নিজস্ব প্রতিবেদন: আসন্ন লোকসভা ভোটে বাংলায় লড়াইটা যে কার্যত ঘাসফুল এবং পদ্মশিবিরেই, তা মনে করছেন অনেকেই। শেষবেলার নির্বাচনী প্রচারের এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ সব দলই। এদিকে ১০ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সফরসূচির সোমবারের তালিকায় ছিল জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা এবং কোচবিহারের রাসমেলা ময়দান। এই রাসমেলা ময়দানেই দুদিন আগেই সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের হয়ে ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় সভা সারছলেন তৃণমূল নেত্রীও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: অনুপ্রবেশ রুখতে কড়া ব্যবস্থা, লাগু হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, সংকল্প পত্রে উল্লেখ করল বিজেপি


উনিশের ভোটে দুই যুযুধান প্রতিপক্ষের বাগযুদ্ধে কার্যত কুরুক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে উত্তরবঙ্গ। ক্রমাগত বাক্যবাণে তা প্রমাণ করেছেন দুইদলই। সোমবার ফের একবার মোদী হটাও স্লোগান শোনা গেল নেত্রীর কন্ঠে। এদিন নাগরাকাটা সভামঞ্চে শুরু থেকেই নরেন্দ্র মোদীকেই নিশানা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। 


আদিবাসী সংখ্যালঘুদের ভোট যে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এদিন তা স্পষ্ট হয়েছে নেত্রীর মন্তব্যেই। একঝলকে দেখে নেওয়া যাক সংরক্ষিত এই লোকসভা কেন্দ্র থেকে আদিবাসী ভোটারদের কী বার্তা দিয়েছেন তিনি। 


* কেউ আমাকে চমকালে আমি বর্ষাবই।


* আমরা চা বাগানের শ্রমিকদের কথা ভেবেছি।


* সাধারণ মানুষকে বিদ্যুৎ, ২ টাকা কেজি চাল, আটা, মিড-ডে মিল, বিনামূল্যে চিকিৎসা সব দিয়েছে তৃণমূল সরকার।


* আদিবাসীদের বলছি, কারও কথা শুনে ভুল পথে যাবেন না, তৃণমূল কংগ্রেস আপনাদের দেখবে, আমরা সবসময় আপনাদের জন্য আছি।


* সংরক্ষিত ভোটারদের জন্য ভেবেছি। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী দিয়েছি আমরা।


* আগে কোনও হাসপাতালই ছিল না। এখন প্রতিটা জায়গায় মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল হয়েছ। বাচ্চাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন হাসপাতালে বেড ভাড়াও লাগে না।  স্বাস্থ্যসাথীতে ৫ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে


* ১০০ দিনের বদলের ২০০ দিনের কাজের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।


* দিল্লি সরকার বানাবে তৃণমূল। দিল্লির চেয়ার থেকে মানে মানে কেটে পড়ো বিজেপি


*  পাঁচ বছরে কিচ্ছু করেনি মোদী। নোটবন্দিতে ২ কোটি মানুষ বেকার হয়েছে। কৃষকরা মরেছে। চৌকিদার চোর হ্যায়। 


*  চা বাগানদের শ্রমিকদের জন্য এখানে বারবার আসি। 


* NRC করে সবাইকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে মোদী। বিজেপি কে ভোট দিলেই নাগরিকত্ব খেয়ে নেবে ওরা। বাংলা দিল্লির লাড্ডু নয়।


*  আমার সঙ্গে যে টক্কর নেবে সে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে


*  ৫৪৩ আসনে সবগুলোয় হারবে বিজেপি


*  মোদী হাটাও দেশ বাঁচাও। হিন্দুস্তানের পরম্পরা নষ্ট করা হচ্ছে।


* ৫ বছরে সন্ত্রাসবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। জওয়ানদের নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। আগে খবর থাকা সত্ত্বেও জওয়ানদের মৃত্যু হল কেন?