নিজস্ব প্রতিবেদন: সিপিএম-বিজেপি-কংগ্রেস একজোট। সকালে সিপিএম করে, দুপুরে কংগ্রেস আর রাতে বিজেপি। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার সভা থেকে বিরোধীদের একবন্ধনীতে ফেলে আক্রমণ শানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর কটাক্ষ, সিপিএম-বিজেপি-কংগ্রেস জগাই মাধাই গদাই। ওদের একটাও ভোট দেবেন না। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাম-কংগ্রেস জোট না হওয়ায় রাজ্যে চতুর্মুখী লড়াই। এই প্রেক্ষাপটে ভোট ভাগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সে কারণে প্রতিটি সভায় নিয়ম করে তিন বিরোধীকে এক বন্ধনীতে ফেলছেন তৃণমূল নেত্রী। একইসঙ্গে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, দিল্লিতে মোদী সরকারকে ফেলতে পারবে একমাত্র তৃণমূলই। বাম-কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে কোনও লাভ নেই। এদিন মমমতা বলেন,''সিপিএমের কাউকে দেখতে পেয়েছেন, কংগ্রেসের কাউকে দেখতে পেয়েছেন। সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি এরা এক। সকালে করে সিপিএম, দুপুরে করে কংগ্রেস, রাতে করে বিজেপি। এরা তিন দিল জগাই, মাধাই গদাই। একটাও ভোট দেবেন না।''।


আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন, দিল্লিতে আগামী সরকার গঠনে ভূমিকা থাকতে চলেছে তৃণমূলের। সে কারণে ৪২-এ ৪২ পেতে হবে। মমতার উদীপ্ত ঘোষণা, ভারতে সরকার গঠন করবে তৃণমূল। নেতৃত্ব দেবে তৃণমূল। দিল্লিতে বদলাবে কে? তৃণমূল কংগ্রেস। আপনাদের প্রতিটি ভোট দামি। দার্জিলিঙে কখনও বিজেপি, কখনও কংগ্রেস জিতেছে। এবার দার্জিলিঙে তৃণমূল জেতাতে হবে। আমরা শান্তিতে থাকতে চাই। আপনারা মোদীকে সরাতে চান। ওনাকে সরাবে তৃণমূল।



মমতা আরও বলেন,''সিপিএম ভোট পেলে বিজেপি শক্তিশালী হবে। কংগ্রেস ভোট পেলে সিপিএম শক্তিশালী হবে। আমরা চাই ৪২-এ ৪২। সিপিএম বিজেপির দোস্ত। সিপিএমকে কিছু করেনি ওরা। আমাদের সঙ্গে লাগতে আসলে চুরচুর করে দেব। সিপিএম, কংগ্রেসের বাংলায় অস্তিত্ব নেই। বড় রসগোল্লা দিয়ে দেবেন বিজেপিকে। রাজভোগ দিয়ে দেবেন সিপিএম-কংগ্রেসকে''। 


আরও পড়ুন- বামেদের সুবিধা নয়, আরএসএসের নির্দেশ মেনে তৃণমূল নেতার সঙ্গে বৈঠক বিজেপির: সূত্র