কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজ বিশাখাপত্তনমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেলে বন্দর শহরের প্রিয়দর্শিনী স্টেডিয়ামে চন্দ্রবাবু নায়ডুর সমর্থনে জনসভা করবেন তৃণমূল নেত্রী। বিরোধী ঐক্যের ছবি তুলে ধরে আওয়াজ তুলবেন মোদী হটাও, দেশ বাঁচাও। সাত দফা ভোটের প্রথম দফায় নির্বাচন অন্ধ্রপ্রদেশে। নিজামের রাজ্যে এবার লোকসভা ও বিধানসভা ভোট একই সঙ্গে। ১১ এপ্রিল ভোটগ্রহণ। 


প্রথম দফার ভোটপর্ব থেকেই সর্ব ভারতীয় স্তরে মোদী বিরোধিতার সুর তুঙ্গে নিয়ে যেতে চান তৃণমূলনেত্রী। তাই চন্দ্রবাবু নায়ডুর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে রবিবার ভাইজাগে মমতা। 


দুই আঞ্চলিক সরকারের প্রধানের কেন এই রাজনৈতিক তত্‍পরতা? 



এনডিএ থেকে টিডিপি বেরিয়ে আসার পর ভোটের অন্ধ্রপ্রদেশ কার্যত কুরুক্ষেত্র। রাজ্যের জন্য স্পেশাল প্যাকেজ বা বিশেষ মর্যাদাকে ইস্যু করে লড়াইয়ে নেমেছেন চন্দ্রবাবু। টিডিপি প্রধান সেই লড়াইয়ের ধার বাড়াতে চান তৃণমূলনেত্রীকে পাশে নিয়ে। কারণ মোদী বিরোধিতায় এখন সবচেয়ে বড় মুখ মমতা। চন্দ্রবাবুর সভায় মমতা থাকলে অন্ধ্রের মানুষের কাছে বার্তা যাবে লড়াকু নেত্রী টিডিপি-র পাশে রয়েছেন। চন্দ্রবাবুর দাবি অন্ধ্রের জন্য স্পেশাল প্যাকেজ। বাংলার বিরুদ্ধে কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে মমতাও সরব। 


এনডিএ ছাড়ার পর, মহাগঠবন্ধন বা বিরোধী জোটের বার্তা নিয়ে নবান্নে এসেছেন চন্দ্রবাবু। থেকেছেন ব্রিগেডের সভায়। রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানার পর মমতার ধর্নামঞ্চেও পৌছে যান টিডিপি প্রধান। বিরোধী ঐক্যের সেই চেনা ছবি এবার অন্ধ্রের মাটিতেও দেখা যাবে। নির্বাচনের প্রথম পর্ব থেকেই বিরোধীরা যে ঐক্যবদ্ধ, চন্দ্রবাবু-মমতার যুগ্ম প্রচারে তা জোরাল হবে। 


আরও পড়ুন-  পোশাকেও মোদীকে টেক্কা মমতার, 'মমতা শাড়ি'-তে ফ্রেমবন্দি তৃণমূল কাউন্সিলর


শুধু বিরোধী ঐক্যই নয়। কংগ্রেস বা রাহুলকে বাদ দিয়েও বিরোধী জোট যে লড়াইয়ে আছে, সেই বার্তাও তুলে ধরা সম্ভব হবে মমতা-চন্দ্রবাবুর যৌথসভা থেকে। অন্ধ্রে কংগ্রেসের সঙ্গে টিডিপি-র আসন সমঝোতা হয়নি। বাংলাতেও কার্যত একলা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও অকংগ্রেসি-অবিজেপি জোটের ব্র্যান্ডিং করতে পারবে মমতা-চন্দ্রবাবুর যৌথপ্রচার।