নিজস্ব প্রতিবেদন: দলের কর্মিসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরে হামলার নিদান দিচ্ছেন তৃণমূলের নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী রত্না ঘোষ কর। ভাইরাল ভিডিয়োটি মঙ্গলবার টুইট করেছিল রাজ্য বিজেপি। সেটি রিটুইট করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির মন্তব্য, শেষপর্যন্ত দিদির অনুগামীরা স্বীকার করে নিলেন, ওনার দল হিংসা ও স্বৈরতন্ত্রে বিশ্বাস করে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে বঙ্গ বিজেপি। ওই ভিডিয়োয় দলীয় একটি বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী রত্না ঘোষ করকে বলতে শোনা গিয়েছে,''যুদ্ধে জিততে গেলে ন্যায়-অন্যায় বলে কিছু নেই। গণতন্ত্র-টনতন্ত্র বলে কিছু নেই। জেতার জন্য যে পদ্ধতি যেখানে দরকার, সেই পদ্ধতি সেখানে প্রয়োগ করবেন। আপনারা ২০১৬ সালে নির্বাচন করে দেখিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে মার খেয়েছিলেন। রক্তাক্ত হয়েছিলেন আপনারা। এবার বুথে বুথে থাকব আমি। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পাত্তা দেবেন না। মহিলা নেতৃত্বকে বলব, ঝাঁটা নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এলাকাছাড়া করে দেবেন''।   



ভিডিয়োটি রিটুইট করে অমিত শাহ লিখেছেন, শেষপর্যন্ত মমতা দিদির বিশ্বাসী সৈনিক স্বীকার করে নিলেন তাঁর দল হিংসা ও স্বৈরতন্ত্রের আদর্শে বিশ্বাসী। তবে মমতা দিদিকে মনে করিয়ে দিতে চাই, গণতন্ত্রে এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ বেশিদিন চলে না। তৃণমূলকে ভোট দিয়ে তাড়াবে বাংলার মানুষ। ওনার সময় ফুরিয়ে এসেছে। 



সম্প্রতি নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের সত্যজিত্ বিশ্বাস খুন। তাঁর স্ত্রী রূপালী বিশ্বাসকে এবার রানাঘাট লোকসভা আসন থেকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। তাঁর সমর্থনেই এক কর্মিসভার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই সভাতেই রত্নাদেবী এমন নিদান দিয়েছেন। এনিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ মুখ খোলেননি।


আরও পড়ুন- ১৯৯১ সালের পর সর্বনিম্নে ঠেকল খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি