Saukat Molla: আরাবুল-কাইজার কোনও ফ্যাক্টর নয়, ভাঙড়ে ৫০ হাজার লিডে জেতার দাবি শওকতের
Bhangar: ৫০ হাজার ভোটে লিড পাবে তৃণমূল। তাতে ভোটের ময়দানে আরাবুল ইসলাম ও কাজের আহমেদ থাকল কি না থাকল সেটা বিষয় নয় মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে আছে। ঠিক একই সুরে তাল মিলিয়েছে ভাঙড়ের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য খইরুল ইসলাম।
প্রসেনজিৎ সর্দার: ভাঙড়ে আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদ কোনও ফ্যাক্টর নয়। এবার লোকসভা ভোটে ভাঙড় থেকে ৫০ হাজার লিড পাবে তৃণমূল। এমনই দাবি শওকত মোল্লা-সহ খায়রুল ইসলামের। আরাবুলহীন ভাঙড়ে লোকসভা ভোটের বৈতরণি কি পার করতে পারবে শওকত মোল্লা? পঞ্চায়েত ভোটের সময় ভাঙড়ে রাজনৈতিক হিংসা ছড়ানোর কারণে জেল বন্দী আরাবুল। বরাবরই ভোট মেশিনারি হিসাবে পরিচিত সে।
আরও পড়ুন, Dakshin Dinajpur: বাংলায় রাজস্থান? গ্রীষ্মের শুরুতেই উত্তরের গ্রামে গ্রামে এ কী সংকট...
আরাবুল ইসলাম জেল বন্দী থাকায় তার অনুগামীরা সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর মুক্তির দাবি জানাচ্ছেন। এমনকি দলের এক শ্রেণির নেতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন। বারুইপুর কোর্ট চত্বরে গরাগরি খেয়ে তাঁর মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। ফলে আরাবুল অনুগামীদের একরকম বিপরীতে দাঁড়িয়ে। কিন্তু ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক কি লোকসভা ভোটে তৃণমূলের লিড দিতে পারবে? সে প্রশ্ন যখন ভাঙড় জুড়ে।
তখন শওকত মোল্লার দাবি, ৫০ হাজার ভোটে লিড পাবে তৃণমূল। তাতে ভোটের ময়দানে আরাবুল ইসলাম ও কাজের আহমেদ থাকল কি না থাকল সেটা বিষয় নয় মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে আছে। ঠিক একই সুরে তাল মিলিয়েছে ভাঙড়ের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য খইরুল ইসলাম। জানা যায়, ভাঙড় টু-এর আই এস এফের শক্ত ঘাঁটি সামলাচ্ছেন তিনি এবং তিনি জানান, এবারের লোকসভা ভোটে ভাঙড় পঞ্চাশ না ষাট হাজার ভোটে লিড দেবে।
সে ক্ষেত্রে আরাবুল ইসলাম বা কাইজার আহমেদ কোনও ফ্যাক্টর হবে না। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী সায়নী ঘোষকে বিরোধীদের থেকে ৬০ হাজার আসনের বেশি উপহার দেবেন বলে জানান তিনি। কিন্তু আরাবুল ইসলাম কি কোন ফ্যাক্টার হতে পারে? আরাবুল অনুগামী থেকে আরাবুল বিরোধী তৃণমূল সমর্থক বা বিরোধীরা প্রকাশ করছে ভিন্ন মত।
এদিকে বিজেপি যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ডঃ অনির্মাণ গাঙ্গুলী। তিনি বলেন, আরাবুল বা কাইজার ভোট ময়দানে থাকল কি না থাকল সেটা বড় করে দেখছেন না তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদীর কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্প সমস্ত মানুষ কমবেশি পেয়েছে। তাই যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভাঙ্গড় বিধানসভা থেকে তিনি ভালো ফল আশা করছেন কারণ মানুষ তাদের পাশে আছে।
এদিকে ২০২১ সালে ভাঙড় বিধানসভা থেকে জয় আসে আইএসএফের। বিধায়ক হয় পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী। সংখ্যালঘু ভোট আইএসএফ মুখি হয়। শওকত মোল্লার নেতৃত্বে আরাবুলকে নিয়ে গত পঞ্চায়েত ভোটে কোন রকমে পঞ্চায়েত সমিতি দখল রাখে তৃণমূল। কিন্তু বর্তমানে আরাবুলহীন ভাঙড়ে শওকত মোল্লা কি তৃণমূলের লিড দিতে পারবে? না আইএসএফ ভাঙড় বিধানসভায় বিরোধীদের থেকে সব থেকে বেশি আসনে লিড দেবে। সেই প্রশ্ন এখন রাজনৈতিক মহলে!
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)