নিজস্ব প্রতিবেদন: নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়ে রীতিমতো 'নাটক' মঞ্চস্থ করলেন মুকুল রায়। চা খাওয়ার পর বসে গেলেন বিক্ষোভে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন দেড়টা নাগাদ নির্বাচন কমিশনের মুখ্য আধিকারিকের দরজার বাইরে বিক্ষোভ দেখান মুকুল রায় ও জয়প্রকাশ মজুমদার। তারপর ভিতরে ঢোকেন তাঁরা। কোচবিহারে ২৯৭ ও আলিপুরদুয়ারের ৪২টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি করেন মুকুল রায়। কিন্তু কমিশন জানায়, এত তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। আগে রিপোর্ট আসুক। তারপর পদক্ষেপ করা হবে। এর মধ্যে চা পানও করেন মুকুল রায়। কিন্তু মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের আশ্বাসে মন ভরেনি মুকুল রায়ের। সঙ্গে সঙ্গে মেঝেতে ধরনায় বসে পড়েন মুকুল রায়, শিশির বাজোরিয়া ও জয়প্রকাশ মজুমদার। 




এদিন আবার উলটো সুর শোনা গিয়েছে দিলীপ ঘোষের গলায়। তাঁর কথায়, ''ভোট ভাল হয়েছে। চেষ্টা করেছিল, তবে লুট করতে পারেনি। তবুও কোচবিহারের ৩১৫টি বুথে পুনর্ভোট চেয়েছি। নেতারা নির্বাচন কমিশনে ধরনায় বসেছেন। শুনেছি, আরও ৫০ কোম্পানি বাহিনী আসছে''। এরপরই দিলীপের দাবি, রবিবাবুর (উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী) গুন্ডারা এসেছিল। আমরা মেরেছি। তাই রবিবাবু চুপচাপ। এখন কড়লা খাচ্ছেন। সব নেতাদের জন্য এমন ব্যবস্থা করছি। এরপরই আবার উল্টো কথা দিলীপের মুখে। বলেন,''নির্বাচন কমিশন কাজে একদম খুশি নই। এজন্য যা করার তাড়াতাড়ি করব। আমরা চাই একটা বুথে যেন গণ্ডগোল না হয়। নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ''। এদিকে আবার কোচবিহারের ৩১৫টি আসনে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে ধরনায় বসেছেন মুকুল রায়।


শুক্রবার বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, যা ইঙ্গিত পেলাম, তাতে মনে হল, ভোটকে প্রহসনে পরিণত করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের বক্তব্য ছিল,''ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। রাজ্য পুলিশ সহযোগিতা করেছে''।      


আরও পড়ুন- মাত্র ২০০ দিনেই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে উপকৃত ২০ লক্ষ রোগী