নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটারদের কার্যত হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের বিরুদ্ধে। দমদম কেন্দ্রের প্রার্থী সৌগত রায়ের প্রচারে বাংলাদেশি অভিনেতা গাজি আবদুন নুরকে নিয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন মদন মিত্র। প্রচার গাড়ি থেকে মাইকে ভোটারদের রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল নেতা। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী কতদিন, ২৩ মে যতদিন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাংলাদেশি অভিনেতা ফিরদৌসের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর তাঁকে দেশত্যাগের নোটিস দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এদেশে তাঁকে ব্যবসায়িক ভিসা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই ভিসায় রায়গঞ্জে তৃণমূলের হয়ে প্রচার করেন ফিরদৌস। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তাঁর ভিসা বাতিল করে। কালো তালিকাভূক্ত করা হয় ফিরদৌসকে। তেমনই আর এক বাংলাদেশি অভিনেতা 'রাণী রাসমণি'র রাজা রাজ চন্দ্রকে নিয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন মদন মিত্র। প্রচার গাড়ি থেকে মাইকে মদন মিত্র বলছেন,''আমাদের অধ্যাপক সৌগত রায় পিছনে রয়েছেন। ভাল থাকবেন। ভোট দিতে যাবেন কিন্তু। আমরা এসে নিয়ে যাব। কোনও চিন্তা নেই, কেন্দ্রীয় বাহিনী কতদিন, ২৩ মে যতদিন। ভাল থাকবেন''।



তৃণমূলের নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী রত্না ঘোষ কর দলীয় সভায় আবার কর্মীদের নিদান দিয়েছেন, ''যুদ্ধে জিততে গেলে ন্যায়-অন্যায় বলে কিছু নেই। গণতন্ত্র-টনতন্ত্র বলে কিছু নেই। জেতার জন্য যে পদ্ধতি যেখানে দরকার, সেই পদ্ধতি সেখানে প্রয়োগ করবেন। আপনারা ২০১৬ সালে নির্বাচন করে দেখিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে মার খেয়েছিলেন। রক্তাক্ত হয়েছিলেন আপনারা। এবার বুথে বুথে থাকব আমি। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পাত্তা দেবেন না। মহিলা নেতৃত্বকে বলব, ঝাঁটা নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এলাকাছাড়া করে দেবেন''।   



ভিডিয়োটি নির্বাচন কমিশনে দাখিল করে নালিশ করেছে বিজেপি। নভজ্যোত সিং সিধুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে তৃণমূলের মন্ত্রীকে কেন ছাড় দেওয়া হবে, প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।     


আরও পড়ুন- ১৯৯১ সালের পর সর্বনিম্নে ঠেকল খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি