নিজস্ব প্রতিবেদন : আর রাজনীতি 'করবেন না'! রাজনীতি 'ছেড়ে দেবেন' অনুব্রত মণ্ডল! কী ভাবলেন? ভুল দেখছেন? না, একদম-ই ঠিক পড়েছেন। রাজনীতি 'ছেড়ে দেবেন' অনুব্রত মণ্ডল, যদি নরেন্দ্র মোদী আবার প্রধানমন্ত্রী হন। বীরভূমে একটি জনসভা থেকে তাঁর এই 'সিদ্ধান্তে'র কথা জানালেন তৃণমূল জেলা সভাপতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


আলিপুরদুয়ারের জনসভা থেকে এবার লোকসভা ভোটে বাংলায় ২৩টা আসন জিতবেন বলে দাবি করেছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। অন্যদিকে, তৃণমূলের এবারে টার্গেট, '২০১৯, বিয়াল্লিশে ৪২'। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে দুই 'ফুল'-এর যুযুধান লড়াইয়ের সাক্ষী থাকতে চলেছে বাংলা। উল্লেখ্য, নিয়েলসেনের সমীক্ষায় বাংলায় বিজেপির আসন বাড়া ও তৃণমূলের আসন কমার ইঙ্গিত মিলেছে। যদিও এসব কিছুকে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছেন না অনুব্রত মণ্ডল।


আরও পড়ুন, ভোটের দিন 'গুলি খেলা ও খাওয়ানোর' পরামর্শ জেলা বিজেপি সভাপতির!


হাঁসনের জনসভা থেকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি বলেন,  "আমাকে বলছিল বিজেপি নাকি আটখানা সিট পাবে পশ্চিমবাংলায়। আমি মা-বোনেদের বলছি, সবাইকে বলছি, ৪২শে ৪২ হবে। মোদী যদি এখান থেকে সিট আটখানা পায়, আমি রাজনীতি করব না। আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।" প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে 'বেইমান' বলেও উল্লেখ করেন তিনি।


পাশাপাশি, এদিন 'নকুলদানা-জল' এর পর এবার আবার 'লেবু জল' খাওয়ানোর কথা বলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। বোলপুর লোকসভা আসন থেকে রামচন্দ্র ডোমকে প্রার্থী করেছে বামফ্রন্ট। রামচন্দ্র ডোমকে আক্রমণ করে অনুব্রত মণ্ডলকে বলতে শোনা যায়, "ওঁর বয়স বেড়ে যাচ্ছে, অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বোলপুর লোকসভার জন্য লেবু জল খাওয়াতে হবে। বয়স হয়ে গেছে তো, হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে আর পাওয়া যাবে না। আবার ভোটটা পিছিয়ে যাবে।"


আরও পড়ুন, বিজেপি-ই দেওয়ালে লিখল 'চৌকিদার চোর হ্যায়'!


বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বার বারই শিরোনামে আসেন 'কেষ্টদা'। এখন এই 'লেবু জল', 'হোঁচট খাওয়া'- কথার আড়ালে কোন ইঙ্গিত লুকিয়ে থাকতে পারে, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তবে, সেকথা সময়ই বলবে।