মৌমিতা চক্রবর্তী 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিসের বিরুদ্ধেই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে দিলেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের। তাঁর কথায়,''ভোটারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুথে নিয়ে যাচ্ছে পুলিস। রাজ্য পুলিসের নিরপেক্ষ ভূমিকা দেখেনি। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হাতে পেয়ে পুলিসও দাপিয়ে কাজ করতে চাইছে। পুলিসও প্রমাণ করতে চাইছে তারা রাজ্য সরকারি কর্মী নয়, নির্বাচন কমিশনের লোক''। এমনকি বদলা নিতে পারতাম বলে কার্যত হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।      
    
আবু তাহের বলেন,''নির্বাচন কমিশন যে কাজ করছে তা সঠিক মনে হচ্ছে না। আমাদের কাছে সঠিক বলে মনে হচ্ছে না। মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি. বুথের বাইরে লাঠিচার্জ করেছে বাহিনী। এ যেন একটা অরাজকতা হঠকারী সিদ্ধান্ত। কীভাবে ভোট হয় সেই জ্ঞান বাইরের সামরিক বাহিনীর নেই। বিভিন্ন বুথে বিক্ষিপ্ত ঘটনা তাই তারাই ঘটিয়ে দিচ্ছে''।



কেন্দ্রীয় বাহিনীই নয়, আবু তাহেরের নিশানায় রাজ্য পুলিসও। তিনি বলেন, ''ডোমকল পুর এলাকাতে পুলিশকে দেখলাম বাড়ি বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে এজেন্ট বসাচ্ছে। বাড়ি বাড়ি থেকে ভোটারদের ডেকে নিয়ে গিয়ে ভোট দেওয়ানো হচ্ছে।  তারা যেন দায়িত্বই নিয়ে নিয়েছে যে এখানে বিজেপি কে, কোথাও কংগ্রেসকে জেতাবে। পুলিস রাজ্য সরকারের হলেও জানি না তারা কেন আজকে এরকম অসহযোগিতা করল আমাদের সঙ্গে। সমস্ত জায়গাতেই পুলিশ আজ আমাদের সঙ্গে অসহযোগিতা করেছে। কোথাও আমাদের কোন কর্মীকে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। প্রত্যেকটা জায়গায় মারধর করা হয়েছে। প্রত্যেকটা জায়গাতেই পুলিশ এত বেশি সক্রিয় যেন মনে হচ্ছে বাড়ি থেকে তাদের জোর করে তুলে নিয়ে এসে ভোট দেওয়াবে''। 


তৃণমূল প্রার্থী আরও বলেন,''ভোটের হার বাড়াবে কেন? বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রত্যেকটা ভোটারকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে তুলে নিয়ে এসে জোর করে তাদের বুথে ঢুকিয়ে দেওয়া হল। আমরা জানি না. কেন জোর করে তাদের ভোট দিয়ে নিয়ে এসে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হলো আমরা জানি না। এটা যেন পুলিশের কর্তব্য ছিল। প্রতিবারই তো ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ ভোটগ্রহণ হয়। ২০ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে যান না। এটা মানুষের একটা অভ্যাস। অনেক মানুষ ভোট দেন না। অনেকের ভাল লাগে না। ঘুমিয়ে কাটান অনেকে। ভোটের ফল যাতে বিজেপির অনুকূলে যায় সে জন্যই সবাইকে ধরে এনে ভোট করাচ্ছে বাহিনী''।


 তৃণমূল প্রার্থীর হুঁশিয়ারি,''আমরা বদলা নিতে পারতাম। ডোমকলে আমরা দুর্বল নই। কিন্তু আমরা প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে চেয়েছি। প্রশাসনের ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে। পুলিসের নিরপেক্ষতা আমরা আজ সেভাবে পাইনি, যেহেতু আমরা ক্ষমতায় আছি তাই চাইলেই তো আর আইন হাতে তুলে নিতে পারি না। রাজ্য পুলিসের নিরপেক্ষ ভূমিকাটা আজ আমরা দেখিনি। কারণ কেন্দ্রীয় বাহিনী হাতে পেয়ে পুলিশও চাইছে তারা দাপিয়ে কাজ করবে''। 


আরও পড়ুন- স্বপ্ন দেখছেন দিদি, প্রধানমন্ত্রীর পদ নিলামে বিক্রি নেই, আসানসোলে মোদীর ভাষণ ১৫ পয়েন্টে