নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতিবাদ করার গণতান্ত্রিক অধিকার সকলের রয়েছে। বিদ্যাসাগর কলেজে গিয়ে এমনটাই বললেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় নিন্দা করলেন তৃণমূল নেত্রী।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অমিত শাহের রোড ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে কলেজস্ট্রিট ও বিধানসরণী। বিদ্যাসাগর কলেজের ভিতরে ঢুকে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এমনকি বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙারও অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। বেহালায় মমতা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, অমিত শাহের মিছিল যেই শেষ হয়েছে', বিজেপির কিছু গুন্ডা, হাতে ডান্ডা নিয়ে বিদ্যাসাগর কলেজে আগুন লাগিয়েছে। ঈশ্বরচন্দ্রের মূর্তি ভেঙে দিয়েছে। এটা নকশাল আমলেও ঘটেনি। এত বড় লজ্জা। আমরা এটা ছেড়ে দেব না। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব নেব বিজেপি''। সভা শেষ করে বিদ্যাসাগর কলেজে রওনা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ''খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। কলেজ ভেঙে তছনছ করা হয়েছে। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হয়েছে। আগুন জ্বালানো হয়েছে। টুকরো টুকরো তুলে যেখানে মূর্তি ছিল সেখানে রেখে এসেছি''।


বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদেরও মারধর করা হয়েছে বলে জানান মমতা। তাঁর কথায়, ''এমন দাঙ্গা, বিশেষ করে রাজনৈতিক দলের দাঙ্গা, এতদিন কলকাতায় আছি, আমি কখনও দেখিনি এত লজ্জাজনক ঘটনা! বাইরে থেকে গুন্ডা আমদানি করেছে বিজেপি। কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে। কোটি কোটি টাকার কাটআউট লাগানো হয়েছে। দুবরাজপুরের লোক মারা গিয়েছে। তার মানে বাইরে থেকে লোক এনেছে। বাইরে থেকে গুন্ডা নিয়ে এসেছে''। 


একইসঙ্গে প্রতিবাদ করার গণতান্ত্রিক অধিকার সকলের রয়েছে বলেও দাবি করেন মমতা। তাঁর কথায়,''গণতান্ত্রিক অধিকার সকলের রয়েছে। অমিত শাহ ভগবানের বাবা নাকি যে প্রতিবাদ করতে পারবে না। আমাকেও তো পোস্টার লাগিয়ে বলে দিদি এটা দেখুন, কখনও মাইন্ড করি না''। 


অমিত শাহকে নিশানা করে মমতা বলেন,''প্ররোচনা দিয়ে নেতা পালিয়ে গিয়েছে। বাংলার মানুষ এসব টলারেট করবে না। কাল মিছিল আছে। শান্তিপূর্ণভাবে যোগদান করুন। নিন্দার কোনও ভাষা নেই। এসব নেতারা দেশের নেতা হবেন! মনীষীদের সম্মান দিতে পারে না। সাহস থাকা ভাল, দুঃসাহস নয়''।


আরও পড়ুন- মমতার সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হোক, কমিশনে দাবি বিজেপির, তদন্তের আশ্বাস