নিজস্ব প্রতিবেদন:  বারাসতে আক্রান্ত বিজেপির শীর্ষ স্থানীয় নেতা অরবিন্দ মেনন। ভাঙচুর করা হয়েছে একাধিক গাড়ি। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা বারাসতে। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, ওই গাড়িতে ভোটের জন্য বাইরে থেকে টাকা ও অস্ত্র  আনা হচ্ছিল। অভিযোগ করেন খোদ বারাসত কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


  



ঘটনার সূত্রপাত  সোমবার রাতে বারাসতের একটি  হোটেল থেকে।  বারাসতে টাকি রোডে একটি হোটেলে বিজেপির  বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেখানে পুলিশি হানা হয়। পরে সেই বৈঠক বারাসত পুরসভার সামনে বিজেপিনেতা তুহিন মন্ডলের  বাড়িতে হয়। অভিযোগ, এলাকায় জড়ো হন স্থানীয় তৃনমূলনেতা ও কর্মীরা। এরপরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বৈঠকে ছিলেন বিজেপি নেতা অরবিন্দ মেনন-সহ অন্যান্যরা। সেই সময় রাস্তার পাশে ৫টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তুহিন মণ্ডলের বাড়িও ভাঙ্গচুর হয়। 
অরবিন্দ মেনন বিজেপি নেতৃত্বকে বিষয়টি জানান। পুলিশ গিয়ে বিজেপির বারাসত জেলার সভাপতি প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও নেতা তুহিন মন্ডলকে উদ্ধার করে।
অন্যদিকে, বারাসত থানায় তৃনমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার  বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বিজেপি নেত্রী মৌসুমী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে টাকা ও অস্ত্র আনার অভিযোগ করে। থানার  সামনে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস মিত্রকে তৃণমূল  কর্মীরা মারধোর করেন বলে অভিযোগ ।


''ভোটের গণনা করে চূড়ান্ত ফল পেতে ২৪মে হয়ে যেতে পারে'', আগাম ইঙ্গিত অ্যাডিশনাল সিও-র
রাত একটার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপিনেতা মুকুল রায়। তিনি বলেন, ''তৃণমূল হারার ভয় পাচ্ছে। তাই প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ করে যাচ্ছে।''
মুকুল রায় জানান, নির্বাচন কমিশনের কাছে বিষয়টি জানিয়ে বারাসত থানার আইসি ও জেলার পুলিশ সুপারের অপসারণ দাবি করবেন তাঁরা । বারাসত পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। তিনজন চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। একটি তিন তারা যুক্ত গাড়ি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। 
মুকুল রায় পাল্টা অভিযোগ করেছেন, এদিনের  তাণ্ডব  গণতন্ত্রের প্রহসন। তিনি সরাসরি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন , ''তাঁর সঙ্গে ২০টি গাড়ির প্রত্যেকটিতে টাকা বোঝাই থাকছে যা তল্লাশি হচ্ছে না।''