দাবি করা হয়। তাহলে কেন এসএসকেএম হাসপাতালে শিশুটিকে পাঠানো হল? আমি বারবার বলেছি, সাংসদ তহবিল থেকে টাকা দেব। ওরা নিতে চাইছে না। এরা সব কিছু নিয়েই রাজনীতি করে।'' 


জখম হন চালকসহ ৫জন। আহত দুই ছাত্রকে গ্রিন করিডর করে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।  আশঙ্কাজনক ঋষভ সিংকে ৫৮ কিলোমিটার রাস্তা বাহান্ন মিনিটে নিয়ে আসা হয়। দিব্যাংশু ভগতকে আনা হয় এক ঘণ্টা ৪ মিনিটে। চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সুগন্ধা মোড়ে উঠে দিল্লি ধরে সোজা ডানকুনি। সেখান থেকে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে সাঁতরাগাছি। সেখান থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু ধরে এসএসকেএম হাসপাতাল। ঋষভের বাবা শ্রীরামপুরের তৃণমূল কাউন্সিলর সন্তোষ সিং। চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা  হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে আরও  দুজন। দুর্ঘটনার পরেই উদ্ধারকাজে ছুটে যান আবগারি দফতরের কর্মীরা। ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। 


আরও পড়ুন- 'মেট্রোতেও তোমাকেই চাই',ইস্ট-ওয়েস্টের প্রথম দিনে ভালোবাসাবাসি