কোথাও পড়েছে পোস্টার, কোথাও আবার ভাঙচুর, জেরবার দিলীপ
বসিরহাটে সায়ন্ত বসুর বিরুদ্ধে দলের কর্মীদের নামে পড়েছে পোস্টার।
অঞ্জন রায়
প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই বিদ্রোহ বিজেপিতে। দলে যোগ দিয়েই কী ভাবে প্রার্থী সদ্য প্রাক্তন তৃণমূল নেতারা? প্রতিবাদ, বিক্ষোভে ধুন্ধুমার কোচবিহারে। অন্যদিকে টিকিট না পেয়ে অভিমানে পদত্যাগ করেছেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি রাজকমল পাঠকের। আবার বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুর বিরুদ্ধে পড়েছে পোস্টার। তাতে লেখা হয়েছে, স্থানীয় নেতাকে প্রার্থী হিসেবে চাই। শাসক দলের ষড়যন্ত্র বলে উড়িয়ে দিয়েছেন সায়ন্তন।
বসিরহাটে সায়ন্ত বসুর বিরুদ্ধে দলের কর্মীদের নামে পড়েছে পোস্টার। কোন দিক ছেড়ে কোন দিক সামলাবেন নেতারা। ভোটের আগে ঘর সামলাতেই হিমশিম রাজ্যের পদ্ম শিবির। বিজেপির তরফে দেওয়া পোস্টারে দাবি করা হয়েছে, স্থানীয় নেতাকে প্রার্থী করতে হবে। সায়ন্তন বসুর দাবি, এসব তৃণমূলের কারসাজি। এমনকি এফআইআর করতে চলেছেন বলেও জানিয়েছেন বিজেপি নেতা।
দিল্লি থেকে নিশীথ প্রামাণিকের নাম ঘোষণা হতেই বিদ্রোহ শুরু হয় কোচবিহারে। ভাঙচুর চলে দলের জেলা অফিস, জেলা সভাপতির গাড়িতে। মালতী রাভা, বিজেপি জেলা সভাপতি। বিক্ষোভের মুখে পড়ার পর রাতেই বসে জেলা কমিটির বৈঠক। সিদ্ধান্ত হয় নিশীথ প্রামাণিকের বদলে প্রার্থী করা হবে স্থানীয় নেতা দীপক বর্মণকে। পরে অবশ্য নিশীথকে সাদরে বরণ করেন নেতাকর্মীরা।
২৮ বছর ধরে বিজেপিতে আছেন রাজকমল পাঠক । আশা ছিল হুগলি বা শ্রীরামপুরে টিকিট পাবেন। কিন্তু দল প্রার্থী করল নতুন নেত্রী লকেট চ্যাটার্জি ও দেবজিত সরকারকে। অভিমানে পদত্যাগ করেছেন দিলীপ ঘোষের এই ডেপুটি। নাম ঘোষণা হতেই প্রচারে নেমে পড়েন দুধকুমার মণ্ডল। তবে সেখানে দেখা মেলেনি জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের। দলের বৈঠকেও তীব্র বাদানুবাদে জড়ান দুই নেতার অনুগামীরা। পরে অবশ্য সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হল, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। এক সংসারে থাকলে একটু-আধটু ঝগড়া তো হবেই।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, বিজেপিতে থাকলে গেলে অনুশাসন মেনে চলতে হবে। দলের সিদ্ধান্ত না মানতে পারলে দরজা খোলা।
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রী মোদী বার্তা পাঠিয়েছেন দাবি করে আহ্লাদে আটখানা ইমরান খান